তৃতীয় প্রান্তিকে অস্ট্রেলিয়ায় কমেছে স্বর্ণ উত্তোলন

বণিক বার্তা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ায় চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) স্বর্ণ উত্তোলন কমেছে। তবে উত্তোলন কমলেও খাতটি প্রবৃদ্ধিতে ছিল। সম্প্রতি মেলবর্নভিত্তিক স্বর্ণ উত্তোলনবিষয়ক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান সারবিটন অ্যাসোসিয়েটস এক প্রতিবেদনে তথ্য জানিয়েছে।

গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি জানায়, তৃতীয় প্রান্তিকে অস্ট্রেলিয়ার স্বর্ণ উত্তোলন আগের প্রান্তিকের তুলনায় শতাংশ কমেছে। উত্তোলনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৬ টনে। দ্বিতীয় প্রান্তিকে দেশটি ৮৩ টন স্বর্ণ উত্তোলন করেছিল। চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দেশটি সব মিলিয়ে ২৩৫ টন স্বর্ণ উত্তোলন করেছে।

সারবিটন অ্যাসোসিয়েটসের পরিচালক . সান্ড্রা ক্লজ বলেন, সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে অস্ট্রেলিয়ার স্বর্ণ উত্তোলন ছিল হতাশাজনক। তবে দীর্ঘমেয়াদি বিবেচনায় খাতটি ভালো অবস্থার মধ্যেই রয়েছে। বৈরী আবহাওয়া কভিড-১৯ জনিত কিছু বিষয় উত্তোলনকে বাধাগ্রস্ত করেছে। তবে এসবের প্রভাব কমছে। অন্যদিকে ঊর্ধ্বমুখী উত্তোলন ব্যয়ও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

যদিও গ্রীষ্মজুড়ে স্বর্ণের বাজারদর টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্য গিয়ে গিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ান ডলারের বিপরীতে মূল্যবান ধাতুটির দাম ঊর্ধ্বমুখী। স্বল্প মাত্রায় কমলেও অস্ট্রেলিয়ান ডলারের বিপরীতে ধাতুটির দাম হাজার ৫০০ ডলারের ওপরে অবস্থান করছে।

এদিকে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ উত্তোলক দেশটিতে উত্তোলন কমলেও বৈশ্বিক চাহিদা পরিস্থিতি ঊর্ধ্বমুখী ছিল। ফলে আগামী মাসগুলোয় উত্তোলন ফের বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ফিউচার মার্কেটে নিম্নমুখী প্রবণতা এক্সচেঞ্জগুলোর মাধ্যমে লেনদেন হওয়ার পণ্যের বহিঃপ্রবাহ সত্ত্বেও বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) স্পট মার্কেটে স্বর্ণের চাহিদা বেড়েছে। এর মধ্য দিয়ে চাহিদা মহামারীপূর্ব অবস্থায় ফিরে গিয়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদনে তথ্য জানিয়েছে ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল।

প্রান্তিকভিত্তিক চাহিদা প্রতিবেদনে কাউন্সিল জানায়, জুলাই-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে মূল্যবান ধাতুটির বৈশ্বিক চাহিদা দাঁড়িয়েছে হাজার ১৮১ টনে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন