বিজেআরআইয়ের কর্মশালায় বক্তারা

নতুন জাত উদ্ভাবন ছাড়া পাট গবেষণার মূল্য নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি: বণিক বার্তা

পাটের ভালো জাত যদি উদ্ভাবন করা না যায় তাহলে গবেষণার কোনো মূল্য নেই। এ লক্ষ্যে বিজ্ঞানীদের কাজ করে যেতে হবে। বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিজেআরআই) উদ্ভাবিত প্রযুক্তি হস্তান্তর বিষয়ক কর্মশালায় এসব কথা বলেন বক্তারা।

আজ মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) বিজেআরআইয়ের কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার। তিনি বলেন, পাট ও আখ আমাদের দেশের সম্পদ। কিন্তু প্রযুক্তি, বৈশ্বিক পরিবর্তন এবং ব্যবস্থাপনার অভাবে এ দুই খাত এখন চ্যালেঞ্জের মুখে।

বিজেআরআইয়ের কার্যক্রমে হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, পৃথিবীর যেকোনো ল্যাবে এখন টাকা দিলে তারা জীবনরহস্য উন্মোচন করে দেয়। এটা কোনো সফলতা নয়। এ গল্প আমরা আর শুনতে চাই না। ভালো জাত আবিষ্কারে বিজ্ঞানীদের কাজ করে যেতে হবে।

কর্মশালায় বিজেআরআই কৃষি গবেষণা উইং থেকে ২০২১-২২ অর্থবছরে উদ্ভাবিত বিজেআরআই মেস্তা ৪, দেশী পাট বীজের নির্যাস দিয়ে পাটের হলুদ মাকড় দমন, উন্নত শস্য বিন্যাস বোরো-পাট-রোপা আমন; বোরো/পাট-রোপা আমন; বোরো-রোপা পাট-রোপা আমন, বিজেআরআই তোষা পাট-৮ (রবি-১) এর বীজ উত্পাদন প্রযুক্তি এবং স্পেন্টটি (ব্যবহূত চা পাতি) দ্বারা পাটের হলুদ মাকড় দমন প্রযুক্তি কৃষি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে হস্তান্তর করা হয়।

বিজেআরআইয়ের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুল আউয়ালের সভাপতিত্বে কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড. জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন