
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি ইয়াকিন পলিমার লিমিটেডের শেয়ারপ্রতি লোকসান (ইপিএস) সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২১-২২ হিসাব বছরে ৭১ পয়সায় দাঁড়িয়েছে। এর আগের হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ৫৫ পয়সা। লোকসানের কারণে আলোচ্য হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো লভ্যাংশও ঘোষণা করেনি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গিয়েছে।
সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৬ টাকা ১৬ পয়সায়। কভিড-১৯ অতিমারী, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, চলতি মূলধন সংকট, বিক্রি কমে যাওয়ার পাশাপাশি কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে লোকসান গুনতে হয়েছে বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি।
লোকসানের কারণে এর আগের ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০-২১ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি কোম্পানিটি। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৫৫ পয়সা। আগের হিসাব বছরে যেখানে শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ১ পয়সা। ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ১১ টাকা ১২ পয়সায়। আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ১১ টাকা ৭৪ পয়সা।
২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল ইয়াকিন পলিমার। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ১ পয়সা। আগের হিসাব বছরে যেখানে আয় ছিল ১৫ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)। ৩০ জুন ২০২০ শেষে প্রতিষ্ঠানটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ১১ টাকা ৭৪ পয়সায়। আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ১১ টাকা ৭৩ পয়সা।
২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল ইয়াকিন পলিমার। তার আগের হিসাব বছরে ৩ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।
২০১৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া ইয়াকিন পলিমারের অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা। বর্তমান পরিশোধিত মূলধন ৭৩ কোটি ৬৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা। রিজার্ভে আছে ৮ কোটি ২৯ লাখ টাকা। মোট শেয়ারসংখ্যা ৭ কোটি ৩৬ লাখ ৯৮ হাজার ৮১৭টি। এর মধ্যে ৩০ দশমিক ৫২ শতাংশ উদ্যোক্তা-পরিচালক, ২২ দশমিক ২২ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও বাকি ৪৭ দশমিক ২৬ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।