জেলা জজের প্রত্যাহার দাবি

কক্সবাজারে লাগাতার আদালত বর্জন কর্মসূচি আইনজীবীদের

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, কক্সবাজার

কক্সবাজার জেলা দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেয়ার সময় প্রভাব বিস্তার, মোটা টাকায় জামিন, দুর্ব্যবহার, অশোভন আচরণ স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলেছেন  আইনজীবীরা। এসব অভিযোগে আদালত বর্জনের ঘোষণা দিয়ে গতকাল কর্মবিরতি পালন করছেন আইনজীবীরা। সে সঙ্গে জেলা দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলকে কক্সবাজার আদালত থেকে প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত সিদ্ধান্তে অনড় থাকবেন বলে জানান আইনজীবীরা। শনিবার বিকালে জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে সমিতির সাধারণ সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ফলে গতকাল দায়রা জজ আদালতে কোনো আইনজীবী যাননি।

সমিতির সভাপতি ইকবালুর রশিদ আমিন সোহেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভা পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ তাওহীদুল আনোয়ার। সভায় জেলাবারের সাবেক সভাপতি সিরাজুল মোস্তফা, ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, মমতাজ আহমেদ, আবুল কালাম সিদ্দিকী, শাহজালাল চৌধুরী, নুরুল আলম, আবুল আলাছৈয়দ আলম, মো. নুরুল ইসলাম, আয়াছুর রহমান, আব্বাস উদ্দিন, সুলতানুল আলম, সিরাজুল ইসলাম, আব্দুর রউফ, আবদুল কাশেম, মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, মোহাম্মদ তারেক, আহমদ কবির জিয়াউদ্দিন আহমেদ বক্তব্য রাখেন। এছাড়া সভায় অংশ নেন জেলা দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম, সাবেক পিপি নুরুল মোস্তফা মানিকসহ জেলা বারের সব আইনজীবী।

ইকবালুর রশিদ আমিন সোহেল অভিযোগ করে বলেন, একজন বিচারক হিসেবে জেলা দায়রা জজ বিচারকাজ চলাকালীন আইনজীবীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন, যা মোটেও কাম্য নয়। বিষয়টি নিয়ে আইনজীবী সমিতির নেতারা জেলা জজের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু তিনি একই আচরণ অব্যাহত রাখেন। গত ১৩ অক্টোবর জেলা বারের জরুরি সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে বেঞ্চের নানা অনিয়ম, দুর্নীতি তুলে ধরে তা সমাধানের পদক্ষেপ নিতে বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইলকে অনুরোধ জানানো হয়। তিনি পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিলেও বাস্তবায়ন করেননি। উল্টো আইনজীবী সমিতির নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। অবস্থায় সমিতির বিশেষ সাধারণ সভা ডেকে সর্বসম্মতিক্রমে জেলা দায়রা জজ আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তাকে প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আদালত বর্জন চলবে। সর্বশেষ ২৩ নভেম্বর তালিকাভুক্ত ১০১ ইয়াবা কারবারিকে যে লঘু দণ্ড দিয়েছেন তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন সৃষ্টি করেছে। সে বিষয়টি নিয়েও আইনজীবীরা আপত্তি  তোলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন