জানুয়ারি-অক্টোবর

নানা প্রতিবন্ধকতায় নিম্নমুখী ইস্পাতের বৈশ্বিক উৎপাদন

বণিক বার্তা ডেস্ক

জানুয়ারি-অক্টোবর পর্যন্ত বিশ্বে ১৫৫ কোটি টন অপরিশোধিত ইস্পাত উৎপাদন হয়েছে ছবি: রয়টার্স

চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে অপরিশোধিত ইস্পাতের বৈশ্বিক উৎপাদন লক্ষণীয় মাত্রায় কমেছে। বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দা, সরবরাহ চেইনে প্রতিবন্ধকতা, দুর্বল চাহিদাসহ নানা কারণে শিল্প ধাতুটির উৎপাদন ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না।

সম্প্রতি মাসভিত্তিক এক প্রতিবেদনে ওয়ার্ল্ড স্টিল অ্যাসোসিয়েশন জানায়, জানুয়ারি-অক্টোবর পর্যন্ত ১০ মাসে বিশ্বজুড়ে ১৫৫ কোটি টন অপরিশোধিত ইস্পাত উৎপাদন হয়েছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় উৎপাদন দশমিক শতাংশ কমেছে। এদিকে গত মাসে উৎপাদন ২০২১ সালের একই সময়ের তুলনায় প্রায় অপরিবর্তিত ছিল। তবে সেপ্টেম্বরের তুলনায় উৎপাদন দশমিক শতাংশ কমেছে। অক্টোবরে সব মিলিয়ে ১৪ কোটি ৭৩ লাখ টন অপরিশোধিত ইস্পাত উৎপাদন হয়, যা আট মাসের সর্বনিম্ন।

চীন বিশ্বের শীর্ষ ইস্পাত উৎপাদক ব্যবহারকারী। অক্টোবরে এক মাসের ব্যবধানে দেশটিতে ইস্পাত উৎপাদন দশমিক শতাংশ কমে কোটি ৯৮ লাখ টনে নেমেছে। এটিও আট মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। তবে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় উৎপাদন বেড়েছে ১১ শতাংশ। গত মাসে মোট বৈশ্বিক উৎপাদনের অর্ধেকেরও বেশি এসেছে দেশটি থেকে। এদিকে চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে চীন ৮৬ কোটি লাখ টন ইস্পাত উৎপাদন করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় উৎপাদন দশমিক শতাংশ কমেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, দীর্ঘ সময় ধরেই ভয়াবহ করোনা সংক্রমণের সঙ্গে যুদ্ধ করছে চীনের অর্থনীতি। সম্প্রতি আবারো দেশটিতে রেকর্ড হারে সংক্রমণ বেড়েছে। ফলে বিধিনিষেধ শিথিল করার সম্ভাবনা দেখা দিলেও তা বাস্তবে রূপ নেয়নি। কারণে দেশটির অবকাঠামো নির্মাণ থেকে শিল্পসব খাতেই স্থবিরতা বিরাজ করছে। ফলে দেশটিতে অন্যান্য ধাতুর মতোই ভাটা পড়েছে ইস্পাতের চাহিদায়।

বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ ইস্পাত উৎপাদক দেশ ভারত। জানুয়ারি-অক্টোবর পর্যন্ত দেশটি ১০ কোটি ৩৮ লাখ টন ইস্পাত উৎপাদন করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় উৎপাদন দশমিক শতাংশ বেড়েছে। শুধু তাই নয়, গত মাসে দেশটিতে উৎপাদন আগের মাসের তুলনায় দশমিক শতাংশ বেড়ে কোটি লাখ ৫০ হাজার টনে উন্নীত হয়। এছাড়া গত বছরের একই সময়ের তুলনায় উৎপাদন বেড়েছে দশমিক শতাংশ।

করোনা মহামারীর প্রভাব শিথিল হওয়ায় ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে ইস্পাতের চাহিদা ঊর্ধ্বমুখী। কারণে দেশটি উৎপাদন অব্যাহত বাড়িয়েছে। তবে দাম বেশি হওয়ায় রফতানি বাজারে সুবিধা করতে পারছে না দেশটি। এদিকে সম্প্রতি ইস্পাতের রফতানি শুল্ক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। ফলে আগামী মাসগুলোয় রফতানি বাড়ার প্রত্যাশা রয়েছে।

গত মাসে জাপান ৭৩ লাখ ৫০ হাজার টন ইস্পাত উৎপাদন করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় উৎপাদন ১১ শতাংশ কমেছে। তবে এক মাসের ব্যবধানে উৎপাদন দশমিক শতাংশ বেড়েছে। বছরের প্রথম ১০ মাসে উৎপাদন হয়েছে কোটি ৫২ লাখ টন, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দশমিক শতাংশ।

যুক্তরাষ্ট্র অক্টোবরে ৬৭ লাখ টন অপরিশোধিত ইস্পাত উৎপাদন করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দশমিক শতাংশ কম। তবে এক মাসের ব্যবধানে উৎপাদন দশমিক শতাংশ বেড়েছে। দেশটি জানুয়ারি-অক্টোবর পর্যন্ত কোটি ৮১ লাখ টন ইস্পাত উৎপাদন করে, যা ২০২১ সালের একই সময়ের তুলনায় দশমিক শতাংশ কম।

এদিকে এক মাসের ব্যবধানে রাশিয়ার উৎপাদন দশমিক শতাংশ বাড়লেও গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১১ দশমিক শতাংশ কমেছে। উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৮ লাখ টন। বছরের প্রথম ১০ মাসে দেশটি কোটি লাখ টন ইস্পাত উৎপাদন করে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দশমিক শতাংশ কম। চলমান যুদ্ধের কারণে দেশটিতে উৎপাদন ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না।

অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়ায় গত মাসে ৫১ লাখ টন অপরিশোধিত ইস্পাত উৎপাদন হয়, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১২ শতাংশ কম। তবে এক মাসের ব্যবধানে উৎপাদন ১০ শতাংশ বেড়েছে। জানুয়ারি-অক্টোবর পর্যন্ত কোটি ৫৭ লাখ টন ইস্পাত উৎপাদন হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় শতাংশ কম।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন