জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞানে চোখ দেখালেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে টিকিট কেটে চিকিৎসাসেবা নেয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছবি: পিআইডি

জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ১০ টাকার টিকিট কেটে চোখ পরীক্ষা করিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের ওই হাসপাতালে গতকাল সকাল ৮টায় যান সরকারপ্রধান। সেখানে তিনি বহির্বিভাগ থেকে টিকিট কেটে সাধারণ রোগীদের মতোই সেবা নেন। তিনি নিয়মিত হাসপাতাল থেকে চোখের চিকিৎসা নেন।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী হাসপাতালে পৌঁছলে তাকে হাসপাতালের পরিচালক গোলাম মোস্তফা স্বাগত জানান।

প্রধানমন্ত্রী হাসপাতাল ছাড়ার আগে চিকিৎসক, নার্স এবং বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী তাদের স্বজনদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করে চিকিৎসাবিষয়ক খোঁজখবর নেন তাদের সঙ্গে ছবি তোলেন।

সর্বশেষ ২০১৯ সালের ১৭ ১৯ এপ্রিল সাধারণ রোগীদের মতো ১০ টাকার টিকিটে শেরেবাংলা নগরে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসা নেন প্রধানমন্ত্রী। তখন তিন সদস্যের চিকিৎসক দল তাকে চোখের ছানি অপারেশনের পরামর্শ দেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সে সময় প্রধানমন্ত্রী দেশেই অপারেশন করাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু চিকিৎসকরা দেশের বাইরে অপারেশন করানোর পরামর্শ দেন।

সূত্র আরো জানায়, প্রথমে ভারতের চেন্নাইয়ের শঙ্কর নেত্রালয়ে প্রধানমন্ত্রীর চোখের ছানি অপারেশন করানোর সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু ভারতের লোকসভা নির্বাচন থাকায় সে পরিকল্পনা বাদ দেয়া হয়। এরপর লন্ডনে অপারেশনের সিদ্ধান্ত হয়। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশী দূতদের সম্মেলন এবং অন্যান্য কর্মসূচিতে যোগ দিতে ২০১৯ সালের ১৯ জুলাই লন্ডনে যান প্রধানমন্ত্রী। ওই সফরে থাকাকালে ২২ জুলাই স্থানীয় সময় বিকালে লন্ডনের একটি হাসপাতালে শেখ হাসিনার চোখে সফলভাবে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়।

এর আগে ২০১৫ সালে ব্যক্তিগত সফরে লন্ডন গিয়ে চোখের চিকিৎসা করান প্রধানমন্ত্রী। সেবার দুই দফা চোখের চিকিৎসকের কাছে যেতে হয়েছিল তাকে। সে সময় মা শেখ হাসিনার চিকিৎসার জন্য কানাডা থেকে লন্ডন আসেন মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। সফরকালে সেবার পশ্চিম লন্ডনের হিলটন পার্ক লেন হোটেলে উঠেছিলেন শেখ হাসিনা। সেখান থেকে লন্ডনে অবস্থানরত ছোট বোন শেখ রেহানা তার মেয়ে টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিক এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা হোটেলে শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন