ক্রীড়াবিজ্ঞান

ক্রীড়াবিদদের প্রতিভা বিকাশে বড় ভূমিকায় বিকেএসপি

শফিকুল ইসলাম

বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) সিনথেটিক টার্ফ ফুটবল গ্রাউন্ডে অনুশীলনরত প্রশিক্ষণার্থীরা ছবি: মাসফিকুর সোহান

বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) দেশের ক্রীড়াঙ্গনের আলোচনায় প্রতিষ্ঠানের প্রসঙ্গ চলে আসে সবার আগে। ক্রিকেটে সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, সৌম্য সরকার, মিঠুন আলী, নাজমুল ইসলাম অপু; নারী ফুটবলে আঁখি খাতুন, ঋতুপর্ণা চাকমা, স্বপ্না রানী, সাথি বিশ্বাস, ইতি রানী; আর্চারিতে দিয়া সিদ্দিকী; শুটিংয়ে আবদুল্লাহ হেল বাকি; সাঁতারে আরিফুল ইসলাম; অ্যাথলেটিকসে রেকর্ড গড়া জহির রায়হান কিংবা দ্রুততম মানবী সুমাইয়া দেওয়ানএদের সবাই উঠে এসেছেন বিকেএসপি থেকে। ক্রিকেট, ফুটবল, ভলিবল, হকি, আর্চারি, কারাতে, শুটিং সাঁতারে সিংহভাগ তারকা ক্রীড়াবিদ তৈরির নেপথ্যের কারিগর বিকেএসপি। জাতীয় আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনের সব আসরেই এগিয়ে থাকছেন প্রতিষ্ঠানের ক্রীড়াবিদরা।

বিকেএসপির ক্রিকেট চিফ কোচ মন্টু দত্ত জানান, সম্ভাবনাময় আগামীর ক্রিকেট তারকা বিকেএসপি থেকেই আসবে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- পারভেজ হোসেন ইমন, আকবর আলী, মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ, হাসান মুরাদ, মাহমুদুল হাসান জয়, আরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব এবং শামিম পাটোয়ারী।

ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সুশিক্ষিত খেলোয়াড়, প্রশিক্ষক, সংগঠক ক্রীড়া বিষয়ে দক্ষ ব্যক্তিত্ব হিসেবে গড়ে তুলতে পরিকল্পিত বিজ্ঞানভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদান করছে বিকেএসপি। ব্যক্তিত্বের সার্বিক বিকাশ নিশ্চিত করতে ক্রীড়াবিষয়ক প্রশিক্ষণের পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষা দেয়া হয় এখানকার শিক্ষার্থীদের। তৃণমূল পর্যায়ে উদীয়মান প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের বাছাই করে ক্রীড়ার বিভিন্ন বিষয়ে নিবিড় প্রশিক্ষণ প্রতিযোগিতা আয়োজনের মাধ্যমে সম্ভাবনাময় ক্রীড়াবিদদের প্রতিভা বিকাশে প্রতিষ্ঠানটি রয়েছে বড় ভূমিকায়। একই সঙ্গে সম্ভাবনাময় কোচ, রেফারি আম্পায়ারদের প্রশিক্ষণ প্রদান করছে প্রতিষ্ঠানটি। রয়েছে ক্রীড়া বিজ্ঞানে স্বল্পমেয়াদি স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা কোর্স করারও সুযোগ।

হকি ফুটবল দুই ক্রীড়া বিভাগ নিয়ে ১৯৮৬ সালে যাত্রা করে বিকেএসপি। বিভাগের সংখ্যা এখন ২১। এর মধ্যে রয়েছে ক্রিকেট, ফুটবল, অ্যাথলেটিকস, আর্চারি, সাঁতার ডাইভিং, কারাতে, কাবাডি, বক্সিং, জুডো, উশু, জিমন্যাস্টিকস, বাস্কেটবল, টেনিস, হকি, ভলিবল, তায়কোন্দো, শুটিং, টেবিল টেনিস, স্কোয়াশ, ভারোত্তোলন ব্যাডমিন্টন। বর্তমানে বিভিন্ন বিভাগে প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণার্থী রয়েছেন ৮৮০ জন। এর মধ্যে ছেলে ৬০২ জন মেয়ে ২৭৮ জন। এছাড়া আঞ্চলিক ছয়টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রয়েছেন ৬১১ জন প্রশিক্ষণার্থী।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আধুনিক হয়েছে ১১৫ একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত বিকেএসপির মূল ক্যাম্পাসটি। পূর্ণাঙ্গ আবাসিক প্রতিষ্ঠানটিতে রয়েছে আধুনিক সব ক্রীড়াসামগ্রী। রয়েছে প্রশিক্ষিত বিশ্বমানের কোচ। আধুনিক ক্রীড়া স্থাপনার মধ্যে রয়েছে আটটি ক্রিকেট গ্রাউন্ড, তিনটি ইনডোর ক্রিকেট সেন্টার, ছয়টি ফুটবল গ্রাউন্ড (এর মধ্যে দুটি সিনথেটিক টার্ফ), তিনটি সিনথেটিক হকি টার্ফ, চারটি সুইমিং পুল সাতটি জিমনেসিয়াম। এছাড়া রয়েছে অ্যাথলেটিকস সিনথেটিক ট্র্যাক, বাস্কেটবল কমপ্লেক্স, ডাইভিংপুল, আর্চারি গ্রাউন্ড, শুটিং কমপ্লেক্স, টেনিস কমপ্লেক্স, ইনডোর স্পোর্টস এরিনা এবং মাল্টি স্পোর্টস কমপ্লেক্স।

ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার তালিকাভুক্ত বাংলাদেশের প্রথম ফিফা নারী রেফারি বর্তমানে বিকেএসপির নারী ফুটবল দলের কোচ জয়া চাকমা জানান, প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে প্রতিভা অন্বেষণের মাধ্যমে আমাদের কোচরা ক্রীড়া প্রতিভা বাছাই করেন। প্রথমে এক মাসের পরে আরো তিন মাসের প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের বিকেএসপিতে ভর্তির জন্য চূড়ান্ত করা হয়। পরবর্তী সময়ে এক থেকে দুই বছর তাদের ফাউন্ডেশন ট্রেনিং দেয়া হয়। এরপর বয়সভিত্তিক বিভিন্ন জাতীয় দলের বাছাই পর্বে অংশ নিয়ে যোগ্যতার ভিত্তিতে তারা জায়গা করে নেয় ক্রীড়াঙ্গনের জাতীয় দলগুলোয়।

আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

ঢাকার বাইরেও রয়েছে বিকেএসপির ছয়টি আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। দিনাজপুর, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট কক্সবাজারের এসব কেন্দ্রে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে উঠে আসা ক্রীড়া প্রতিভাদের সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি ক্রীড়া প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। বিকেএসপির ছয়টি আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে মোট ১৩টি ক্রীড়া বিভাগ রয়েছে। দিনাজপুর আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ক্রিকেট, বক্সিং, সাঁতার, হকি চার বিভাগে বর্তমানে প্রশিক্ষণার্থী রয়েছে ১৭৭ জন। খুলনায় ফুটবল টেবিল টেনিসে ১৫৫ জন; বরিশালে অ্যাথলেটিকস, কারাতে, উশুতে ৬৮ জন; চট্টগ্রামে বাস্কেটবল, কাবাডি স্কোয়াশে ৫৪ জন; সিলেটে ফুটবলে ৭৯ জন এবং কক্সবাজার আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ব্যাডমিন্টন ক্রিকেটে ৭৮ জন প্রশিক্ষণার্থী রয়েছে। বিকেএসপির মোট ২১টি ক্রীড়া বিভাগের মধ্যে ঢাকার সাভারে বিকেএসপির মূল ক্যাম্পাসে রয়েছে ১৮টি। বাকি তিনটি বিভাগের মধ্যে কাবাডি স্কোয়াশ শুধু চট্টগ্রামে এবং ব্যাডমিন্টন কক্সবাজার আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অবস্থিত।

বিকেএসপি কলেজ

ক্রীড়া মেধাসম্পন্ন খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ দেয়ার পাশাপাশি তাদের সার্বিক উন্নয়নের জন্য সাধারণ শিক্ষার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয় বিকেএসপিতে। রয়েছে নিজস্ব কলেজ। দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো এখানে শিক্ষা বোর্ড জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণার্থীরা সাধারণত সপ্তম শ্রেণীতে ভর্তি হয় এবং ডিগ্রি পর্যন্ত অধ্যয়ন করে। তবে কিছু কিছু খেলায় যেমন জিমন্যাস্টিকস, সাঁতার, বক্সিং টেনিস বিভাগে চতুর্থ, পঞ্চম ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হওয়া যায়। জাতীয় শিক্ষাক্রম পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের নির্ধারিত বিষয়ে বইয়ের পাশাপাশি একমাত্র বিকেএসপিতেই ক্রীড়া বিষয়ে এসএসসি পর্যায়ে ১০০, এইচএসসিতে ২০০ এবং স্নাতক পর্যায়ে ৬০০ নম্বরের পাঠ্যসূচি রয়েছে। বিকেএসপির প্রশিক্ষণার্থীদের প্রতিদিন সকালে দেড় ঘণ্টা ক্রীড়া প্রশিক্ষণ শেষে বেলা ১টা পর্যন্ত শ্রেণীকক্ষে নিয়মিত পাঠদান করা হয় এবং বিকালে ঘণ্টা অনুশীলন শেষে সন্ধ্যায় শিক্ষকদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে দেড় ঘণ্টাব্যাপী চলে পাঠ প্রস্তুতি।

ক্রীড়া বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা

ক্রীড়া বিজ্ঞানের ওপর ১০ মাসের অনাবাসিক স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা প্রদান করে বিকেএসপি। ডিগ্রি নিয়ে বিভিন্ন ক্লাব, ক্রীড়া প্রতিষ্ঠানে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ রয়েছে। যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক বা সমমান ডিগ্রিধারী শিক্ষার্থীরা ডিপ্লোমা কোর্সে আবেদন করতে পারবেন। তবে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক স্নাতক তিন পরীক্ষার কমপক্ষে একটিতে দ্বিতীয় বিভাগ অথবা জিপিএ থাকতে হবে। বিজ্ঞানভিত্তিক নিবিড় প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এখানে রয়েছে পাঁচটি বিভাগ। এক্সারসাইজ ফিজিওলজি, স্পোর্টস বায়োমেকানিকস, স্পোর্টস সাইকোলজি, সায়েন্স অব স্পোর্টস ট্রেনিং, স্পোর্টস মেডিসিন বিভাগ। বিকেএসপির ক্রীড়া বিজ্ঞানের উপপরিচালক ডা. এমাদুল হক জানান, স্পোর্টস মেডিসিন বিভাগ ছাড়া বাকি চারটি বিভাগে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। বিষয়ে দক্ষ শিক্ষক না পাওয়ায় একাডেমিকভাবে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো সম্ভব হচ্ছে না। তবে স্পোর্টস মেডিসিন বিভাগের ব্যবহারিক কাজ চলমান রয়েছে। এখানে বিভাগীয় পর্যায়ের খেলোয়াড় প্রশিক্ষকরা ভর্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পেয়ে থাকেন। এক্সারসাইজ ফিজিওলজি স্পোর্টস বায়োমেকানিকস বিষয়ে ভর্তির জন্য বিজ্ঞানে স্নাতক হতে হবে। আর স্পোর্টস সাইকোলজি বিষয়ে ভর্তির আবেদন করতে পারবেন স্নাতকে মনোবিজ্ঞান বিষয়ে ডিগ্রিধারীরা। সায়েন্স অব স্পোর্টস ট্রেনিং বিষয়ে ভর্তি হতে চাইলে আবেদনকারীকে বিপিএড বা এমপিএড (শারীরিক শিক্ষা) ডিগ্রিধারী হতে হবে।

ক্রীড়া প্রতিভা অন্বেষণ নিবিড় প্রশিক্ষণ

তৃণমূল পর্যায়ে ক্রীড়া প্রতিভা অন্বেষণ নিবিড় প্রশিক্ষণ কার্যক্রম প্রকল্পের মাধ্যমে বিকেএসপিতে ভর্তি করা হয়। সাধারণত প্রতি বছর মার্চে শুরু হয় প্রতিভা অন্বেষণ কার্যক্রম। কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রথমে দেশের ৬৪টি জেলা থেকে এক হাজার ক্রীড়া প্রতিভা প্রাথমিকভাবে বাছাই করে এক মাসের ক্যাম্পে এনে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এর মধ্য থেকে ৪০০ জন প্রতিভাবানকে নিয়ে দুই মাসের আরো একটি প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। ক্যাম্প থেকে অধিক প্রতিভাবানদের পরবর্তীতে বিকেএসপির দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভর্তি করা হয়। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা ছিলেন ক্রীড়া প্রতিভা অন্বেষণ ক্যাম্পের প্রশিক্ষণার্থী।

ভর্তি প্রক্রিয়ার আদ্যোপান্ত

সাধারণত প্রতি বছর ডিসেম্বরে বিভিন্ন ক্রীড়া বিভাগে আসন খালি সাপেক্ষে ভর্তির জন্য বাছাই প্রক্রিয়া শুরু হয়। এরই মধ্যে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছে। ঢাকাসহ দেশের আটটি বিভাগের আঞ্চলিক কেন্দ্রে দুই ধাপে বাছাই প্রক্রিয়া শেষে নির্বাচিত প্রশিক্ষণার্থী ভর্তি হতে পারবে বিকেএসপিতে। এক্ষেত্রে ক্রীড়া প্রতিভা অন্বেষণ ক্যাম্পের নির্বাচিত প্রশিক্ষণার্থীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক বাছাইয়ের দিন বয়স নির্ধারণ অন্যান্য মেডিকেল টেস্টের জন্য ডাক্তারি পরীক্ষা, শারীরিক যোগ্যতা বা ফিটনেস টেস্টসহ নিজ নিজ খেলা/বিভাগ অনুযায়ী ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সঙ্গে নিতে হয় ক্রীড়া সরঞ্জামাদি পোশাক। দ্বিতীয় ধাপে প্রাথমিকভাবে বাছাইকৃত খেলোয়াড়দের তিন থেকে পাঁচদিনের চূড়ান্ত প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে অংশ নিতে হয়। প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে নিজ নিজ ক্রীড়া বিভাগের ব্যবহারিক পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। সর্বশেষ অধ্যয়নরত শ্রেণীর সিলেবাস অনুযায়ী নিজ নিজ শ্রেণীর লিখিত পরীক্ষা (বাংলা, ইংরেজি গণিত) গ্রহণ করা হবে। যেমন সপ্তম শ্রেণীতে ভর্তি হতে পরীক্ষা নেয়া হবে ষষ্ঠ শ্রেণীর পাঠ্যক্রম অনুযায়ী। ক্রীড়া বিজ্ঞান সংক্রান্ত ব্যবহারিক ডাক্তারি পরীক্ষা গ্রহণের সময় বয়স প্রমাণের জন্য প্রয়োজনে প্রশিক্ষণার্থীর হাড় পরীক্ষা করা হতে পারে। সবশেষ সব পরীক্ষার সমন্বিত ফলাফলের ভিত্তিতে চূড়ান্ত প্রশিক্ষণার্থী নির্বাচন করা হয়। বিশেষ ক্রীড়া মেধাসম্পন্ন খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত শ্রেণী, বয়স উচ্চতা শিথিলযোগ্য।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন