মাত্র ২১ বছর বয়সে বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক করার গৌরব অর্জন
করলেন পর্তুগালের গনসালো রামোস। এটা কাতার বিশ্বকাপের প্রথম হ্যাটট্রিক। মঙ্গলবার রাতে শেষ ষোলোর ম্যাচে রামোসের হ্যাটট্রিকে
ভর করে সুইজারল্যান্ডকে ৬-১ গোলে গুঁড়িয়ে শেষ আটের টিকিট পায় পর্তুগিজরা। ২০০৬
সালের পর এই প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল পর্তুগাল। জার্মানিতে সেবার তারা চতুর্থ
হয়েছিল।
লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে গনসালো রামোসের জাদুকরি
পারফরম্যান্সে ভর করে সুইজারল্যান্ডকে বিধ্বস্ত করে পর্তুগাল। ক্রিস্টিয়ানো
রোনালদোর জায়গায় মূল একাদশে খেলার সুযোগ পেয়েই বাজিমাত করলেন রামোস। ম্যাচের ১৭, ৫১ ও ৬৭ মিনিটে মিনিটে তিন গোল করেন রামোস।
উল্লেখ্য, মূল একাদশে
প্রথমবার সুযোগ পেয়েই হ্যাটট্রিক করলেন রামোস। এর আগে সাকল্যে পর্তুগালের হয়ে তিনি
খেলেন মাত্র ৩৩ মিনিট। এবার বিশ্বকাপ মঞ্চে নেমেই নিজেকে চেনালেন।
রামোস ছাড়াও পর্তুগালের হয়ে এদিন গোল করেন পেপে, রাফায়েল গেরেরো ও রাফায়েল লিয়াও। ৩৯ বছর বয়সী ডিফেন্ডার
পেপে ৩৩ মিনিটে উড়ন্ত হেডে গোল করেন। ৫৬ মিনিটে ব্যবধান ৪-০ করেন রাফায়েল গেরেরো।
এর দুই মিনিট পর ম্যানুয়েল আকানজি ব্যবধান কমান (৪-১)। ম্যাচের
৬৭ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন রামোস। আর যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে
পর্তুগালের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন লিয়াও।
জার্মানির মিরোস্লাভ ক্লোসার পর দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে
বিশ্বকাপে মূল একাদশে প্রথম নেমেই হ্যাটট্রিক করলেন রামোস। ২০ বছর আগে এই কীর্তি
গড়েছিলেন ক্লোসা।
একুশ শতকে মাত্র দ্বিতীয় দল হিসেবে বিশ্বকাপের নকআউট ম্যাচে
৬ গোলের বেশি করার কৃতিত্ব দেখাল পর্তুগাল। ২০১৪ বিশ্বকাপে ব্রাজিলকে ৭-১ গোলে
হারিয়েছিল জার্মানি।
শনিবার কোয়ার্টার ফাইনালে পর্তুগালের প্রতিপক্ষ মরক্কো।