স্পেনে বিলাসজাত পণ্য হিসেবে দাঁড়িয়েছে অলিভ অয়েল

বণিক বার্তা অনলাইন

স্পেনে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোজ্য তেল অলিভ অয়েল বিলাসজাত পণ্য হয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি এমন আশঙ্কার কথা ব্যক্ত করেন স্পেনের কৃষিমন্ত্রী।

স্প্যানিশ সম্প্রচারমাধ্যম ওন্ডা সেরোতে দেয়া সাক্ষাত্কারে কৃষিমন্ত্রী লুই প্ল্যানাস বলেন, খাদ্যপণ্য স্পেনের অর্থনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এখন অলিভ অয়েলের মতো পণ্য মধ্যবিত্ত শ্রেণীর কাছে সহজলভ্য নয়।


রেকর্ড তাপমাত্রা ও খরার কারণে চলতি বছরে অলিভ অয়েল উত্পাদন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উচ্চ জ্বালানি মূল্যও উত্পাদন ব্যয় বাড়িয়ে দিয়েছে।


স্পেনের কৃষিমন্ত্রী জানান, চলতি বছরে আট লাখ টনেরও কম অলিভ অয়েল উত্পাদন করতে যাচ্ছে স্পেন। ২০২১ সালে যেখানে ১৪ লাখ টন অলিভ অয়েল উত্পাদন হয়েছিল।


সামনের দিনগুলোয় অলিভ অয়েল সংকট দেখা দেবে, সরাসরি এমন পূর্বাভাস দেননি কৃষিমন্ত্রী। তবে স্থানীয় বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে কোম্পানিগুলোর প্রতি আহ্বান রাখেন তিনি।


সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য যেমন উত্পাদন ব্যয়ের জন্য বাড়ে, তেমনি এতে প্রভাব রাখে ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত। গত বছর আমরা ১১ লাখ টন অলিভ অয়েল রফতানি করেছি। যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের অলিভ অয়েলের চাহিদা চাঙ্গা। সামনের বছরগুলোয় অলিভ অয়েলের রফতানি বাজার আরো সম্প্রসারণ হবে বলে আশা রাখি। তবে আমার উদ্বেগের জায়গা স্পেন।


গত অক্টোবরের মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০২১ সালে স্পেনে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ১৫ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে, ১৯৯৪ সালের পর যা সর্বোচ্চ।


কৃষি খাত যে বড় আকারে জ্বালানি মূল্য দ্বারা প্রভাবিত, সেদিকে ইঙ্গিত দেন প্ল্যানাস। উদাহরণ হিসেবে তিনি জানান, গত এক বছরে জ্বালানি মূল্যবৃদ্ধির কারণে সারের দাম ১৪৯ শতাংশ বেড়েছে। এতে অলিভ অয়েলের মতো কৃষিপণ্য উত্পাদন ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। ফলে গুরুত্বপূর্ণ খাদ্যপণ্যটি নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন