বয়স মাত্র ২৩ বছর। এই বয়সে তরুণদের মাথার
মধ্যে কত কীই না ঘোরাঘুরি করে। প্রতিষ্ঠার পোকা মাথায় গেড়ে বসে, সাধারণত প্রচলিত পথ
বেছে নেন তারা। তবে এমিলি রিকুয়েলমে একটু অন্য রকম। ট্রাক চালিয়ে পরিচিতি পেয়েছেন তিনি।
এমনকি তা ছবি প্রদর্শিত হচ্ছে বিশ্বখ্যাত গ্যালারিতে।
এমিলি প্রতিষ্ঠা চেয়েছিলেন সত্য। সেই পথেই
চলছেন তিনি। যেখানে ট্রাক আর সড়কের সঙ্গে তার অন্তহীন প্রেম।
ফ্রান্সের আর্লেসে বেড়ে ওঠেন এমিলি রিকুয়েলমে।
তার দাদার হাত ধরেই প্রতিষ্ঠিত হয় পরিবহন কোম্পানি। পরে পরিবারের অনেক সদস্যই প্রতিষ্ঠানটিতে
যুক্ত হন। কভিডের সময় বেশ ঝুঁকির মুখে পড়ে। সাগ্রহে হাত বাড়ালেন এমিলি।
তবে অনিচ্ছুকভাবে দায়িত্ব নিয়েছেন এমন নয়।
এমিলি আগেই ঠিক করেছিলেন ট্রাকচালক হবেন। কভিড থাকে সরাসরি সেই দায়িত্ব দিয়ে দেয়। এর
জন্য কিছুটা ত্যাগও স্বীকার করতে হয়। বাপ-দাদার ঐতিহ্যকে বাঁচানোর জন্য ছাড়েন প্রসাধন
বিষয়ক পড়াশোনা।
এমিলির এই পেশা ব্যতিক্রম না হলেও সংখ্যা
ও বয়স বিবেচনায় বেশ আলোচনায় আসে। ইন্টারন্যাশনাল রোড ট্রান্সপোর্ট ইউনিয়নের জরিপ অনুযায়ী,
ইউরোপে নারী ট্রাকচালকের সংখ্যা তিন শতাংশেরও কম। অবশ্য কভিডের কারণে যুক্ত হয়েছেন
কিছু তরুণী।
সাধারণত গাড়িচালনার মতো পেশায় বেশি বয়সী মানুষদের
যুক্ত হতে দেখা যায়। সেখানে এমিলি বা অল্প কয়েকজন খানিকটা ব্যতিক্রম। এমিলি গোছানো
মেয়ে, জীবনশক্তিতে পরিপূর্ণ। তারপরও মাত্র ২০ বছর বয়সেই তিনি ট্রাকচালনার ইচ্ছা প্রকাশ
করেছিলেন। এ বিষয়টি বারবার আলোচনায় এসেছে।
সম্প্রতি এমিলি ছবি তুলে প্যারিসের প্রদর্শনীতে
রেখেছেন ফটোগ্রাফার লামুলেরে। ছবিতে এমিলি ও তার স্বামীকে একটা গাড়ির সামনে দেখা যায়।
ছবিটি ২০২১ সালে তোলা। যা ছিল একটি সিরিজ প্রদর্শনীর অংশ, ইংরেজিতে শিরোনাম দাঁড়ায়
‘দ্য লাইভস উই লিড’। যা ফ্রান্স ও আশপাশের অঞ্চলের মানুষের জীবন তুলে ধরেছে এবং একটি
বইয়ের অংশও বটে।
এখন অবশ্য এমিলির জীবন সেই ছবির মতো নেই।
তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে গিয়েছে। তবে ব্যক্তিগত এ ঘটনা তাকে কাবু করতে পারেনি। নতুন উদ্যমে
গুছিয়ে নিয়েছেন জীবন। তার গল্প অনুপ্রেরণা হয়ে কাজ করছে তরুণদের মাঝে।
সিএনএন
অবলম্বনে