উরুগুয়েকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফ্রান্স ও ব্রাজিলের
পর তৃতীয় দল হিসেবে কাতার বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় খেলা নিশ্চিত করেছে পর্তুগাল।
লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে উরুগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচের দুটি গোলই করেন মিডফিল্ডার
ব্রুনো ফার্নান্দেজ।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ
চলতে থাকে। কিন্তু কিছুতেই গোল দেয়া সম্ভব হচ্ছিল না। তবে প্রথমার্ধের বিরতি থেকে
ফিরে আক্রমণের ধার বাড়ায় উভয় দল। ৫৪ মিনিটে গোলের দেখা পায় পর্তুগিজরা। বাম পাশ
ব্রুনো ফার্নান্দেজের ক্রসে রোনালদো মাথা ছোঁয়ানোর চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন, ফলে বল সোজা
খুঁজে পায় জালের ঠিকানা। প্রথমে এটিকে রোনালদোর গোল বলা হলেও পরে ভিডিও অ্যাসিস্ট
রেফারির (ভিএআর) পরীক্ষায় গোলটি
ব্রুনো ফার্নান্দেজের নামে দেয়া হয়।
পর্তুগিজ কিংবদন্তি ইউসেবিওর বিশ্বকাপ গোলের
রেকর্ড ছোঁয়ার আনন্দে উদযাপনও করেন রোনালদো। যদিও পরবর্তীতে জানা গেল, এটি ব্রুনোর
গোল। ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যমে ব্রুনো বলেন, কে বল স্পর্শ করল সেটি আমার কাছে কোনো ব্যাপারই
মনে হয় না। ওই সময় আমি ভেবেছিলাম রোনালদো বল স্পর্শ করেছেন। আমি তাকে পাস
দিয়েছিলাম। সবচেয়ে বড় কথা হলো আমাদের উত্তরণ, আমরা শেষ ষোলোয়
উঠে গেছি।
এদিকে, গোল খেয়েই নিজেদের খুঁজে পেতে চেষ্টা করে
উরুগুয়ে। ৫৯ মিনিটে ভারেলার বাড়ানো ক্রসে এডিনসন কাভানি ভলি করলেও তা ছিল
লক্ষ্যভ্রষ্ট। ৭৬ মিনিটে আবারো এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় উরুগুয়ে। তবে এবার তাদের
জন্য বাধা হয়ে আসে গোলবার। ম্যাক্সি গোমেজের বুলেট গতির শট গোলবারে লেগে প্রতিহত
হয়।
পর্তুগাল যখন ১-০ গোলের ব্যবধানে ম্যাচ জয়ের
প্রস্তুতি নিচ্ছিল তখন তাদের পেনাল্টি উপহার দেন উরুগুয়ের ডিফেন্ডার হিমেনেজ। ডি
বক্সের ভেতর তার হাতে বল লাগলে রেফারি ভিএআর এর সহায়তায় পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন।
স্পট কিক থেকে গোল করে গোল ব্যবধান বাড়ান ব্রুনো। বিশ্বকাপে ২ গোলের পাশপাশি তার
ঝুলিতে রয়েছে ২ অ্যাসিস্টও।
এ জয়ে ২ ম্যাচে পূর্ণ ৬ পয়েন্ট নিয়ে এই ‘এইচ’ গ্রুপ থেকে
প্রথম দল হিসেবে শেষ ষোলো নিশ্চিত করল পর্তুগাল। সমানসংখ্যক ম্যাচে ১টি হার ও ড্রতে
মাত্র ১ পয়েন্ট উরুগুয়ের। গ্রুপের অন্য দুই দল ঘানা ৩ ও দক্ষিণ কোরিয়ার পয়েন্ট ১।
শেষ ষোলোতে যাওয়ার এখনো সুযোগ আছে ঘানা, দক্ষিণ কোরিয়া ও উরুগুয়ে তিন দলেরই।
আগামী ২ ডিসেম্বর এই গ্রুপের শেষ রাউন্ডে লড়বে
পর্তুগাল-দক্ষিণ কোরিয়া
এবং উরুগুয়ে ও ঘানা।