চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে করোনাভাইরাস টেস্টের
বাধ্যবাধকতা বাতিল করা হয়েছে। এখন থেকে বাসিন্দাদের ক্ষেত্রে সুপার মার্কেট, অফিস ও
বিমানবন্দরে প্রবেশে কভিড-১৯ নেগেটিভ রেজাল্টের প্রয়োজন হবে না বলে জানিয়েছে নগর কর্তৃপক্ষ।
খবর রয়টার্স।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন গণমাধ্যম চায়না ডেইলি
জানায়, বেইজিংয়ের বাসিন্দাদের আবারো স্বাভাবিক জীবনের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। তারাও
প্রাক-মহামারী পর্যায়ে পৌঁছতে ধীরে ধীরে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
কিছুদিন ধরে নগর কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন পর্যায়ে
কভিড বিধিনিষেধ শিথিল করে আসছে। এখন মহামারীর প্রায় তিন বছর পর পুরোপুরি স্বাভাবিক
অবস্থার দিকে যাচ্ছে বেইজিং। দেশটিতে বিনিয়োগকারীরাও বিভিন্ন খাত দিয়ে আবারো আশাবাদী
হয়ে উঠছে।
এদিকে পাতাল রেল ভ্রমণে টেস্টের প্রয়োজনীয়তাও
বাতিল করেছে বেইজিং। ২৭ বছর বয়সী হু ডংক্সু স্টেশনে প্রবেশের আগে ভ্রমণ কার্ড সোয়াইপ
করার সময় রয়টার্সকে জানান, মহামারী নিয়ন্ত্রণে আসার পর স্বাভাবিকতার দিকে যেতে কর্তৃপক্ষের
এটিই সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ।
গত নভেম্বরে বাসিন্দাদের একের পর এক বিক্ষোভের
পর চীনা সরকার কভিড বিধিনিষেধ শিথিল করতে থাকে। যা ২০১২ সালে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং
ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে মূল ভূখণ্ডে সবচেয়ে বড় আন্দোলন।
২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর দেশটির হুবেই প্রদেশের
উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। এরপর ২০২০ সালে একে একে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোতে
তা ছড়িয়ে পড়ে। তবে উন্নত অর্থনীতির কিছু দেশে মৃত্যুর সংখ্যা কয়েক লাখ পেরোলেও চীন
কভিড-জিরো নীতি প্রয়োগ করে প্রাণহানি কয়েক হাজারে সীমাবদ্ধ রেখেছে।