
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন
আগামী মাসে তার দপ্তর ছাড়ছেন। এক ঘোষণায় জানান, এই পদে থেকে আর নতুন কিছু দেয়ার নেই।
খবর বিবিসি।
লেবার পার্টির নেতার পদ থেকে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারির
মধ্যে সরে দাঁড়াবেন তিনি। ভোটের মাধ্যমে জেসিন্ডার উত্তরসূরি নির্বাচিত হবে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে
তিনি বলেন, অনেক হয়েছে, এবার দায়িত্ব ছেড়ে দেব আমি।
জেসিন্ডা বলেন, এমন একটি বিশেষ পদের সঙ্গে
গুরুদায়িত্বও আসে। কখন নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য আপনি সঠিক ব্যক্তি আর কখন নন, তা বোঝার
দায়িত্বও আপনারই।
চলতি বছরের ১৪ অক্টোবর নিউজিল্যান্ডে সাধারণ
নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আগামী নির্বাচনে লেবার পার্টি জিততে পারবে
না এটা ভেবে পদত্যাগ করছেন না বলেও জানান জেসিন্ডা। বরং সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য
নতুন কারো নেতৃত্ব দেয়া দরকার বলে মনে করেন।
২০১৭ সালে সবচেয়ে কম বয়সী নারী সরকার প্রধান
হিসেবে দায়িত্ব নেন জেসিন্ডা আরডার্ন। তখন তার বয়স ছিল ৩৭ বছর। দায়িত্ব পালনকালে সন্তানের
মা হন তিনি, যা বিশ্বের ইতিহাসে দ্বিতীয়বার ঘটেছে।
জেসিন্ডা কভিড-১৯ মহামারী ও পরবর্তী মন্দা,
ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে হামলা এবং হোয়াইট আইল্যান্ড আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের মতো
বিপর্যয়ের মধ্যে নিউজিল্যান্ডকে নেতৃত্ব দেন।
২০২০ সালে দ্বিতীয়বার ভূমিধস বিজয় পেয়ে লেবার
পার্টিকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন জেসিন্ডা। তবে সাম্প্রতিক মাসে দলের ভেতর তার জনপ্রিয়তা
কমে এসেছে বলে জরিপে উঠে এসেছে।