বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীদের ওপর তালেবান সরকারের
দেয়া বিধিনিষেধ নিয়ে আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছে জাতিসংঘের
একটি প্রতিনিধি দল। যার নেতৃত্বে ছিলেন সংস্থার ডেপুটি সেক্রেটারি-জেনারেল আমিনা মোহাম্মদ।
খবর ভয়েস অব আমেরিকা।
গতকাল বুধবার (১৮ জানুয়ারি) রাজধানী কাবুলে
জাতিসংঘের সর্বোচ্চ পদমর্যাদার এ নারী কর্মকর্তা তালেবান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান
মুত্তাকির সঙ্গে বৈঠক করেন।
সম্প্রতি বেশিরভাগ নারী এনজিও কর্মীদের পরবর্তী
নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেয় আফগান সরকার। এর আগে নারীদের
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে বাধা দেয়া হয়৷
ওই বৈঠকে আমিনা মোহাম্মদ জানান, বর্তমান পরিস্থিতিকে
খুব কাছ থেকে দেখতে তাদের এই সফর। শিক্ষা ও কাজের ক্ষেত্রে নারীদের প্রবেশাধিকার সম্পর্কে
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বার্তা তালেবান কর্মকর্তাদের কাছে পৌঁছে দিতে এসেছেন।
এ সময় তালেবান পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তার
সরকারকে স্বীকৃতি, আর্থিক নিষেধাজ্ঞা এবং নেতাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার মতো
উদ্বেগ মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতার যথেষ্ট অভাব ছিল। নিষেধাজ্ঞার ফলে সাধারণ
আফগানরা গুরুতর সমস্যায় পড়েছে।
নিষেধাজ্ঞাকে সামনে রেখে আমির খান প্রশ্ন
করেন, যদি এখানে দশ লাখ (মেয়ে) শিক্ষার্থী শিক্ষাহীন থাকে, তবে ছেলে ও মেয়েসহ সেই
৯০ লাখ শিক্ষার্থীর কী হবে, যারা স্কুলে যাচ্ছে? তারাও মানুষ এবং তারা যে সব সমস্যার
মুখোমুখি সেগুলো কাটিয়ে উঠতে সাহায্য প্রয়োজন।
এক বিবৃতিতে তালেবান সরকার জানায়, নারীরা
উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে নিয়োজিত, এমনকী সরকারি অফিসে যারা কাজ
করত তাদের বাড়িতে বসিয়ে রেখে বেতন দেয়া হয়; নারীবন্দীদের সংখ্যাও অনেক কমে গেছে।
আরও জানায়, আমিনা মোহাম্মদ আফগানিস্তানে অব্যাহত
সহায়তার জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বাস্তবতা তুলে
ধরার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।