সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট আরব আমিরাতের

বণিক বার্তা অনলাইন

ছবি: অ্যারাবিয়ান নিউজ

বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ভ্রমণ নথির তালিকার শীর্ষে স্থান পেয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) পাসপোর্ট। বৈশ্বিক আর্থিক পরামর্শক সংস্থা আরটন ক্যাপিটাল পাসপোর্ট সূচকের এ তালিকা করেছে। যেখানে শীর্ষ দশের প্রথমটি ছাড়া বাকি সব স্থান ইউরোপের দখলে। খবর অ্যারাবিয়ান বিজনেস।

চলতি বছরের শুরুতে হেনলে অ্যান্ড পার্টনার্সের একটি তালিকা অনুযায়ী, ইউএই পাসপোর্টধারী ভ্রমণকারীরা কোনো ধরনের বাধা-বিঘ্ন ছাড়াই বিশ্বের ১৮০টি দেশে প্রবেশ করতে পারে।

ইউএই’র তুলনায় ইউরোপের জার্মানি ও সুইডেনের পাসপোর্ট নিয়ে সাতটি ও জাপানের পাসপোর্টে নয়টির কম দেশে ভ্রমণ করা যায়।  

আরটনের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে জাপানের অবস্থান ২৪ এবং জাপানি পাসপোর্টে বিশ্বের ১৭১টি দেশে ভ্রমণ করা যায়।

তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৯২। ভিসা-ফ্রি যাতায়াতের সুবিধা রয়েছে ১৪টি দেশে, ভিসা অন অ্যারাইভাল সুবিধা পাওয়া যায় ৩২টি দেশে।

করোনা মহামারীজুড়ে ইউএই পুরোদমে লকডাউন ও মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা থেকে বিরত ছিল।

এক বিবৃতিতে আরটন জানায়, ইউরোপে সংঘাত ও সীমান্তে উত্তেজনা থাকা সত্ত্বেও বৈশ্বিক গতিশীলতা দ্রুত বাড়ছে। যদিও বিশ্বজুড়ে মহামারীর প্রভাব চলমান রয়েছে, এ অবস্থায় এক দেশ থেকে আরেক দেশ ভ্রমণ করা সহজতর নয়। আগামী ২০২৩ সালে পাসপোর্ট জটিলতায় ভ্রমণ করা আরো জটিল হবে।

আরো জানায়, বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশে এ বছর পাসপোর্ট শক্তিশালী হয়েছে। তবে ইউরোপীয় কিছু দেশের চেয়ে যুক্তরাজ্য তুলনামূলক ধীর গতিতে এগোচ্ছে।

আরটনের তথ্য অনুযায়ী, শক্তিশালী পাসপোর্ট বিবেচনায় যুক্তরাজ্যের বর্তমান অবস্থান ২৫তম এবং ১৭১টি দেশে প্রবেশাধিকার রয়েছে। তালিকা অনুযায়ী সংযুক্ত আরব আমিরাতের পরে রয়েছে জার্মানি, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, লুক্সেমবার্গ, স্পেন, ফ্রান্স, ইতালি, নেদারল্যান্ড ও অস্ট্রিয়ার পাসপোর্ট। এইসব দেশের পাসপোর্ট ১৭৩টি দেশে নির্বিঘ্নে প্রবেশাধিকার দেয়।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ভিসা ওয়েভার স্কিম স্থগিত করার কারণে ভানুয়াতুই একমাত্র দেশ যার স্কোর হ্রাস পেয়েছে। অন্যদিকে আফগানিস্তানের পাসপোর্টের মান আরো নিচে নেমেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন