অস্তিত্বের সংকটে বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ এসএমই

বণিক বার্তা ডেস্ক

কিউবায় হাভানা ব্র্যান্ডের একটি দোকান ছবি: এপি

চলতি বছরে বিশ্বের ছোট মাঝারি ব্যবসাগুলোর (এসএমই) দুই-তৃতীয়াংশকেই টিকে থাকার জন্য লড়াই করতে হয়েছে। আয় সংকোচন এবং নতুন বাজার সম্প্রসারণ ব্যাহত হওয়ায় ২০২২ সালজুড়ে ধুঁকছে এসএমই খাত। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) এক প্রতিবেদনে তথ্য উঠে এসেছে।

ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের (এনইউএস) সঙ্গে যৌথ গবেষণার ভিত্তিতে ডব্লিউইএফ জানায়, বিশ্বের মোট কোম্পানির ৯০ শতাংশই এসএমই খাতের। খাতের জন্য শঙ্কার বিষয় মেধাবী কর্মীর ঘাটতি। মেধাবী কর্মী আকর্ষণ, তাদের ধরে রাখা প্রশিক্ষিত শ্রমশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে কোম্পানিগুলো।

মূল্যস্ফীতি, সুদহার বেড়ে যাওয়া এবং ইউক্রেনে চালানো রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণেও অনেকে বাধার মুখে পড়েছেন। এই সময়ে তাদের ব্যবসা কৌশলও নতুন করে নির্ধারণ করতে হয়েছে বলে জানান এনইউএসের প্রফেসর এবং গবেষণার সহপ্রধান লেখক রাশিমাহ রাজাহ।

৪৯ জনের কম কর্মী রয়েছে, এমন সব ব্যবসা এবং যাদের বছরে আয় ৫০ লাখ ডলারের কম, সেগুলোকে ছোট ব্যবসা বলা হয় আর যেসব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে কর্মীর সংখ্যা ৫০-২৫০ এবং বছরে আয় কোটি ডলারের কম, সেগুলোকে মাঝারি ব্যবসা বলা হয়।

বিশ্বব্যাপী এসএমইর আকার ২০২৭ সাল নাগাদ ৫৫ দশমিক ট্রিলিয়ন ডলারে গিয়ে দাঁড়াবে বলে ধারণা করা হয়েছিল, সেখানে সম্মিলিত বার্ষিক প্রবৃদ্ধি হার বা সিএজিআর থাকবে ২৭ দশমিক শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইমার্ক গ্রুপের তথ্য বলছে, ২০২১ সালে এসএমই খাতের আকার ছিল ১৩ ট্রিলিয়ন ডলার।

যেকোনো দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড হিসেবে ধরা হয় এসএমইকে। আর সেটা ব্যক্তি খাতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, ব্যবসা-বাণিজ্যের তাত্পর্যপূর্ণ অংশ এটা দিয়েই পরিপূর্ণ হয়। দুই-তৃতীয়াংশ কর্মক্ষেত্র তৈরি এবং জিডিপিতে ভূমিকা রাখে সারা বিশ্বের এসএমই।

নগদ অর্থ ঘাটতি দুর্বল সরবরাহ চেইনের কারণে আর্থিকভাবে সবসময় ঝুঁকিতে থাকে এসএমই খাত। এছাড়া অর্থনৈতিক সংকটের সময় ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর মতো সহায়তা পায় না। করোনা মহামারীতে এটি আরো স্পষ্ট হয়ে দেখা দিয়েছে। বৃহৎ প্রতিষ্ঠানগুলো সরকার আর্থিক খাত থেকে সহজে ঋণ আর্থিক প্রণোদনা পেলেও এসএমই সেখানে বঞ্চিত। কভিড-১৯-এর অভিঘাতে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ এসএমই বন্ধ হয়ে গেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন