ইআরএফের সেমিনারে বিএসইসি চেয়ারম্যান

বিপাকে পড়ে ফ্লোর প্রাইস দিতে হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

উন্নত দেশগুলোর পুঁজিবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের আধিক্য থাকলেও বাংলাদেশে ঠিক তার উল্টো। এখানে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা বেশি। ফলে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় বিপাকে পড়ে ফ্লোর প্রাইস দিতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। তিনি গতকাল ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের সমস্যা সম্ভাবনা শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

ইআরএফের সভাপতি শারমিন রিনভীর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক এসএম রাশিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সেমিনারে প্যানেল আলোচক ছিলেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমান, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজের (বিএপিএলসি) সাবেক সভাপতি আজম যে চৌধুরী এবং বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সহসভাপতি মো. মনিরুজ্জামান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, উন্নত দেশগুলোর স্টক এক্সচেঞ্জে ৯০ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক, বাকি ১০ শতাংশ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী। কিন্তু আমাদের দেশে ঠিক তার উল্টো। আমাদের বাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী থাকলে ফ্লোর প্রাইস নিয়ে আমরা চিন্তাও করতাম না। আমি ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব সিকিউরিটিজ কমিশনসের (আইওএসকো) একজন কর্মকর্তা, আমাকে বিপাকে পড়ে ফ্লোর প্রাইসের কথা ভাবতে হয়েছে। শুধু ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের কথা ভেবে কমিশনকে ফ্লোর প্রাইসের কথা চিন্তা করতে হয়েছে।

সেমিনারে পুঁজিবাজারের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন ডিএসইর চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমান। তিনি বলেন, আমাদের বাজারে জেনে-বুঝে বিনিয়োগ করা বিনিয়োগকারীর সংখ্যা কম।

সিএসইর চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম বলেন, আমাদের দেশের অর্থনীতির আকার অনুযায়ী কমোডিটি এক্সচেঞ্জ নেই। খুব তাড়াতাড়ি আমরা ভারতের মাল্টি কমোডিটি এক্সচেঞ্জের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হব।

বিএপিএলসির সাবেক সভাপতি আজম যে চৌধুরী বলেন, এলসি খুলতে ব্যাংকের দ্বারে দ্বারে ঘুরছি। এভাবে হলে কী করে ব্যবসা করব।  তার পরও বছরে ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছি।

বিএমবিএর সহসভাপতি মো. মনিরুজ্জামান বলেন, পুঁজিবাজার খারাপ হলেই প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীসহ কিছু পকেট বিনিয়োগকারীকে বলে-কয়ে শেয়ার কিনিয়ে ডিমান্ড সাইড তৈরি করা হয়। বাজার বাড়লে ওই বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রি করেন। দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ নেই। এটাই বাজারের সংস্কৃতি। এমন জোয়ার-ভাটার বাজার থেকে মুক্তি চাই।

সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে ইআরএফের সাবেক সভাপতি সুলতান মাহমুদ সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান বক্তব্য রাখেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন