মাৎস্যবিজ্ঞান

মাৎস্যবিজ্ঞানে পড়াশোনার সুযোগ

শফিকুল ইসলাম

শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ল্যাবে শিক্ষার্থীরা ছবি: মাসফিকুর সোহান

মৎস্যসম্পদের বিশাল সম্ভাবনার কথা বিবেচনা করে উপমহাদেশে বিষয়ে প্রথম পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় ১৯৬৭ সালে ময়মনসিংহে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ চালু হয়। বর্তমানে সাত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে মাৎস্যবিজ্ঞানে চার বছরের স্নাতক ডিগ্রির পাশাপাশি এক বছরের এমএস ইন অ্যাকুয়াকালচার, এমএস ইন ফিশ ব্রিডিং অ্যান্ড জেনেটিকস, এমএস ইন কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন সায়েন্স, এমএস ইন ফিশ প্রসেসিং অ্যান্ড কোয়ালিটি কন্ট্রোল, এমএস ইন ফিশারিজ বায়োলজি অ্যান্ড জেনেটিকস, এমএস ইন ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করা হয়।

আন্তর্জাতিক মানের মাৎস্যবিজ্ঞান শিক্ষাদানের জন্য কৃষিবিজ্ঞান বিষয়ে ডিগ্রি প্রদানকারী সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদে রয়েছে পাঁচটি বিভাগ। ফিশারিজ বায়োলজি অ্যান্ড জেনেটিকস, অ্যাকুয়াকালচার, ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট, ফিশারিজ টেকনোলজি মেরিন ফিশারিজেস সায়েন্স বিভাগে সব মিলিয়ে আসন সংখ্যা ১২০। গাজীপুরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ বায়োলজি অ্যান্ড অ্যাকুয়াটিক এনভায়রনমেন্ট বিভাগে রয়েছে ৬০টি আসন। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ অ্যাকুয়াকালচার অ্যান্ড মেরিন সায়েন্স অনুষদের ফিশারিজ বায়োলজি অ্যান্ড জেনেটিকস, অ্যাকুয়াকালচার, ফিশিং অ্যান্ড পোস্ট হার্ভেস্ট টেকনোলজি, অ্যাকুয়েটিক অ্যানিমেল হেলথ ম্যানেজমেন্ট, অ্যাকুয়েটিক এনভায়রনমেন্ট হেলথ ম্যানেজমেন্ট, মেরিন ফিশারিজ অ্যান্ড ওশানোগ্রাফি ছয় বিভাগে ৬১টি আসন রয়েছে।

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের অধীনে রয়েছে অ্যাকুয়াকালচার, অ্যাকুয়াটিক রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট, কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ, ফিশ হেলথ ম্যানেজমেন্ট, ফিশ বায়োলজি অ্যান্ড জেনেটিকস, ফিশারিজ টেকনোলজি অ্যান্ড কোয়ালিটি কন্ট্রোল নামে ছয়টি বিভাগ। আসন সংখ্যা ৭৫। পটুয়াখালী বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের অধীনে ফিশারিজ বায়োলজি অ্যান্ড জেনেটিকস, অ্যাকুয়াকালচার, ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট, ফিশারিজ টেকনোলজি মেরিন ফিশারিজ অ্যান্ড ওশানোগ্রাফি বিভাগে আসন রয়েছে ৭২টি। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যানিমেল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদে ফিশ বায়োলজি অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি, অ্যাকুয়াকালচার, মেরিন বায়ো-রিসোর্সেস সায়েন্স, ফিশারিজ রিসোর্সেস ম্যানেজমেন্ট ফিশিং অ্যান্ড পোস্ট-হারভেস্ট টেকনোলজি বিভাগে মোট আসন সংখ্যা ৬৫। খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ অ্যান্ড ওশান সায়েন্সেস অনুষদে আসন রয়েছে ৩০টি। অনুষদের অধীনে থাকা ছয়টি বিভাগ হলোফিশারি বায়োলজি অ্যান্ড জেনেটিকস, অ্যাকুয়াকালচার, ফিশারি রিসোর্সেস কনজারভেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট, ফিশারিজ টেকনোলজি অ্যান্ড কোয়ালিটি কন্ট্রোল, ওশানোগ্রাফি ফিশ হেলথ ম্যানেজমেন্ট।

এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্য অনুষদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ ইনস্টিটিউটের ফিশারিজ বিভাগ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি ডিসিপ্লিন, যশোর বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) বায়োলজিক্যাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগ, নোয়াখালী বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) বিজ্ঞান অনুষদে ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন সায়েন্স বিভাগ, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) ফিশারিজ অনুষদের অধীন ফিশারিজ বায়োলজি অ্যান্ড জেনেটিকস, অ্যাকুয়াকালচার, ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট, ফিশারিজ টেকনোলজি বিভাগ এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদে ফিশারিজ বিভাগে পড়ার সুযোগ রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন