অশান্ত দাম্পত্য সম্পর্কে মাইকেল জ্যাকসন ও লিসা প্রিসলির ২ বছর

বণিক বার্তা অনলাইন

ছবি: এন্টারটেইনমেন্ট উইকলি

লিসা মেরি প্রিসলি নিজেও গায়িকা ছিলেন। তবে সবচেয়ে বড় পরিচয় তিনি রক অ্যান্ড রোল সম্রাট এলভিস প্রিসলির একমাত্র মেয়ে। এ ছাড়া পপ সম্রাট মাইকেল জ্যাকসনের সঙ্গে ছিল অল্প দিনের দাম্পত্য সম্পর্ক।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) লিসার মৃত্যুর পর এ সব প্রসঙ্গ ঘুরে-ফিরে আসছে। জ্যাকসনের সঙ্গে লিসার বিয়ে হয় ১৯৯৪ সালে। যে সময়ে তাদের বিয়ে হয়, তখন ‘থ্রিলার’ তারকার বিরুদ্ধে শিশু নির্যাতনের একটি মামলা চলছিল।

১৯৯৪ সালে এক কনসার্টের মঞ্চে লিসাকে চুমু খেয়ে ‘মিসেস জ্যাকসন’ হিসেবে ঘোষণা করেন পপ সম্রাট। জ্যাকসন বলেন, ‘‌কেউ চিন্তাও করেনি আমাদের সম্পর্ক টিকে যাবে।’ অবশ্য বেশিদিন টেকেনি তাদের সংসার। নানা কিছু নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়।

জ্যাকসনের সঙ্গে লিসার বৈবাহিক সম্পর্ক মোটামুটি ২ বছর স্থায়ী হয়েছিল। ১৯৯৬ সালে ‘‌বনিবনা হচ্ছে না’ উল্লেখ করে তারা বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন। ছাড়াছাড়ির সময় লিসা অভিযোগ করেছিলেন, জ্যাকসনের অনিয়ন্ত্রিত জীবন ও মাদক সেবনের প্রবণতায় বিরক্ত হয়েই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত তার। অবশ্য বিচ্ছেদের পরও চার বছর একসঙ্গে ছিলেন তারা।

বিবাহিত সময়ে ১৩ বছরের এক কিশোরকে যৌন নির্যাতনের দায়ে অভিযুক্ত ছিলেন মাইকেল জ্যাকসন। বিষয়টি নিয়ে লিসার কোনো সমস্যা ছিল না। ওই সময় তিনি বন্ধুর মতো পাশেই ছিলেন। তবে পরে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তাদের সমস্যা আরো সূক্ষ্ম।

ছবি: নিউইয়র্ক টাইমস

লিসা ২০০৩ সালে সংগীত ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। তার প্রথম স্টুডিও অ্যালবাম ‘টু হুম ইট মে কনসার্ন’-এ ব্যাপক সাড়া পেয়েছিলেন তিনি। তখন জ্যাকসনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল না তার। পরে ২০০৯ সালে জ্যাকসনের মৃত্যুর পর এক সাক্ষাৎকারে লিসা বলেছেন, জ্যাকসন তাকে কারসাজি করে বিয়েতে রাজি করিয়েছিলেন। তবে একসাথে যতদিনই ছিলেন, তারা ভালোই ছিলেন, পরস্পরের প্রতি ভালোবাসাও ঠিকই ছিল।

ব্যক্তিজীবনে লিসা মাইকেল জ্যাকসন ছাড়াও বিয়ে করেছিলন আরো তিনজনকে। সংগীতশিল্পী ড্যানি কেওফ, অভিনেতা নিকোলাস কেজ ও সংগীতশিল্পী মাইকেল লকউড বিভিন্ন সময়ে তার স্বামী ছিলেন। তিনি চার সন্তানের মা। একজন অবশ্য বছর দুয়েক আগে আত্মহত্যা করেন। তবে মাইকেল জ্যাকসনের সঙ্গে তার কোনো সন্তান ছিল না।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন