- • দেশী প্রতিষ্ঠানগুলোয় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেশীয় পেশাজীবীরা তাদের বিদেশী সহকর্মীদের নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখে থাকেন।
- • অভিযোগ আছে, বিদেশী পেশাজীবীরা যেমন এদেশের পেশাজীবীদের নতুন কোনো প্রযুক্তি বা দক্ষতা (skill) শেখাতে আগ্রহী নন, তেমনি দেশীয় পেশাজীবীদের মধ্যেও বিদেশীদের কাছ থেকে শেখার বিষয়ে খুব একটা আগ্রহ দেখা যায় না ।
- • উন্নত
প্রযুক্তিতে দীক্ষিত এসব বিদেশীর কাছ থেকে জ্ঞান ও দক্ষতা স্থানান্তর আমাদের অর্থনীতির
জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এ ব্যাপারে আমাদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে।
বাংলাদেশের অর্থনীতির দুটি মূল চালিকাশক্তি
হলো আমাদের তৈরি পোশাক শিল্প থেকে অর্জিত রফতানি আয় এবং অন্যটি হলো বিদেশে অবস্থানরত
প্রবাসী বাংলাদেশীদের আয়কৃত বৈদেশিক মুদ্রা। এক্ষেত্রে বর্তমানে তৈরি পোশাক শিল্পের
অর্জিত প্রায় ৪২ বিলিয়ন ডলারের বিপরীতে আমদানি ব্যয় বাদ দিলে নেট ভ্যালু এডিশন মোট
আয়ের ৫০-৬০ শতাংশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ আছে। তবে বার্ষিক রেমিট্যান্স আয় বর্তমানে প্রায়
২১ বিলিয়ন ডলার হলেও বাংলাদেশে বিভিন্ন সেক্টরে কর্মরত উচ্চ পর্যায়ের বিদেশীরা তাদের
বেতন ও ভাতা বাবদ বছরে কী পরিমাণ অর্থ এদেশ থেকে নিয়ে যাচ্ছেন তার কোনো সঠিক হিসাব
খুব একটা চোখে পড়ে না। ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের
(এনএসডিএ) মতে, বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশীরা বছরে প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার এ দেশ থেকে তাদের
নিজ দেশে পাঠায়। যদিও বিদেশী কর্মীদের সঠিক সংখ্যা বলা কঠিন, তবে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে
পাওয়া তথ্যে বলা যায়, এ দেশে আনুমানিক এক লাখেরও বেশি বিদেশী কর্মী বা পেশাজীবী বিভিন্ন
সেক্টরে কর্মরত। এখানে উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (বিআইডিএস)
দুটি জরিপ অনুযায়ী, দেশের স্নাতক (অনার্স) ডিগ্রিধারীদের ৩৭ থেকে ৬৬ শতাংশই বেকার।
বিভিন্ন শিল্পের উদ্যোক্তারা দেশীয় কর্মী
বা পেশাজীবীদের মধ্যে যথাযথ দক্ষতার অভাবের কথা বলে এসব বিদেশী কর্মীদের তাদের প্রতিষ্ঠানে
নিয়োগ দিয়ে থাকেন। কিন্তু এ দেশে বছরের পর কর্মরত এসব বিদেশী কর্মীদের কাছ থেকে এ দেশের
স্থানীয় কর্মী বা পেশাজীবীরা কি কিছু শিখছেন? নাকি আমাদের এ বিদেশীনির্ভরতা থেকে রেহাই
পাওয়ার কোনোই উপায় নেই? মূল প্রশ্ন হলো, বিদেশী পেশাজীবীদের কাছ থেকে স্থানীয় পেশাজীবীদের
কাছে এ জ্ঞান এবং দক্ষতা স্থানান্তরের দায়িত্ব কার?
কিছুদিন আগে বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য কোম্পানির
প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তার (হেড অব এইচআর) সঙ্গে আমার অফিসে বসে আলাপ হচ্ছিল। তিনি
একজন অত্যন্ত দক্ষ এইচআর পেশাজীবী এবং দীর্ঘদিন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অত্যন্ত সুনামের
সঙ্গে কাজ করে চলেছেন। তার ফ্যাক্টরিতে বেশকিছু বিদেশী অনেক উচ্চ বেতনে কাজ করছেন।
কথা প্রসঙ্গে তাকে জিজ্ঞাসা করলাম—
‘ভাই, আপনারা এত টাকা দিয়ে বিদেশীদের রাখেন,
আমার দেশের পেশাজীবীদের কেন সুযোগ দিচ্ছেন না?’ ভদ্রলোক কিছুক্ষণ চুপ করে থাকলেন। তারপর
বললেন—
‘ভাই, দুঃখের কথা আর কী বলব? আমরা কিন্তু সবসময়
দেশী পেশাজীবীদের ওপরই নির্ভর করেছি এবং তাদের হাত ধরেই আমরা আজ এত বড় হয়েছি। আমি নিজে
আমার কোম্পানির চেয়ারম্যানকে বোঝালাম—স্যার আমাদের দেশের লোকজনই পারবে, বিদেশীদের
দরকার হবে না।’
‘কিন্তু যখন আন্তর্জাতিক বাজারে যাওয়ার প্রশ্ন
এলো এবং পণ্যের গুণগত মান এবং রেগুলেটরি কমপ্লায়েন্সের বিষয় সামনে এলো তখন দেখলাম অবস্থা
অন্য রকম। সময় চলে যাচ্ছে কিন্তু কাজ শেষ হচ্ছে না। শুধু বড় বড় কথা আর অসংখ্য অজুহাত!
কিন্তু আমরা দেখলাম, আমাদের প্রতিযোগীরা ঠিকই বিদেশী পেশাজীবীদের নিয়োগ দিয়ে খুব দ্রুত
আন্তর্জাতিক বাজারের জন্য তাদের পণ্য তৈরি করে রফতানিও শুরু করে দিল। মাঝখানে দেশী
পেশাজীবীদের ওপর নির্ভর করে প্রতিযোগীদের থেকে আমরা দুই বছর পিছিয়ে গেলাম।’
‘তারপর কী আর করা! একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে বিদেশীদের
শরণাপন্ন হলাম। বিদেশীরা আসার পর কিন্তু দ্রুতই আমাদের পণ্য তৈরি হয়ে গেল এবং আমাদের
রফতানিও শুরু হয়ে গেল।’
তার সঙ্গে এ নিয়ে আর তর্ক করলাম না। জিজ্ঞাসা
করলাম, ‘ভাই আমাদের পেশাজীবীদের সমস্যা কোথায়?’ তিনি যা বললেন, তার সারাংশ নিচে দিলাম—
১। দেশের পেশাজীবীদের মধ্যে সব ধরনের দক্ষতা
নেই। জটিল ধরনের পণ্য হলে কিংবা যে দেশে রফতানি করা হবে সেখানে যদি রেগুলেটরি কমপ্লায়েন্সের
প্রয়োজনীয়তা কঠোর হয়, তবে সেসব বিষয় সমাধানের মতো দক্ষতা অনেক ক্ষেত্রেই স্থানীয় পেশাজীবীরা
এখনো অর্জন করতে পারেননি।
২। কিন্তু যেটা খুব নেতিবাচক, তা হলো অধিকাংশ
ক্ষেত্রেই দেশী পেশাজীবীরা তাদের এ পেশাগত দক্ষতার ঘাটতি বা সীমাবদ্ধতার বিষয়টি স্বীকার
করতে মোটেই রাজি নন। তাদের মধ্যে বিদেশীদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করার প্রবণতা অনেক বেশি।
এক দেখাতেই বলে দেবে ‘বেশি পয়সা দিয়ে বিদেশ থেকে বাতিল মাল নিয়ে এসেছে।’ তার কাছ থেকে কোনো
কিছু শেখার কোনো আগ্রহই নেই।
তারপর তিনি নিজেই বললেন, একজন অত্যন্ত দক্ষ
বিদেশী পেশাজীবীর (যার অনেক আন্তর্জাতিক কাজের অভিজ্ঞতা আছে) সঙ্গে তার বেশ ভালো সম্পর্ক
হয়ে গিয়েছিল। একপর্যায়ে তিন তাকে জিজ্ঞেস করলেন,
‘আচ্ছা, তুমি তোমার এ দেশীয় সহকর্মীদের শেখাও
না কেন?’
ওই বিদেশী ভদ্রলোক কোনো রাখঢাক না রেখে যে
জবাব দিলেন তা নিম্নরূপ—
‘প্রথম কথা হলো তাকে শিখিয়ে আমার কী লাভ? এ
তো অনেকটা নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারার মতো ব্যাপার। তোমার দেশী পেশাজীবী যেদিন আমাকে
রিপ্লেস করতে পারবে, তারপর কি একদিন ও তুমি আমাকে এখানে রাখবে? তাই তাকে শিখিয়ে আমি
কেন নিজেই নিজের বিপদ ডেকে আনব?’
‘আর শেখার দায়িত্বটা কার? তোমার দেশী লোক কী
ভেবেছে যে আমি একেকজনের ডেস্কে গিয়ে গিয়ে বলব—আসো তোমাকে একটু শেখাই। সে ঠিক ৫টা বাজলে
১ মিনিটও দেরি না করে গাড়িতে গিয়ে বসবে, আর আমি তাকে শেখানোর জন্য ফ্যাক্টরিতে বসে
হা-হুতাশ করতে থাকব? আমার তো এত ঠেকা নেই। তার যদি সত্যিই শেখার আগ্রহ থাকে, তবে দরকার
হলে আমার কাছে বারবার আসবে। আমাকে হাজারটা প্রশ্ন করবে এবং মাঝে মাঝে জটিল বিষয়ে আলোচনার
জন্য বাসায় না গিয়ে সন্ধ্যার পর ফ্যাক্টরিতে রয়ে যাবে, আমার সঙ্গে ওই বিষয় নিয়ে গভীর
আলোচনায় বসতে হবে এবং বিশদভাবে অ্যানালাইসিস করতে হবে। কেউ যদি এতটুকু আগ্রহ দেখায়,
তবে কি আমার পক্ষে তাকে না শেখানো সম্ভব? মোটকথা শেখার দায়িত্ব তার এবং তাকে শেখানোর
জন্য আমার মাঝে আগ্রহ তৈরির দায়িত্বও তার। আমাকেও তো কেউ কোনো দিন যেচে পড়ে কিছু শেখায়নি।
আমার নিজের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির আগ্রহ ছিল এবং আমি তা যার কাছ থেকে শেখা যায়, তার
কাছ থেকে আদায় করে নিয়েছি। তোমার দেশের লোকদের কী ধারণা যে আমি একজন জ্ঞানের ফেরিওয়ালা?
আমি কী লোকজনকে ফেরি করে করে জ্ঞান বিতরণ করতে এখানে এসেছি? নিজের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির
বিষয়ে তোমাদের দেশী পেশাজীবীদের মনমানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে এবং তাদের নিজেদের দক্ষতা
বৃদ্ধির দায়িত্ব নিজেদেরই নিতে হবে।’
আমি তখন ওই হেড অব এইচআরকে জিজ্ঞাসা করলাম,
‘এ অবস্থা থেকে আমরা কীভাবে বেরিয়ে আসতে পারি?’
জবাবে তিনি বললেন, ‘দেখুন, বর্তমান গ্লোবালাইজেশনের
যুগে আপনাকে খোলা মন নিয়ে কাজ করতে হবে। ইগো নিয়ে কাজ করলে চলবে না। আপনাকে বুঝতে হবে,
আমাদের থেকে ব্যবসা-বাণিজ্য বা প্রযুক্তিতে অগ্রগামী অনেক দেশের পেশাজীবীদের কিছু কিছু
বিষয়ে আমাদের থেকে অধিক পেশাগত জ্ঞান বা দক্ষতা থাকা খুবই স্বাভাবিক। তাই শুরুতেই একজন
বিদেশী সহকর্মীকে “বাতিল মাল” বলে অবজ্ঞা না করে আমাদের দেশী পেশাজীবীদের
উচিত তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপন করা এবং ধীরে ধীরে তার বিপরীতে নিজেকে যাচাই করা।
অর্থাত্ নিজেকে নিজেই জিজ্ঞাসা করা, সে কী জানে বা পারে—যা আমি জানি না বা
পারি না? এ দক্ষতার গ্যাপ অ্যানালাইসিসটা যখন সঠিক হবে, তখন কিন্তু সহজেই নিজের জন্য
সে শেখার একটা লক্ষ্য ঠিক করতে পারবে। এবং সেক্ষেত্রে এইচআর থেকে আমরাও কিন্তু ওই বিদেশীদের
এ জ্ঞান বা দক্ষতা স্থানান্তরের ব্যাপারে চাপ দিতে পারব। এবং এভাবেই আমাদের পেশাজীবীরা
সামনে এগিয়ে যেতে পারেন। এর ফলে ব্যক্তির সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিগুলো এবং সার্বিকভাবে
দেশের অর্থনীতিও উপকৃত হবে।’
এর পর এ বিষয়ে হেড অব এইচআরের সঙ্গে কথা আর
বেশি দূর গড়াল না।
যা হোক, আমি জানি, উপরের আলোচনার বিষয়ে পাঠকের
মধ্যে অনেকেই দ্বিমত পোষণ করবেন। অনেকেই বলতে চাইবেন, ‘আমাদের কোম্পানি বা ইন্ডাস্ট্রির
ক্ষেত্রে এসব কথা চলে না। এখানে খামোখাই বিদেশীদের বেশি বেতন দিয়ে রাখে। অনেক ক্ষেত্রেই
বিদেশীদের মধ্যে দক্ষতার অভাব থাকে এবং তারা কাজের থেকে কথা বেশি বলেন। আবার দক্ষতা
থাকলেও সব বিদেশী শেখাতে আগ্রহী নন এবং মালিক পক্ষ তাদের এত মাথায় তুলে রাখে যে এসব
বিদেশী কর্মী স্থানীয়দের তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেন, এমনকি অনেক ক্ষেত্রে স্থানীয়দের সঙ্গে
চরম খারাপ ব্যবহার করেন। মালিক পক্ষ এসব দেখেও না দেখার ভান করে। আর তারা এতটাই বিদেশীনির্ভর
হয়ে পড়ে যে স্থানীয় পেশাজীবীরা যথেষ্ট দক্ষতা দেখালেও তা মালিক পক্ষের চোখে পড়ে না
এবং তারা স্থানীয় পেশাজীবীদের সঠিকভাবে মূল্যায়নও করে না।’
এসব অভিযোগের মধ্যে অবশ্যই কিছু সত্যতা আছে
এবং তা অগ্রাহ্য করার কোনোই উপায় নেই। এ বিষয়ে আমি অযথা কোনো তর্ক করব না।
কিন্তু একটা বিষয় তো অস্বীকার করার উপায় নেই
আপনার ব্যক্তিগত পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির প্রাথমিক দায়িত্ব আপনার নিজেরই। আকাশ থেকে পেশাগত
জ্ঞান বা দক্ষতা তো আপনার ওপর নাজিল হবে না! এজন্য নিজে থেকে দায়িত্ব নিয়ে যা যা করার
বা যার কাছে যাওয়া দরকার, তাকে আপনাকেই খুঁজে বের করে তার কাছ থেকে প্রয়োজনীয় পেশাগত
জ্ঞান বা দক্ষতা আদায় করে নিতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।
একইভাবে এ দেশে যেসব প্রতিষ্ঠান বিদেশী পেশাজীবীদের
নিজ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দিয়ে থাকে, তাদেরও খেয়াল রাখতে হবে একই পদে যেন বছরের পর বছর
বিদেশীরা কাজ করার সুযোগ না পান। বিদেশীদের স্থানীয় পেশাজীবীদের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির
জন্য লক্ষ্যমাত্রা দিতে হবে এবং দেশী যোগ্য পেশাজীবীদেরও সঠিক মূল্যায়ন করতে হবে।
এছাড়া বিদেশী কর্মীদের ওয়ার্ক পারমিট ইস্যু
এবং নিয়োগসংক্রান্ত বিষয়ে বিডা (বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি), জাতীয়
রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), শ্রম মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন নিরাপত্তা রক্ষাকারী
এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর নজরদারি বৃদ্ধিও অত্যন্ত জরুরি। আমাদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে
হবে, শুধু সুযোগ্য বিদেশী পেশাজীবীরাই যেন এ দেশে বৈধভাবে কাজ করার সুযোগ পান।
পরিশেষে বলতে চাই, আমাদের দেশী পেশাজীবীরা
যদি তাদের বিদেশী সহকর্মীদের কাছ থেকে এ উন্নত প্রযুক্তির জ্ঞান বা দক্ষতাটা নিজেরা
শিখে নিতে না পারেন, তবে বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিতে বিদেশীদের ওপর আমাদের বর্তমান যে নির্ভরশীলতা
তা থেকেই যাবে। ফলে একদিকে যেমন দেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে, অন্যদিকে
এসব বিদেশীর বেতন-ভাতা বাবদ আমাদের কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা বিপুল পরিমাণে দেশের
বাইরে চলে যাবে, যা কিনা আমাদের সার্বিক অর্থনীতির জন্য মোটেই মঙ্গলজনক হবে না।
ধন্যবাদ ।
ইসতিয়াক
আহমেদ তাহের: মানবসম্পদ পরামর্শক