বিদেশীদের কর্তৃত্ব জ্বলছেন সাকিবও

ক্রীড়া প্রতিবেদক

সাকিব আল হাসান, ইফতিখার আহমেদ, ওয়াহাব রিয়াজ, নাসির হোসেন

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল-২০২৩) নবম আসরে ঢাকা চট্টগ্রামে দুটি পর্ব শেষ। এরপর ঢাকায় তৃতীয় সিলেটে চতুর্থ পর্ব শেষে ফের ঢাকায় পঞ্চম শেষ পর্ব দিয়ে সমাপ্তি হবে এবারের আসরের। এখন পর্যন্ত ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে সিলেট। যদিও চট্টগ্রামে দুর্দান্ত পারফর্ম করে সিলেটের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে ফরচুন বরিশাল। তাদেরও পয়েন্ট সিলেটের সমান ১০।

অবিশ্বাস্য ফর্মে আছে সাকিব আল হাসানের বরিশাল। টানা পাঁচ ম্যাচ জিতে তারা দ্বিতীয় স্থান সংহত করার পাশাপাশি এখন চোখ রাঙাচ্ছে সিলেটকে। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস এবার শুরুর তিনটি ম্যাচেই হেরে বসে। কিন্তু সেই ক্ষত কাটিয়ে ক্রমেই স্বরূপে ফিরছে দলটি। টানা তিন জয়ে ইমরুল কায়েসের দলটি প্লে-অফে খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল করেছে। এদিকে খুলনা টাইগার্সও টানা তিন হারের পর টানা দুই জয়ে পয়েন্টের খাতা খুলেছে এবং মুহূর্তে টেবিলের চতুর্থ স্থান দখল করেছে।

সম্ভাবনা জাগিয়েও একাধিক চোট রংপুর রাইডার্সকে বিপাকে ফেলেছে। চট্টগ্রাম পর্বে টানা দুটি ম্যাচে হেরেছে দলটি। আবার চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স নিজেদের মাঠে খেলার সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারেনি। চট্টগ্রামে তারা টানা দুই ম্যাচে হেরেছে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় ঢাকা ডমিনেটর্স। নাসির হোসেনের নেতৃত্বাধীন দলটি পাঁচ ম্যাচ হেরে টেবিলের একেবারে তলানিতে অবস্থান করছে।

নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে হোম সিরিজের কারণে প্রথম কয়েকটি ম্যাচে পাকিস্তানি তারকারা বিপিএলে খেলতে পারেননি। তারা যোগ দেয়ার পরই নিজ নিজ দলকে টানছেন। চট্টগ্রাম পর্বে পাকিস্তানিরাই কর্তৃত্ব করেছেন।

করাচিতে কিউইদের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডে খেলার ২৪ ঘণ্টার কম সময়ের মধ্যে ঢাকা হয়ে চট্টগ্রামে পৌঁছে সেদিনই ম্যাচ খেলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান এবং তিনি এসে কুমিল্লাকে জাগিয়ে তুলেছেন। ৩৭ বছর বয়সী অভিজ্ঞ পেস বোলার ওয়াহাব রিয়াজ খুলনা টাইগার্সের হয়ে সর্বশেষ দুই ম্যাচেই নিয়েছেন চারটি করে উইকেট এবং ওই দুটি ম্যাচই জিতেছে খুলনা।

আবার চলতি বিপিএলের তিনটি সেঞ্চুরিই করেছেন পাকিস্তানিরা। গত জানুয়ারি ঢাকার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে নম্বরে নেমে খুলনার হয়ে ৫৮ বলে ১০৯ রান করেন মঈন খানের পুত্র আজম খান। যদিও রান তাড়া করতে নেমে তারই স্বদেশী উসমান খান ৫৮ বলে ১০৩ রানের হার না মানা ইনিংস খেলে চট্টগ্রামকে জেতান। চট্টগ্রামেই ১৯ জানুয়ারি রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে চলতি বিপিএলের তৃতীয় সেঞ্চুরি করেন আরেক পাকিস্তানি ইফতিখার আহমেদ। বরিশালের এই ব্যাটার ৪৫ বলে ১০০ রান করেন। পথে সাকিবকে নিয়ে পঞ্চম উইকেটে টি২০-এর বিশ্বরেকর্ড ১৯২ রান যোগ করেন।

সাকিব প্রথম সপ্তাহে বিতর্কে জড়ালেও দ্বিতীয় সপ্তাহে ডুবে থাকেন ক্রিকেট নিয়ে এবং চট্টগ্রাম পর্বে তিনিই সেরা পারফরমার। এখন পর্যন্ত ম্যাচে ১৯৬.৪২ স্ট্রাইক রেটে ২৭৫ রান করে তিনিই শীর্ষ রান সংগ্রাহক। বিপিএলের ইতিহাসে ন্যূনতম ২০০ রান করাদের মধ্যে সাকিবের স্ট্রাইক রেটই সর্বোচ্চ। তার ব্যাট থেকে সর্বোচ্চ ৮৯ রান এসেছে। আবার বল হাতে ম্যাচে উইকেট নিলেও ২২ ওভারে .০৪ গড়ে রান দিয়ে তিনি বরিশালকে সামনে টেনেছেন। দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকা কলকাতা নাইট রাইডার্স তাকে কোটি রুপিতে কিনে যে মোটেও ভুল করেনি, সেটি প্রমাণ করে দিচ্ছেন সাকিব।

ঢাকার বিপর্যয় ঠেকাতে না পারলেও ব্যাট হাতে দুর্দান্ত খেলছেন নাসির হোসেন। ম্যাচে ২৬৯ রান নিয়ে তিনি তালিকার দুইয়ে অবস্থান করছেন। এরপর ইফতিখার আহমেদ (২৫৬), উসমান খান (২০৮) তৌহিদ হূদয় (১৯২)

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন