চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে এক গুচ্ছ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন সৌদি বাদশা সালমান বিন আব্দুলআজিজ। এরমধ্যে বৃহৎ প্রযুক্তি কোম্পানি হুয়াওয়ের সঙ্গে স্বাক্ষরিত একটি চুক্তিও আছে। এ চুক্তিকে তারা ‘ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি’ বলছেন।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে হুয়াওয়ের বাড়তে থাকা প্রভাব যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা উদ্বেগ বাড়িয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) সৌদি আরবে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সফরের মধ্যে এসব চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা এসপিএ জানিয়েছে, চীন ও সৌদির সংস্থাগুলো নিরাপদ জ্বালানি (গ্রিন এনার্জি), তথ্য প্রযুক্তি, ক্লাউড পরিষেবা, পরিবহন, নির্মাণ ও অন্যান্য খাতে বিনিয়োগের ৩৪টি চুক্তি স্বাক্ষর করে।
চুক্তিগুলোর বিনিয়োগের পরিমাণ উল্লেখ করা না হলেও এর আগে এসপিএ-র প্রতিবেদনে জানানো হয়েছিল, শি জিনপিংয়ের সফরকালে প্রাথমিকভাবে ৩০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে।
পশ্চিমা দেশগুলোর বাইরে নতুন বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব জোরদারে তৎপর সৌদি আরব। গত বুধবার তিন দিনের সফরে যাওয়া চীনের প্রেসিডেন্টকে রাজকীয় অভ্যর্থনা জানিয়েছে।
সৌদি আরবের গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক উপসম্পাদকীয়তে শি জানান, আরব বিশ্ব, উপসাগরীয় আরব দেশগুলো ও সৌদি আরবের সঙ্গে চীনের সম্পর্কের ‘নতুন যুগ শুরু’ করতে একটি ‘সূচনা সফরে’ সেখানে গিয়েছেন তিনি। চীন ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতি’ অবলম্বন করবেন বলেও জানান তিনি।
চীনের গণমাধ্যম সিসিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একই মনোভাব পোষণ করেছেন যুবরাজ সালমানও। তিনি ‘মানবাধিকারের নামে চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের’ বিরোধী।
এদিকে আরেকটি বৈঠকে অন্যান্য আরব নেতা ও উপসাগরীয় তেল উৎপাদনকারীদের সঙ্গে বসার কথা রয়েছে শি’র।