সাংবাদিকতাকে এখনো ছেলেদের কাজ বলে মনে করা
হয়। এ পেশায় থাকা নারীদের ‘নারী সাংবাদিক’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এমন দুর্বল পরিচয়ের
বলয় থেকে বেরিয়ে তাদের শুধু ‘সাংবাদিক’ পরিচয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। কথাগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের অধ্যাপক ড. গীতিআরা নাসরিনের।
আজ শুক্রবার রাজধানীতে ডয়চে ভেলে আয়োজিত
‘সেলিব্রিটিং ইয়ং উইমেন ইন জার্নালিজম অ্যান্ড ফিউচার প্রসপেক্টস’ শীর্ষক আলোচনায়
যোগ দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে গীতিআরা নাসরিন আরো বলেন, এখন দেশের
গণমাধ্যমে নারী সাংবাদিকদের অবস্থান তৈরি হয়েছে। যেসব নারীরা সাংবাদিকতা পেশায় আছেন
এবং আসছেন, পরের প্রজন্মের নারীদের জন্য সাংবাদিকতার পথ আরো সুগম করার দায়িত্ব তাদেরই।
ডেইলি স্টারের যুগ্ম সম্পাদক আশা মেহরীন আমিন
বলেন, দেশের অসংখ্য সংবাদমাধ্যমে এখনো মেয়েদের সংখ্যা অত্যন্ত কম। বার্তাকক্ষে সিদ্ধান্ত
গ্রহণের জায়গায় তাদের অবস্থান শূন্যের কোঠায়। যতদিন নারীরা বার্তাকক্ষের গুরুত্বপূর্ণ
অবস্থানে না পৌঁছাবেন, সংবাদমাধ্যমগুলো পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই পরিচালিত
হবে।
এ অবস্থার পরিবর্তন করতে হলে সবার আগে বার্তাকক্ষে
নারীদের উপস্থিতি বাড়াতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে তরুণ নারী সাংবাদিক ও সাংবাদিকতার
শিক্ষার্থীদের হাতে ‘উইমেন জার্নালিস্ট মেন্টরশিপ প্রোগ্রামের’ সনদ তুলে দেয়া হয়।
প্রোগ্রামের প্রধান মেন্টর ও প্রথম আলোর বিশেষ
প্রতিনিধি রোজিনা ইসলাম বলেন, এখনো নারী সাংবাদিকদের জন্য, বিশেষ করে যারা ছোট গণমাধ্যমে
কাজ করেন, প্রশিক্ষণ ও পেশাগত দক্ষতা বাড়ানোর সুযোগ অত্যন্ত কম।
পরিস্থিতি তুলে ধরে তরুণ নারী সাংবাদিক ও
শিক্ষার্থীদের জন্য মেন্টরশিপ আয়োজনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।