পুঁজিবাজার ও আর্থিক খাতে লংকাবাংলার উপস্থিতি সুদৃঢ়

লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের বর্তমান ব্যবসায়িক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাই?

লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেড দেশের অন্যতম আর্থিক সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিগত ২৫ বছর ধরে গ্রাহকদের আস্থা নির্ভরতার সঙ্গে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। ১৯৯৭ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকেই আমরা বিভিন্ন নীতিনির্ধারক, দক্ষ জনশক্তি সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে একটি সময়োপযোগী আর্থিক ব্যবস্থাপনা উপস্থাপন করার চেষ্টা করছি। আমরা এখন একটি বৈশ্বিক সংকট পার করে এসে নিজেদের ধীরে ধীরে পুনর্গঠন করছি। সংকটময় সময়ে অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম সংকোচন করেছে। কিন্তু ব্যবসায়িক দক্ষতা স্বচ্ছতার মধ্য দিয়ে আমরা একটি শক্ত অর্থনৈতিক ভিত তৈরি করেছি, যার জন্য প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও সন্তোষজনক সফলতা লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করছি। লংকাবাংলা ফাইন্যান্স দেশে সিএমএসএমই, রিটেইল, করপোরেট এবং নারীর ক্ষমতায়ন খাতের উন্নয়নের জন্য আর্থিক পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছে। উন্নত প্রযুক্তি সেবার মান বৃদ্ধি করে আর্থিক সেবার বৈচিত্র্যকরণ দেশের অন্যতম আর্থিক পরিষেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেদের সুপ্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য আমরা কটেজ, ক্ষুদ্র মাঝারি এন্টারপ্রাইজ (সিএমএসএমই) খাতে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি। বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশ ব্যাংক প্রণীত সব প্রণোদনা প্যাকেজ সাফল্যের সঙ্গে বণ্টন করছি। এসএমই ফাউন্ডেশনসহ সবার সঙ্গে খাতের উন্নয়নের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এছাড়া নারীদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করার জন্যও আমাদের শিখা প্লাটফর্ম থেকে কাজ করে যাচ্ছি নিরলস। ভোক্তা পর্যায়ে আমরা বিভিন্ন ঋণ দেশের প্রথম বৃহৎ শিল্পের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। লংকাবাংলা ফাইন্যান্স পাঁচ বছর ধরে বন্ড মার্কেটে কাজ করছে এবং এর ধারাবাহিকতায় আমরা পর্যন্ত চারটি বন্ড মার্কেটে নিয়ে এসেছি। আমরা আশাবাদী যে অদূরভবিষ্যতে আমরা দেশের বন্ড মার্কেটকে আরো সুদৃঢ় করার জন্য সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারব। এছাড়া আপনারা জানেন, আমাদের রয়েছে দেশের অন্যতম  প্রধান ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠান অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি। সুতরাং আমরা বলতেই পারিআর্থিক খাত পুঁজিবাজার দুই জায়গায়ই লংকাবাংলার একটি সুদৃঢ় উপস্থিতি রয়েছে। আমরা আপনাদের আস্থায় ধীরে ধীরে নিজেদের একটি টেকসই উন্নত কোম্পানি হিসেবে গড়ে তুলতে এগিয়ে চলেছি অবিরাম।

আপনাদের ভবিষ্যৎ ব্যবসায়িক পরিকল্পনা কী?

ডিজিটালাইজেশন প্রযুক্তি বিপ্লবের যুগে আমরা সবসময়ই গ্রাহকের জন্য উন্নত এবং নতুন পণ্য সেবা নিয়ে আসতে বদ্ধপরিকর। উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার আমাদের সৃজনশীলতাকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছে, যার ফলে আমরা সমাজের নানা স্তরের মানুষের জন্য আর্থিক সুবিধার ব্যবস্থা করতে পেরেছি। যা দেশের বিভিন্ন স্তরের মানুষকে আর্থিক সেবার অন্তর্ভুক্ত করতে সহায়তা করেছে এবং সমাজ পরিবর্তনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। লংকাবাংলা ফাইন্যান্স এখন তার ২৭টি শাখার মাধ্যমে আর্থিক পরিষেবা প্রদান করার পাশাপাশি ডিজিটাল চ্যানেলের মাধ্যমে গ্রাহকদের সেবা তাদের হাতে পৌঁছে দিচ্ছে। আমাদের স্বচ্ছতা ব্যবসায়িক দক্ষতা দিয়ে আমরা সাফল্যের সঙ্গে এখন প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ব্যবস্থাপনা পরিচালনা করছি। এটি সম্ভব হয়েছে গ্রাহকদের আস্থা নির্ভরতার জন্য এবং প্রতিষ্ঠানটির টেকসই মনোভাবের কারণে। গ্রাহক পরিষেবার বৈচিত্র্যই আমাদের একটু ভিন্ন করে রাখার সুযোগ করে দিয়েছে। আমরা আমাদের গ্রাহকদের সঠিক দ্রুত সেবা দেয়ার জন্য ২৪/ কন্ট্যাক্ট সেন্টার, চ্যাটবট, ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া ডিজিটাল প্লাটফর্ম, অ্যাপসসহ সব রকম যোগাযোগমাধ্যমে আমাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছি। গ্রাহক এখন ঘরে বসে ঋণ, ক্রেডিট কার্ড অথবা সিএমএসএমই ঋণের জন্য আবেদন করতে পারছেন। এছাড়া গ্রাহক যেন সহজেই তাদের ঋণ, আমানত ক্রেডিট কার্ডের টাকা জমা দিতে পারেন তার জন্য আমরা দেশে প্রায় সব এমএফএস, ডিএফএস, ব্যাংকিং সেবার সঙ্গে নিজেদের যুক্ত করে নিয়েছি। আরো উন্নত সেবা প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়মিত নেয়া হচ্ছে। ২৫ বছর ধরে গ্রাহকরা তাদের আস্থা দেখিয়েছে লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের প্রতি এবং আমরা আশা করছি আস্থা এবং বন্ধন ভবিষ্যতে আরো সুদৃঢ় হবে। আমরা দেশের মানুষের জন্য কাজ করছি তথা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। পথচলায় আমরা আমাদের ব্যবসায়িক পরিষেবার মান পরিষেবায় বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করি প্রতিনিয়ত। আমরা নিজেদের ডিজিটাল ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই, যেখানে আমাদের সব কার্যক্রম ডিজিটাল হবে এবং গ্রাহক তথা সব স্তরের স্টেকহোল্ডার তাদের সব সেবা পরিষেবার জন্য ভার্চুয়াল রিলেশনশিপ ম্যানেজারের সাহায্য নেবে। আমরা চাই, আমাদের সব গ্রাহক অদূরভবিষ্যতে তাদের ডিভাইস বা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সেবা ঋণের জন্য আবেদন করতে পারবে এবং আমরা ডিজিটালি গ্রাহককে ঋণের যথার্থতা যাচাই-বাছাই করে, ডিজিটালি পেমেন্ট করে দিতে পারব। বাংলাদেশ সরকারের ক্যাশলেস পরিষেবার সঙ্গে মিল রেখে আমরা লক্ষ্য নির্ধারণ করে এগিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশ ব্যাংকও কিন্তু আমাদের ধীরে ধীরে আরটিজিএস বিএফটিআইএনের অধীনে নিয়ে আসছে। এতে লেনদেনে খুব বৈপ্লবিক রূপান্তর ঘটছে। এর সঙ্গে এমএফএসকে যোগ করলে ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠা শুধু সময়ের ব্যাপার।

লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের ক্রেডিট কার্ডের ব্যবসা কেমন যাচ্ছে?

বাংলাদেশের ক্রেডিট কার্ড ইন্ডাস্ট্রি খুবই দ্রুত বাড়ছে। আর এনবিএফআই সেক্টরে কেবল আমরাই ক্রেডিট কার্ডের সেবা দিয়ে আসছি গ্রাহকদের। ১৯৯৭ সালে ক্রেডিট কার্ড দিয়ে আমাদের যাত্রা শুরু হয়। এর ধারাবাহিকতায় আমরা এখন লক্ষাধিক গ্রাহককে নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিয়ে আসছি। গাইডলাইন মোতাবেক সব শ্রেণীর গ্রাহকের জন্য ভিন্ন রকমের ক্রেডিট কার্ড নিয়ে এসেছি। আমরা মেয়েদের জন্য বিশেষ ক্রেডিট কার্ড শিখা নিয়ে এসেছি। আমরা আমাদের সেবা নিত্যনতুন অফার, গ্রাহক রিওয়ার্ড পয়েন্ট ইত্যাদি নিয়ে দেশের অন্যতম ক্রেডিট কার্ড সেবা দিয়ে আসছি। আমি আগেই বলে এসেছি যে আমাদের গ্রাহকরা খুব সহজেই ক্রেডিট কার্ড সেবা তথ্য পেতে পারেন। আমাদের রয়েছে বিস্তৃত পেমেন্ট নেটওয়ার্ক, সোশ্যাল ডিজিটাল মিডিয়ায় সরব উপস্থিতি।

সার্বিকভাবে দেশের এনবিএফআই খাত কেমন করছে?

দেশের ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক খাত অনেক সমৃদ্ধ হয়েছে। বর্তমানে খাতটি প্রায় ৭৫-৮০ হাজার কোটি টাকার মতো ঋণ পোর্টফোলিও এবং পাশাপাশি গ্রাহকের ৪৫-৫০ হাজার কোটি টাকার আমানতের ব্যবস্থাপনা করছে। আমরা যদি সার্বিকভাবে অর্থনীতিতে খাতটির  ভূমিকার কথা চিন্তা করি তাহলে সবাই স্বীকার করবেন যে ব্যাংকের পাশাপাশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলেছে। বিগত কয়েক দশকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষুদ্র মাঝারি উদ্যোক্তাদের অর্থায়নেও এগিয়ে এসেছে। তবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর যে ভূমিকা পালন করার দরকার ছিল তা যে অনেকাংশে পুরোপুরি সফলভাবে করা সম্ভব হয়েছে সেটা আমি বলব না। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বড় চ্যালেঞ্জ ফান্ড মবিলাইজ করা। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো তহবিল সংগ্রহের জন্য ব্যাংকের মতো আমানত সংগ্রহ করে। এছাড়া ব্যাংকের কাছ থেকে অর্থ ধারও নেয়। এতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর তহবিল ব্যয় অনেক বেড়ে যায়। ফলে শিল্পপ্রতিষ্ঠানে অর্থায়ন করার সময় প্রতিষ্ঠানগুলোর তহবিল ব্যয় বেড়ে যায়। তহবিল ব্যয়কে একটি গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে রাখতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো চমত্কার একটি ভূমিকা পালন করতে পারত, যদি আমাদের বন্ড মার্কেটটা শক্তিশালী হতো। বাংলাদেশে যদি বিকল্প অর্থায়ন যথাযথভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং বন্ড মার্কেট যদি ভালো অবস্থানে থাকে, তাহলে আমরা অর্থ সংগ্রহে সেদিকেই ঝুঁকব এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বিকল্প সুযোগ বন্ড মার্কেটকে কাজে লাগিয়ে লাভজনকভাবে অর্থায়ন সম্ভব হবে। এখন বাংলাদেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ভূমিকাকে আরো গতিশীল কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ আরো শক্তিশালী হতে হবে। এগুলো সম্পাদন হলেই দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোয় অনেক বেশি অগ্রগতি অর্জন করা সম্ভব। এনবিএফআইগুলো বর্তমানে শর্ট টার্ম ফান্ডিং নিয়ে লং টার্ম ফান্ডিংয়ে ব্যয় করছে। এটা করা যৌক্তিক নয়। অ্যাসেট লায়াবিলিটিজের মিসম্যাচের যে বিষয়টি রয়েছে, তা এনবিএফআইয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সত্যি কথা বলতে, যে ধরনের করপোরেট সুশাসন জবাবদিহির মাধ্যমে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম পরিচালনার কথা ছিল, তা হয়নি। সুতরাং জায়গাগুলো ঠিক করতে হবে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ারহোল্ডার পরিচালকদের এক্ষেত্রে যথেষ্ট ভূমিকা রাখতে হবে। পাশাপাশি ব্যবস্থাপনায় যোগ্য নেতৃত্ব তৈরি করতে হবে। মেধাবী তরুণদের নেতৃত্বে আনতে হবে। দ্বিতীয়ত, নিয়ন্ত্রক সংস্থার সহযোগিতা প্রয়োজন। তারা বর্তমানে যে ধরনের নীতি নিয়ে আসছেন, আগামীতে তা অব্যাহত রাখা জরুরি। সুশাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ব্যাংক এনবিএফআইয়ের মধ্যে কোনো ব্যবধান থাকা উচিত নয়। দুটি ক্ষেত্রকেই সমানভাবে দেখতে হবে। এছাড়া ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলোর কস্ট লাইনগুলোকে উন্নত করা প্রয়োজন। ব্যাংকের বিবিধ ধরনের আয় রয়েছে। ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কিন্তু তা নেই। যেসব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়, তাদের একীভূতকরণের মাধ্যমে একটি কাঠামোয় আনতে হবে দক্ষ ব্যবস্থাপকের হাতে তুলে দিতে হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংককে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে হবে।

এনবিএফআইয়ের সেবা সম্পর্কে এখনো মানুষের মধ্যে জানার ঘাটতি রয়েছে। গ্রাহকের দোরগোড়ায় আর্থিক সেবা পৌঁছে দেয়ার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসায়িক পরিসর বাড়াতে করণীয় কী?

এনবিএফআই সম্পর্কে আমাদের দেশে গ্রাহকদের এখনো একটি অস্পষ্ট ধারণা রয়েছে। আমাদের এনবিএফআইও যে বৈচিত্র্যময় আর্থিক পরিষেবা দিয়ে গ্রাহকদের চাহিদা পূরণ করতে পারে, সেটি জানানোই মুখ্য উদ্দেশ্য হওয়া উচিত। কারণে ডিজিটালাইজেশন তথা ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের কোনো বিকল্প নেই। আমাদের সবাইকে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন তথা ডিজিটালাইজেশনের সুবিধা গ্রহণ করতে হবে। আমাদের দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছাতে হবে, লোকজনকে বোঝাতে হবে যে এনবিএফআই আপনাদের অর্থনৈতিক চাহিদা পূরণ করতে পারে। আর সেক্ষেত্রে আমার মনে হয়সিএমএসএমই একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত। এর মাধ্যমে আমরা পৌঁছাতে পারব দেশের আনাচকানাচে এবং দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে আর্থিক পরিষেবার মাঝে নিয়ে আসতে পারব। তাদের জন্য আর্থিক পরিষেবা সহজলভ্য পরিষেবা প্রদান প্রক্রিয়া সহজ করতে হবে। আমরা যদি এসএমই সিএমএসএমই খাতকে একটু সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারি তাহলে সহজেই গ্রাহকদের ধারণা পাল্টে একটি আস্থাজনক পরিবেশ তৈরি করতে পারব। আর আমাদের সবারই প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে প্রতিষ্ঠানের সব পর্যায়ে করপোরেট সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা এর প্রতিপালন নিশ্চিত করা। কেননা এটিই হচ্ছে গ্রাহকদের আস্থা নির্ভরতা অর্জনের একমাত্র নিয়ামক।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন