অনলাইনে সেলফ হার্ম প্রতিরোধ

ক্ষতিকর কনটেন্ট থাকলে জরিমানা হবে সোশ্যাল জায়ান্টদের

বণিক বার্তা ডেস্ক

অনলাইনে নিজের ক্ষতিসাধনে প্রলুব্ধ করার বিষয়টি নিষিদ্ধ করতে চাইছে ব্রিটেন সরকার। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো যদি প্লাটফর্ম থেকে ধরনের উপাদান সরাতে ব্যর্থ হয় তাহলে জরিমানার আওতায় আনা হবে। অনলাইন আচরণ নিয়ন্ত্রণ আইন পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে এটি বাস্তবায়ন করা হবে। খবর রয়টার্স।

আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়ার বিষয়টি এরই মধ্যে আইন করে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সম্প্রতি ব্রিটেনের সংস্কৃতি, মিডিয়া খেলাধুলাবিষয়ক মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে নতুন পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে জানিয়েছে। ফলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোকে আরো কনটেন্ট অপসারণ করতে হবে।

দেশটির ডিজিটাল সেক্রেটারি মিশেল ডনেলান বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো নীরব বসে থাকতে পারে না। সেই সঙ্গে নতুন আইনের অধীনে প্লাটফর্মগুলো যদি ধরনের ধংসাত্মক কাজ পরিচালনার অনুমতি দেয় তাহলে তাদের জরিমানা করা হবে।

২০১৭ সালে মলি রাসেল নামের ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীর মৃত্যুর ঘটনায় জনগণের মধ্যে আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়। ব্রিটেনের কনজারভেটিভ সরকারের মতে, ধরনের ছবি ভিডিও বন্ধেই নতুন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সেপ্টেম্বরে তার মৃত্যুর বিষয়ে দাখিলকৃত প্রতিবেদনে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তাকে এমন কিছু কনটেন্ট দেখিয়েছে, যেখানে আত্মহত্যাকে রোমান্টিক কাজ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। নতুন প্রস্তাবের অধীনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোকে এমন সব কনটেন্ট সরিয়ে ফেলতে হবে, যেগুলো সেলফ হার্ম বা নিজের ক্ষতি করাকে উৎসাহিত করে।

গত সপ্তাহে দেশটির সরকার জানিয়েছিল, নতুন আইনের মাধ্যমে যৌনতাবিষয়ক ছবি প্রচারও নিষিদ্ধ করা হবে, বিশেষ করে ডিপফেক প্রযুক্তির মাধ্যমে যেসব ছবি তৈরি করা হয়েছে। ডিপফেক বলতে ছবি বা ভিডিওতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার করে যৌনতাপূর্ণ উপস্থাপন করা বোঝায়।

নতুন আইনের তথ্যানুযায়ী, ধরনের ছবি শেয়ার করার বেলায় ছবিতে উপস্থাপিত ব্যক্তির অনুমতি নেয়া বাধ্যতামূলক হবে। অনলাইন সুরক্ষা আইন সংশোধন করে ধরনের অপরাধীকে বিচারের আওতায় আনার ক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আইনজীবীরা এখন আরো বেশি ক্ষমতা পাবেন বলে দাবি করেছে দেশটির সরকার।

নতুন প্রস্তাবের অধীনে অনুমতি ছাড়া পর্নোগ্রাফিক ডিপফেক শেয়ার করলে কারাদণ্ড হতে পারে। গোপন ক্যামেরাসহ কারো অনুমতি ছাড়া ছবি তোলা বা রেকর্ড করা যন্ত্র স্থাপন ঠেকাতেও নতুন আইনটি ব্যবহার করতে চায় দেশটির বিচার মন্ত্রণালয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন