আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়েছে অ্যারাবিকা কফির ভবিষ্যৎ সরবরাহ মূল্য। ব্রাজিল ও কলম্বিয়ার চাষীরা বিক্রি কমিয়ে দেয়ায় পানীয় পণ্যটির বাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা তৈরি হয়েছে। খবর বিজনেস রেকর্ডার।
এদিকে শীর্ষ উৎপাদক ভিয়েতনামে বৃষ্টিপাতের কারণে কফি সংগ্রহ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চাষীরা। বৃষ্টির কারণে সংগ্রহের সময় কফির গুণগত মান কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আইসিই ফিউচারস এক্সচেঞ্জে গতকাল মার্চে সরবরাহ চুক্তিতে অ্যারাবিকা কফির দাম ১ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে। প্রতি পাউন্ডের মূল্য স্থির হয়েছে ১ ডলার ৬৫ সেন্টে।
ডিলাররা বলছেন, ডলারের বিপরীতে ব্রাজিলিয়ান রিয়ালের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় কফি বিক্রিতে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন বিশ্বের শীর্ষ উৎপাদক দেশটির চাষীরা। পাশাপাশি আইসিই এক্সচেঞ্জে নিম্নমুখী মজুদও দাম বাড়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করছে। ৫ ডিসেম্বর আইসিই ফিউচারসে কফির মজুদ দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৩৭ হাজার ৩৬০ ব্যাগে, যা ২৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
কলম্বিয়ার ন্যাশনাল কফি ফেডারেশন জানায়, গত মাসে দেশটি ১০ লাখ ৬০ হাজার ব্যাগ (প্রতি ব্যাগে ৬০ কেজি) অ্যারাবিকা কফি উৎপাদন করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় উৎপাদন ৬ শতাংশ কমেছে। ভারি বৃষ্টিপাত উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
আইসিই ফিউচারসে জানুয়ারিতে সরবরাহ চুক্তিতে রোবাস্তা কফির দাম ১ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে। প্রতি টনের মূল্য স্থির হয়েছে ১ হাজার ৯২৫ ডলারে।
