অর্থনীতির বিভিন্ন পরিমাপক অনুযায়ী বৈদেশিক
অর্থনীতির সঙ্গে একই গতিতে বাংলাদেশের অর্থনীতিও এগিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে
এখন আমাদের লক্ষ্য হলো ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা। একই
সঙ্গে ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়া।’
আজ বৃহস্পতিবার লালমাই উপজেলার বাগমরা উচ্চ বিদ্যালয়
মাঠে কুমিল্লা জেলা দক্ষিণের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের সভাপতির
বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও অর্থমন্ত্রী নিজের বক্তৃতায়
দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালে আমরা ছিলাম ৬০তম
অর্থনীতির দেশ, আর আজ আমরা বিশ্বের ৪১তম
অর্থনীতির দেশ। আমরা এখন দাঁড়িয়েছি ভারত, চীন, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনামের মত দেশের কাতারে। এ সবই সম্ভব হয়েছে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আপনাদের সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়।’
‘জাতির পিতার আজীবনের স্বপ্ন ছিল ভৌগোলিক ও
অর্থনৈতিক মুক্তি। তিনি আমাদের ভৌগোলিক মুক্তি এনে দিয়েছেন। কিন্তু অর্থনৈতিক
মুক্তির কাজটি তার জীবদ্দশায় সমাপ্ত করে যেতে পারেননি। কারণ আপনারা জানেন, সে সুযোগটি তিনি পাননি। সকলকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের জাতির
পিতার সে অসমাপ্ত কাজ শেষ করার দায়িত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’, যোগ করেন এ নেতা।
আ হ ম মুস্তফা কামাল আরো বলেন, প্রাথমিকভাবে একটি দেশের অর্থনীতির পরিমাপ করা হয় জিডিপি দিয়ে। যে দেশের জিডিপি যতো বেশি, অর্থনীতির এলাকায় সে দেশ তত বেশি শক্তিশালী। ২০০৮ সালে আমাদের জিডিপির আকার ছিল ৯১ বিলিয়ন ডলার। সেখান থেকে মাত্র ১৪ বছরে সাড়ে চার গুণ বেড়ে আজ জিডিপি দাঁড়িয়েছে ৪৬৫ বিলিয়ন ডলার। ২০০৯ থেকে ২০১৯, দশ বছরে বাংলাদেশ ১৮৮ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করে সারাবিশ্বে প্রথম স্থান অর্জন করেছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘অর্থনীতির এলাকায় অগ্রগতির আরেকটি পরিমাপক হলো মাথাপিছু জাতীয় আয়। আমাদের মাথাপিছু আয় ৬৮৬ ডলার থেকে ৪ গুণ বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৮২৪ ডলার। গত ১৪ বছরে প্রায় ২ কোটি ২৭ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। তার মধ্যে ৭৫ লাখ কর্মীর বিদেশে কর্মসংস্থান হয়েছে। রেমিট্যান্স আয় ৮ বিলিয়ন ডলার থেকে তিনগুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫ বিলিয়ন ডলার। রপ্তানি আয় ১৪ বিলিয়ন ডলার থেকে চার গুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬১ বিলিয়ন ডলার। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ মাত্র ৬ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে এখন ৩৪ বিলিয়ন ডলার। তা দিয়ে আমরা প্রায় সাড়ে ৫ মাসের আমদানি ব্যয় মেটাতে পারবো।’