
যুক্তরাষ্ট্রে অবাধ অস্ত্র বিক্রির অনুমতিতে
প্রস্তুতকারী ছাড়া কারো লাভ নেই। একে অসুস্থতা উল্লেখ করে নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানালেন
দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। খবর দ্য গার্ডিয়ান।
গত শনিবার কলোরাডো স্প্রিংসে একটি সমকামী
নাইটক্লাবে ও মঙ্গলবার ভার্জিনিয়ার একটি ওয়ালমার্ট স্টোর বন্দুক হামলায় বিপুল হতাহতের
ঘটনা ঘটে।
দুই ঘটনার সূত্রে জো বাইডেন গতকাল বৃহস্পতিবার
অস্ত্র বিক্রি নিষিদ্ধ করার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন। আগে একই আলোচনা তুলেও খুব একটা
অগ্রগতি হয়নি।
এদিন থ্যাঙ্কস গিভিং ডে উপলক্ষে ম্যাসাচুসেটসের
ন্যান্টকেট দ্বীপে যান বাইডেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রেসিডেন্ট জানান,
জানুয়ারিতে নতুন কংগ্রেস বসার আগে বন্দুক নিয়ন্ত্রণে বিল পাসের চেষ্টা করবেন। তবে
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে এ চেষ্টায় সফলতার সম্ভাবনা দেখছেন না বিশ্লেষকরা।
বাইডেন বলেন, আমরা এখনো সেমি-অটোমেটিক অস্ত্র
কেনার অনুমতি দিচ্ছি। এটা অসুস্থতা। বন্দুক প্রস্তুতকারীদের লাভ ছাড়া এর নেই কোনো সামাজিক
মূল্য নেই।
অস্ত্র থেকে পরিত্রাণ পেতে চেষ্টা করছেন
বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
গত সপ্তাহের ঘটনা দুটি ছাড়াও চলতি বছরে ৬০০টি
এমন ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে দেশটির গান ভায়োলেন্স আর্কাইভ। এ সব হামলায় চার বা আরো
বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। তবে হামলাকারীর মৃত্যুকে বাদ দিয়ে হিসাব করা হয়েছে।
সর্বশেষ মধ্যবর্তী নির্বাচনে প্রতিনিধি পরিষদে
সংখ্যাগরিষ্টতা পেয়েছে রিপাবলিকানরা। এ কারণে অস্ত্র নিষিদ্ধ করতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের
চেষ্টা আরো কঠিন হবে। গত জুলাইয়ে ডেমোক্র্যাটিক হাউস অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা পাস করলেও সিনেটে
তা বাদ হয়ে যায়।
শেষবার মার্কিন আইনসভা ১৯৯৪ সালে একটি অস্ত্র
নিষিদ্ধ বিল পাস করেছিল। ট্রমা অ্যান্ড অ্যাকিউট কেয়ার সার্জারি জার্নালের ২০১৯ সালের
এক গবেষণায় দেখানো যায়, ২০০৪ সালে মেয়াদ শেষ হওয়া ওই আইন কার্যকর থাকা অবস্থায় এ
ধরনের হামলা ও মৃত্যু হ্রাস পেয়েছিল।