দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ খাতের কোম্পানি ওরিয়ন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ‘ডাবল
এ থ্রি’ এবং স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-থ্রি’। গত বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ পর্যন্ত ব্যাংক দায় পরিস্থিতি এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক গুণগত ও পরিমাণগত তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রত্যয়ন করেছে ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি অব বাংলাদেশ (ক্রাব)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২১-২২ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে ওরিয়ন ফার্মাসিউটিক্যালসের পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৬২ পয়সা। যেখানে আগের হিসাব বছরে সমন্বিত ইপিএস ছিল ৪ টাকা ১ পয়সা। গত বছরের ৩০ জুন শেষে পুনর্মূল্যায়িত সঞ্চিতিসহ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৮২ টাকা ৫৩ পয়সায়।
৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০-২১ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৪ টাকা ১ পয়সা। আগের হিসাব বছরে যা ছিল ২ টাকা ৮৪ পয়সা। ৩০ জুন শেষে সঞ্চিতি পুনর্মূল্যায়নসহ সমন্বিত এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৭৯ টাকা ৭৬ পয়সা। পুনর্মূল্যায়ন সঞ্চিতি ছাড়া যা ৭১ টাকা ৭৯ পয়সা।
এর আগে ৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯-২০ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল ওরিয়ন ফার্মা। ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা। তার আগে ২০১৮ ও ২০১৭ হিসাব বছরের জন্যও শেয়ারহোল্ডারদের ১৫ শতাংশ হারে নগদ লভ্যাংশ দেয় ওরিয়ন ফার্মা।
এদিকে চলতি ২০২২-২৩ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ওরিয়ন ফার্মাসিউটিক্যালসের সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৭২ পয়সা, যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে সমন্বিত ইপিএস ছিল ৩০ পয়সা। এ বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে পুনর্মূল্যায়িত সঞ্চিতিসহ কোম্পানিটির সমন্বিত এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৯২ টাকা ৬৫ পয়সায়।