ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস

শেয়ারপ্রতি দায় ১৫৭ টাকা ছাড়িয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নিট দায় সদ্যসমাপ্ত ২০২২ হিসাব বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে আরো বেড়ে ১৫৭ টাকা ৬০ পয়সায় দাঁড়িয়েছে। যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময় শেষে দায় ছিল ১৫২ টাকা ৬৪ পয়সায়। ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির সর্বশেষ প্রকাশিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদন অনুসারে, সদ্যসমাপ্ত হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী সমন্বিত নিট লোকসান হয়েছে ৬০ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। এর আগের হিসাব বছরের একই সময়ে লোকসান ছিল ১৬৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা। সে হিসাব এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির সমন্বিত নিট লোকসান কমেছে ১০৮ কোটি লাখ টাকা বা ৬৪ দশমিক শূন্য শতাংশ। আলোচ্য তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত লোকসান হয়েছে ১০ পয়সা। এর আগের হিসাব বছরের একই সময়ে লোকসান ছিল ৫২ পয়সা।

সদ্যসমাপ্ত হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে লোকসান কমার কারণ হিসাবে কোম্পানিটি জানিয়েছে, আলোচ্য সময়ে তাদের সুদ বাবদ আয় কোটি ৭৬ লাখ টাকা কমলেও সুদ বাবদ ব্যয় কমেছে ১২৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এর পাশাপাশি আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির পরিচালন ব্যয় কমেছে কোটি ৪০ লাখ টাকা। এসব কারণে গত বছরের তিন প্রান্তিকে তাদের লোকসান অনেক কমে এসেছে।

সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরে লোকসানের কারণে শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি ইন্টারন্যাশনাল লিজিং। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির সমন্বিত কর-পরবর্তী নিট লোকসান হয়েছে ২০৫ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। যেখানে আগের হিসাব বছরে লোকসান ছিল ৬৯৪ কোটি ২২ লাখ টাকা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির সমন্বিত লোকসান কমেছে ৪৮৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকা বা ৭০ দশমিক ৪১ শতাংশ। ২০২১ হিসাব বছরে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত লোকসান হয়েছে টাকা ২৬ পয়সা। আগের হিসাব বছরে লোকসান ছিল ৩১ টাকা ৩০ পয়সা। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নিট দায় দাঁড়িয়েছে ১৫৪ টাকায়। আগের হিসাব বছর শেষে দায় ছিল ১৪৪ টাকা ৯৩ পয়সায়।

সর্বশেষ ২০১৮ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল ইন্টারন্যাশনাল লিজিং। ২০১৭ হিসাব বছরে ১২ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন