সংবাদ সম্মেলনে পুস্তক প্রকাশক সমিতি

কাগজের মূল্যবৃদ্ধি ক্ষেত্রবিশেষে দ্বিগুণ বা তারও বেশি

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের কাগজের বাজারে বিশ্ববাজারের মন্দার ঢেউ প্রভাব ফেলেছে। কাগজ তৈরির কাঁচামাল অধিক মূল্যে বর্ধিত পরিবহন ব্যয়ে দেশে আনায় কাগজ তৈরিতে উৎপাদন খরচ বেড়েছে। কারণে কাগজের মূল্যবৃদ্ধি যে মাত্রায় স্বাভাবিক ছিল, তার তুলনায় বাস্তবে অস্বাভাবিক মাত্রায় বেড়েছে। বৃদ্ধি ক্ষেত্রবিশেষে দ্বিগুণ বা তারও বেশি হয়েছে। বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক বিক্রেতা সমিতির সংবাদ সম্মেলনে গতকাল এসব কথা বলেন সংগঠনটির সভাপতি মো. আরিফ হোসেন ছোটন। কাগজের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ কাগজ আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহারের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক বিক্রেতা সমিতির সহসভাপতি শ্যামল পাল, সহসভাপতি মাজহারুল ইসলাম প্রমুখ।

আরিফ হোসেন ছোটন বলেন, দেশের বাজারে এখন মুদ্রণ এবং লেখার কাগজের সংকট চলছে। ফলে কাগজের আকাশচুম্বী মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। মূল্যবৃদ্ধি স্বাধীন বাংলাদেশের অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে ভয়াবহ। সংকট দেশের কোটি কোটি কোমলমতি শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনে প্রভাব ফেলবে। একই সঙ্গে ২০২৩ সালের অমর একুশে বইমেলায় এর প্রভাব পড়তে বাধ্য, যা একদিকে দেশের শিক্ষাঙ্গন প্রকাশনা শিল্পকে বিপর্যয়ের মুখে ফেলেছে। অন্যদিকে বর্তমান সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলছে।

মূল্যবৃদ্ধির পরিমাণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০২১ সালের ৮০ গ্রাম অফসেট ডিডি কাগজের মূল্য ১৫০০ টাকা ছিল, যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ,০০০ টাকায়। ১০০ গ্রাম একই কাগজের যেখানে ২০২১ সালে মূল্য ছিল ,৭৫০ টাকা তা এখন ,২০০ টাকা।

সমস্যা সমাধানের জন্য বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক বিক্রেতা সমিতির পক্ষ থেকে পাঁচটি সুপারিশ করা হয়েছে। সেগুলো হলো উদ্ভূত সমস্যা সমাধানে সরকারি প্রতিনিধি, কাগজের মিল-মালিক, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক বিক্রেতা সমিতির প্রতিনিধি এবং কাগজ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় করে কারণ চিহ্নিত তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা। দ্রুততম সময়ে বিদেশ থেকে কাগজ আমদানি শুল্কমুক্ত ঘোষণা করা, দেশের সব ক্ষেত্রে ব্যবহূত কাগজকে রিসাইকেলিং কাজে ব্যবহার করার ব্যবস্থাকে স্বাভাবিক রাখা, কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ীর গুদামজাত কাগজ (যদি থাকে) স্বাভাবিক মূল্যে বিক্রির ব্যবস্থা করা। শুল্ক হ্রাস, মুক্ত করা ছাড়াও অন্যবিধ কী ভর্তুকি বা প্রণোদনা সরকারের দেয়া সম্ভব, তা ভেবে দেখা।

প্রশ্নোত্তর পর্বে শ্যামল পাল বলেন, এনসিটিবির বই বের করতে লাখ ২০ হাজার টন কাগজ প্রয়োজন। এছাড়া অন্য সব বই-খাতার জন্য আরো পাঁচ গুণ বেশি কাগজ লাগবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন