স্পেনকে বিদায় করে প্রথমবার কোয়ার্টারে মরক্কো

ক্রীড়া প্রতিবেদক

সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন স্পেনকে টাইব্রেকারে হারিয়ে প্রথমবারে মতো বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে মরক্কো। আজ এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে জিব্রাল্টার প্রণালীর দুই পাড়ের লড়াই দারুণ জমে ওঠে। যদিও ১২০ মিনিটে হারেনি কোনো দল। দীর্ঘ লড়াই গোলশূন্য থাকার পর টাইব্রেকারে ৩-০ গোলের ব্যবধানে জয়লাভ করে আফ্রিকার দেশটি। এর আগে বিশ্বকাপের তাদের সর্বোচ্চ অর্জন ছিল শেষ ষোলো। আর টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের শেষ ষোলো থেকে বিদায় ঘটল ২০১০ আসরের চ্যাম্পিয়নদের।

১ হাজার ১৯টি পাস দিয়েও গোল পায়নি স্পেন। এর আগে ১ হাজার ৫৮ পাস খেলেও জাপানের কাছে হেরেছে এনরিকের দল।

অতিরিক্ত সময়ের ১৪তম মিনিটে ম্যাচের সেরা সুযোগ পেয়েছিল মরক্কো। যদিও আজ্জেদিন ওনাহির পাস থেকে বক্সের মধ্যে বল পেয়ে ১০ গজ দূর থেকে শট নিয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন ওয়ালিদ চেদ্দিরা। তার শট সোজাসুজি স্পেনের গোলকিপার উনাই সিমনের পায়ে লাগে। এতে বড় বাঁচা বেঁচে যায় সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। অতিরিক্ত সময়ের যোগ করা সময়ের একেবারে শেষ মিনিটে সারাবিয়ার শট মরক্কোর বারে লেগে বাইরে বেরিয়ে গেলে গোলবঞ্চিত হয় স্পেন।

এর আগে অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো তিনটি নকআউট ম্যাচে হেরেছে মরক্কো। দুটি আফ্রিকান নেশন্স কাপে ও একটি আরব কাপে। স্পেনের সর্বশেষ দুটি বিশ্বকাপ নকআউট ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে গড়ায়। ২০১০ সালের ফাইনালে তারা ১-০ গোলে হারায় নেদারল্যান্ডসকে, আর ২০১৮ সালে শেষ ষোলোয় হেরেছে স্বাগতিক রাশিয়ার কাছে।

কাল নির্ধারিত ৯০ মিনিটে সবকিছুতে এগিয়ে থাকলেও গোল পায়নি স্পেন। এ সময় ৭৭ শতাংশ বল দখলে রাখে লুই এনরিকের দল, মরক্কোর পায়ে ছিল ২৩ শতাংশ। উল্লেখ্য, গ্রুপ পর্বে ৭৮ শতাংশ বল দখলে রেখেও জাপানের কাছে হেরেছিল স্পেন। সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা মরক্কোর গোলমুখে ৭টি শট নেয়, যার মধ্যে মাত্র একটি ছিল অন টার্গেট। অন্যদিকে, মরক্কোর ৪টি শটের মধ্যে একটি ছিল অন টার্গেট। স্পেনের ৫টি কর্নারের বিপরীতে মরক্কানরা কোনো কর্নারই পায়নি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন