অপরিশোধিত জ্বালানি তেল

উত্তোলন কমানোর পরও লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ ওপেক

বণিক বার্তা ডেস্ক

জ্বালানি তেল ছবি: আনাদোলু এজেন্সি

বিদ্যমান বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রতি মাসেই অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন কমাচ্ছে ওপেক এর মিত্র দেশগুলোর জোট ওপেক প্লাস। কিন্তু এর পরও উত্তোলন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হচ্ছে জোটটি।

আরগাস মিডিয়া শুক্রবার এক সমীক্ষা প্রতিবেদনে জানায়, গত মাসে ওপেক প্লাসের অপরিশোধিত জ্বালানি উত্তোলন কমে দৈনিক কোটি ৮২ লাখ ৯০ হাজার ব্যারেলে নেমেছে। হ্রাসকৃত কোটার চেয়ে দৈনিক ১৮ লাখ ১০ হাজার ব্যারেল করে কম উত্তোলন হয়েছে।

নভেম্বরে  ওপেক প্লাসের সদস্য দেশগুলো আগের মাসের তুলনায় লাখ ১০ হাজার ব্যারেল কম জ্বালানি তেল উত্তোলন করেছে। অক্টোবরের তুলনায় মাসে দৈনিক ২০ লাখ ব্যারেল কমিয়ে কোটা নির্ধারণ করা হয়েছে। যদিও ওই সময়ই সংশ্লিষ্টরা ধারণা করেছিলেন, কোটা কমানো হলেও তা অর্জনে ব্যর্থ হবে সদস্য দেশগুলো।

এদিকে ওপেক প্লাসের নন-ওপেক দেশগুলো ওপেকের সদস্য দেশগুলোর তুলনায় উত্তোলনে এগিয়ে ছিল। এসব দেশ গত মাসে উত্তোলন দৈনিক লাখ ৬০ হাজার ব্যারেল করে বাড়াতে সক্ষম হয়েছে, যা আট মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে কাজাখস্তানের উত্তোলন। দেশটি গত মাসে দৈনিক লাখ ৩০ হাজার ব্যারেল করে উত্তোলন বাড়িয়েছে। উত্তোলন বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রেখেছে রাশিয়াও। দেশটি দৈনিক লাখ ৯০ হাজার ব্যারেল করে উত্তোলন বাড়িয়েছে। মূলত শাখলাইন জ্বালানি তেল উত্তোলন প্রকল্প পুনরায় চালু হওয়ায় উত্তোলন বেড়েছে।

অন্যদিকে গত মাসে ওপেকের উত্তোলন আগের মাসের তুলনায় দৈনিক লাখ ৭০ হাজার ব্যারেল করে কমেছে, যা ছয় মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। উত্তোলন কমার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছে সৌদি আরব। দেশটি সময় দৈনিক লাখ ৪০ হাজার ব্যারেল করে উত্তোলন কমিয়েছে।

প্রসঙ্গত, অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন কমানোর সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে ওপেক এর মিত্র জোট ওপেক প্লাস। আগের মতোই মাসে দৈনিক ২০ লাখ ব্যারেল করে উত্তোলন কমাবে জ্বালানি তেল রফতানিকারক দেশগুলোর জোট। ওপেক নন-ওপেক দেশগুলোর মন্ত্রী পর্যায়ের এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। রোববার অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার স্থিতিশীল রাখতেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের রুশ জ্বালানি তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জি-৭ভুক্ত দেশগুলোর প্রাইস ক্যাপ (সর্বোচ্চ মূল্যসীমা) কার্যকর হওয়ার একদিন আগেই এমন সিদ্ধান্ত নিল ওপেক।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ওপেক প্লাস জানায়, বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে গত অক্টোবরেই প্রতি মাসে দৈনিক ২০ লাখ ব্যারেল করে উত্তোলন কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। বিগত দিনগুলোর পরিস্থিতি বিবেচনা করে বাজার অংশীজনদের জন্য এমন সিদ্ধান্ত নেয়া জরুরি হয়ে পড়েছিল। 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন