দুর্বল চাহিদায় ভারতে স্বর্ণ আমদানি ব্যাপক কমেছে

বণিক বার্তা ডেস্ক

চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে ভারতে স্বর্ণ আমদানি ব্যাপক কমেছে। দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এপ্রিল-অক্টোবর পর্যন্ত ভারতে স্বর্ণ আমদানি ১৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ কমেছে। সময় হাজার ৪০০ কোটি ডলারের স্বর্ণ আমদানি করা হয়। নিম্নমুখী চাহিদার কারণে আমদানি কমেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। গত বছরের একই সময় আমদানি করা হয়েছিল হাজার ৯০০ কোটি ডলারের স্বর্ণ।

চলতি বছর ভারতে স্বর্ণের চাহিদা ৮০০-৮৫০ টনের মধ্যে থাকবে। সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল ইন্ডিয়ার এক শীর্ষ কর্মকর্তা তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এর মধ্যে ৮০ শতাংশ স্বর্ণের চাহিদা আসবে অলংকারের জন্য। বছর দেশটিতে স্বর্ণের চাহিদা ৮০০ টনের ওপরে থাকবে।

আমলাতান্ত্রিক জটিলতার অবসান ঘটিয়ে বিনিয়োগে উৎসাহিত করলে চলতি বছর ভারতে স্বর্ণ উত্তোলন লক্ষণীয় মাত্রায় বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে কথা জানিয়েছে ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল (ডব্লিউজিসি)

সংস্থাটি বলছে, বছর ভারতে স্বর্ণ উত্তোলনের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ২০ টনে, গত বছর যা ছিল মাত্র দশমিক টনের কাছাকাছি। দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ স্বর্ণ ব্যবহারকারী। দেশটিতে যে পরিমাণ স্বর্ণের চাহিদা রয়েছে তার সিংহভাগই আমদানির মাধ্যমে পূরণ করা হয়। তবে ঊর্ধ্বমুখী উত্তোলন নয়াদিল্লিকে আমদানি কমিয়ে আনতে সহায়তা করবে।

গত বছর ভারত স্বর্ণ আমদানিতে বিপুল অর্থ ব্যয় করেছে। সময় দেশটি হাজার ৫৭০ কোটি ডলার ব্যয়ে হাজার ৫০ টন স্বর্ণ ক্রয় করে, যা এক দশকের মধ্যে সর্বাধিক। এছাড়া ২০২০ সালের তুলনায় আমদানি দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। ওই বছর দেশটি ৪৩০ টন স্বর্ণ আমদানি করেছিল।

কাউন্সিল বলছে, ভারতে একটি স্বর্ণ খনির অনুমোদন নিশ্চিত করতে লম্বা সময় লেগে যায়। এজন্য অনেক সংস্থা থেকে ছাড়পত্র নিতে হয়। ফলে ঝামেলা এড়াতে খাতে বিনিয়োগ করতে চায় না বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান পুঁজিবাজার-সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে রৌপ্য আমদানিও কমেছে লক্ষণীয় মাত্রায়। অক্টোবরে দেশটি ৫৮ কোটি ৫০ লাখ ডলারের রৌপ্য আমদানি করে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আমদানি ৩৪ দশমিক ৮০ শতাংশ কমেছে। তবে বছরের প্রথম সাত মাসে আমদানি বেড়েছে। সময় দেশটি ৪৮০ কোটি ডলারের রৌপ্য আমদানি করে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন