ইউক্রেনে চলমান বিশেষ সামরিক অভিযান দীর্ঘ
হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সঙ্গে এও বলেন, এই মুহূর্তে
অতিরিক্ত সেনা সংগ্রহের কোনো প্রয়োজন নেই। খবর রয়টার্স।
গতকাল বুধবার (৭ ডিসেম্বর) ক্রেমলিনের মানবাধিকার
কাউন্সিলের একটি টেলিভিশন আলোচনায় তিনি এ সব কথা বলেন।
ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর নয় মাসেরও
বেশি সময় পর পুতিন সতর্ক করে বললেন, সংঘাত ‘দীর্ঘ’ হতে পারে।
তিনি বলেন, গত সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে কমপক্ষে
তিন লাখ সংরক্ষিত বাহিনীকে তলব করা হয়েছিল। দ্বিতীয়বার নতুন করে সংগঠিত করার দরকার
নেই। যাদের ডাকা হয়েছিল তাদের দেড় লাখকে ইউক্রেনে মোতায়েন করা হয়েছে। তাদের মধ্যে
৭৭ হাজার সেনা যুদ্ধ ইউনিটে ও বাকিরা প্রতিরক্ষামূলক কাজে যুক্ত রয়েছে। বাকি দেড় লাখ
এখনো প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রয়েছে।
এ দিকে আলোচনায় থাকা পরমাণু হামলা নিয়েও মন্তব্য
করেছেন পুতিন। তিনি বলেন, রাশিয়া আগে কখনো পরমাণু হামলা চালাবে না এবং কাউকে পরমাণু
অস্ত্র দিয়ে হুমকি দেবে না। পরমাণু অস্ত্র কী, তা রাশিয়া জানে।
মস্কোর কাছে সর্বাধুনিক পরমাণু অস্ত্র আছে
জানিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, রাশিয়ার পরমাণুনীতি যুক্তরাষ্ট্রের মতো না।
তার দাবি, মার্কিনিরা তাদের পরমাণু অস্ত্র
তুরস্কসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশেও মজুদ রেখেছে। যা রাশিয়া করেনি।
পুতিন দাবি করেন, ইউক্রেনের খেরসন, জাপোরিঝজিয়া,
দোনেৎস্ক ও লুহানেস্ক এখনো তাদের দখলে বেশ ভালো আছে।
পরমাণু অস্ত্র নিয়ে পুতিনের মন্তব্যের জবাবে
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেড প্রাইস বলেন, আমরা মনে করি পারমাণবিক অস্ত্র
নিয়ে এ ধরনের বেফাঁস কথাবার্তা একেবারেই দায়িত্বজ্ঞানহীন।