নতুন বছরের প্রথম দিন

বিনিয়োগকারীদের হতাশ করল পুঁজিবাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক

গতকাল নতুন বছরের প্রথম দিনটি হতাশায় কেটেছে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের। এদিন প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স ১১ পয়েন্ট হারিয়েছে। পাশাপাশি ৩০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছে এক্সচেঞ্জটিতে। দেশের আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) গতকাল সূচক লেনদেন দুটোই কমেছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল সকাল ১০টায় লেনদেন শুরুর পর প্রথম মিনিট পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী ছিল সূচক। এর পর থেকেই শেয়ার বিক্রির চাপে পয়েন্ট হারাতে থাকে সূচক। দিনভর সূচকের পতন অব্যাহত ছিল। শেষ পর্যন্ত গতকাল দিন শেষে আগের দিনের তুলনায় ১১ পয়েন্ট কমে হাজার ১৯৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে ডিএসইএক্স। এর আগের কার্যদিবসে যা ছিল হাজার ২০৭ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইর ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ গতকাল পয়েন্ট কমে হাজার ১৯৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের কার্যদিবসে যা ছিল হাজার ১৯৫ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস গতকাল দিন শেষে পয়েন্ট কমে হাজার ৩৫৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এর আগের কার্যদিবসে যা ছিল হাজার ৩৫৯ পয়েন্টে। গতকাল সূচকের পতনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস, ওরিয়ন ফার্মাসিউটিক্যালস, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং জেনেক্স ইনফোসিসের শেয়ারের।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, গতকাল পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীরা অনেকটাই নিষ্ক্রিয় ভূমিকায় থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। এর মধ্যে কেউ কেউ তাদের পোর্টফোলিওতে থাকা শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। সার্বিকভাবে বাজার নিম্নমুখী থাকলেও শেয়ারদর কমার নিম্নসীমায় শতাংশ সার্কিট ব্রেকারের কারণে দরপতনের গতি কিছুটা কম ছিল। ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক উচ্চ সম্পদশালী বিনিয়োগকারীদের অনেকেই নিষ্ক্রিয় ছিলেন। এতে দিন শেষে আগের দিনের তুলনায় গতকাল পুঁজিবাজারের লেনদেন অর্ধেকে নেমে এসেছে।

ডিএসইতে গতকাল ১৭৮ কোটি টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের কার্যদিবসে লেনদেন ছিল ৩৪৬ কোটি টাকা। গতকাল এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া ৩৩০টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড করপোরেট বন্ডের মধ্যে দিন শেষে দর বেড়েছে ১৯টির, কমেছে ১৪৯টির আর অপরিবর্তিত ছিল ১৬২টি সিকিউরিটিজের বাজারদর।

খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ২৪ দশমিক শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে ওষুধ খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১২ দশমিক শতাংশ দখলে নিয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি প্রকৌশল খাত। দশমিক শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে কাগজ মুদ্রণ খাত। মোট লেনদেনের দশমিক শতাংশের ভিত্তিতে চতুর্থ অবস্থানে ছিল জ্বালানি বিদ্যুৎ খাত। আর জীবন বীমা খাতের দখলে ছিল লেনদেনের শতাংশ।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন