রিয়াদে ছয় রানওয়ের নতুন বিমানবন্দর বানাবে সৌদি

বণিক বার্তা ডেস্ক

রিয়াদ বিমানবন্দরকে বিশাল এভিয়েশন হাব হিসেবে গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। ছয়টি সমান্তরাল রানওয়ে থাকা বিমানবন্দরে ২০৩০ সালের মধ্যে ১৩ কোটি সফরকারী চলাচল করতে পারবে। দেশটির রাষ্ট্রীয় নিউজ এজেন্সি এসপিএ তথ্য জানিয়েছে।

সৌদি আরবের সার্বভৌম সম্পদ তহবিল পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (পিআইএফ) থেকে কিং সালমান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট তৈরি করা হবে। বিমানবন্দরটি বিস্তৃত হবে ৫৭ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে। শহরটিতে থাকবে বর্তমানের কিং খালেদ বিমানবন্দরও।

২০৩০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক যাতায়াত লজিস্টিক হাব হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সরকারের কৌশলের একটি অংশ এভিয়েশন। এই সময়ে রিয়াদ বিমানবন্দর নতুন একটি এয়ারলাইন আরআইএর অপারেশন বেজ হিসেবে কাজ করবে। এটি পরে আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী এমিরেটস এবং কাতার এয়ারওয়েজের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।

নিজেদের অর্থনীতি আরো বৈচিত্র্যময় করা এবং জ্বালানি তেলের ওপর থেকে নির্ভরশীলতা কমাতে ভিশন ২০৩০তে কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগ করছে সৌদি আরব। দেশটির ডি ফ্যাক্টো শাসক প্রিন্স মোহাম্মদ পরিকল্পনা গ্রহণ করেন।

এসপিএ জানিয়েছে, রিয়াদকে বিশ্বের সেরা অর্থনীতির ১০টি শহরের একটি করতে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে রিয়াদের জনসংখ্যা দেড় কোটি থেকে দুই কোটিতে উন্নীতকরণে সৌদি আরবের বিমানবন্দর প্রকল্প নিয়ে কাজ চলছে।

কিং সালমান বিমানবন্দর হলে ২০৫০ সালের মধ্যে লাখ হাজার প্রত্যক্ষ পরোক্ষ চাকরির সুযোগ তৈরি হবে। সেখানে ১৮ কোটি ৫০ লাখ সফরকারী ভ্রমণ করবে এবং ৩৫ লাখ টন কার্গো প্রক্রিয়াজাত করা হবে।

নতুন প্রকল্পে পরিকল্পিতভাবে কতটা বিনিয়োগ করা হবে, সেই বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। তবে পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত একজন রয়টার্সকে জানিয়েছে, কার্গো যাত্রীবাহী এয়ারলাইনের ইকোসিস্টেম তৈরি করা এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিমানবন্দর পুনর্গঠন করার জন্য পিআইএফের এভিয়েশন বিভাগ বেশ বড় তহবিল পাচ্ছে।

কৌশলের অংশ হিসেবে ৭৭ বছরের রাষ্ট্রীয় এয়ারলাইনস সৌদিয়া জেদ্দা থেকে সরিয়ে নেয়া হবে। সৌদিয়া আরআইএর জন্য উড়োজাহাজের ক্রয়াদেশ দিতে এরই মধ্যে উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস বোয়িংয়ের সঙ্গে আলোচনা করছে সৌদি আরব।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন