আন্তর্জাতিক পণ্যবাজারে নিম্নমুখী প্রবণতায় সপ্তাহ শুরু

বণিক বার্তা ডেস্ক

চীনে জিরো কভিড নীতির বিরুদ্ধে জনসাধারণের মধ্যে বিক্ষোভ দানা বেঁধেছে। শিল্পসংশ্লিষ্টরাও যোগ দিয়েছেন আন্দোলনে। বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির দেশটি মন্দার পথে এগোচ্ছে, যার প্রভাব পড়ছে বৈশ্বিক অর্থনীতিতেও। ফলে নিম্নমুখী প্রবণতা তৈরি হয়েছে আন্তর্জাতিক পণ্যবাজারে। সপ্তাহের শুরু থেকেই কমতে শুরু করেছে সব ধরনের পণ্যের দাম। খবর আনাদোলু এজেন্সি।

চীনের উইঘুর প্রদেশে কোয়ারেন্টিনে থাকা অবস্থায় সম্প্রতি আগুনে দগ্ধ হয়ে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পরই দেশটিতে কভিড-১৯ জনিত বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে ফুসে ওঠে জনগণ। বিক্ষোভের কারণে দেশটির অর্থনীতি আবারো শ্লথ হয়ে পড়েছে। ঝুঁকি বাড়ছে বিশ্ব অর্থনীতিতে।

বিশ্লেষকরা জানান, এমন ঝুঁকির কারণে বিশ্ববাজারে ডলারের চাহিদা ঊর্ধ্বমুখী। বিপরীতে নিম্নমুখী চাপে পড়ছে পণ্যের দাম। চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে শ্রম বাজারসংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার কথা। এছাড়া আগামী মাসে দেশটির ফেডারেল রিজার্ভ মুদ্রানীতির সিদ্ধান্ত নিয়ে বৈঠকে বসবে। বিষয় দুটিও অর্থনীতিতে বড় প্রভাব রাখবে। এমন পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীরা সাবধানতা অবলম্বন করছেন।

আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম কমে ১১ মাসের সর্বনিম্নে নেমেছে। সোমবার ভবিষ্যৎ সরবরাহ চুক্তিতে পণ্যটি আগের কার্যদিবসের তুলনায় শতাংশেরও কম দামে বিক্রি হয়েছে। এদিকে আইসিই ফিউচারসে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ ব্রেন্টের জানুয়ারিতে সরবরাহ চুক্তির দাম দশমিক ৮৩ শতাংশ কমেছে। প্রতি ব্যারেলের মূল্য স্থির হয়েছে ৮১ ডলার ২৬ সেন্টে, যা বছরের জানুয়ারির পর সর্বনিম্ন।

অন্যদিকে নিউইয়র্ক মার্কেন্টাইল এক্সচেঞ্জে (নিমেক্স) মার্কিন বাজার আদর্শ ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) জানুয়ারিতে সরবরাহ চুক্তির দাম দশমিক ৮৮ শতাংশ শতাংশ কমেছে। প্রতি ব্যারেলের মূল্য স্থির হয়েছে ৭৪ ডলার শূন্য সেন্ট।

অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদা বৃদ্ধির হার আরো শ্লথ হয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পণ্যটির চাহিদা প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস আবারো কমিয়েছে ওপেক। এপ্রিল থেকে এখন পর্যন্ত নিয়ে টানা পাঁচবার পূর্বাভাস কমানো হলো।

এদিকে জ্বালানি তেলের দাম কমলেও নিউইয়র্ক মার্কেন্টাইল এক্সচেঞ্জে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম বেড়েছে ১১ দশমিক শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রে রেলকর্মীরা অবরোধ ডাকতে পারে, এমন আশঙ্কা দাম বাড়াতে সহায়তা করছে। এছাড়া শীতের প্রকোপ তো রয়েছেই।

অন্যদিকে ধাতব পণ্যের মধ্যে স্বর্ণের দাম দশমিক শতাংশ কমেছে। প্রতি আউন্সের মূল্য স্থির হয়েছে হাজার ৭৪৬ ডলারে। রৌপ্যের দাম শতাংশ কমেছে। বেইজ মেটালের দামও লক্ষণীয় মাত্রায় কমেছে। এর মধ্যে তামার দাম দশমিক শতাংশ কমে পাউন্ডপ্রতি ডলার ৫৮ সেন্টে নেমেছে। এছাড়া অ্যালুমিনিয়ামের দাম দশমিক শতাংশ, দস্তার দশমিক শতাংশ সিসার দাম কমেছে দশমিক শতাংশ।

কৃষিপণ্যের বাজারও নিম্নমুখী প্রবণতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে শিকাগো বোর্ড অব ট্রেডে গমের দাম কমে তিন মাসের সর্বনিম্নে। প্রতি বুশেলের মূল্য স্থির হয়েছে ডলার ৮২ সেন্টে। ভুট্টার দাম দশমিক শতাংশ কমে ডলার ৬৫ সেন্টে নেমেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন