খেলাধুলার বিকাশে সরকার পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে যাবে —প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

খেলাধুলাসহ শিক্ষা-দীক্ষা সংস্কৃতিচর্চার বিকাশে সরকার প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমরা জঙ্গিবাদ-মাদক-সন্ত্রাস চাই না। শান্তি-উন্নতি-প্রগতিতে বিশ্বাস করি। আমরা বিশ্বাস করি শিক্ষা-দীক্ষা, খেলাধুলা সংস্কৃতিচর্চায়। আর এসব বিকাশের জন্য সরকার প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে যাবে।

গতকাল রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২২-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। যুব ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার ছয় বছর পর দেশে ফিরতে পেরেছি। উদ্বাস্তু হিসেবে বিদেশে ছিলাম। দেশে ফেরার পর থেকে প্রচেষ্টা ছিল কীভাবে ক্রীড়াজগতের উন্নতি করব। কারণ খেলাধুলা-প্রতিযোগিতা যুবসমাজকে পথ দেখায়। ছোট শিশু-কিশোররা যত বেশি খেলাধুলা করবে তত মন বড় হবে, শরীর ভালো থাকবে। আর এসব প্রতিযোগিতা তাদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে। তাদের আত্মশুদ্ধি হবে, সুন্দরভাবে বাঁচবে। এগুলোর জন্য সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা লাগে, তাছাড়া বিকশিত হয় না। সরকার তা করে যাচ্ছে।

সরকারপ্রধান বলেন, আমরা আট বিভাগে আটটি বিকেএসপি করে দিচ্ছি, যাতে সবাই প্রশিক্ষণের সুযোগ পায়। সব জেলায় স্টেডিয়াম করে দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি মিনি স্টেডিয়ামও করে দিচ্ছি। কারণ আমরা চাই ছেলেমেয়েরা লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলাও করবে।

প্রাথমিক থেকে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে ছেলেমেয়েরা নিজেদের যোগ্য করে তুলবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ২০১৯ সালে সরকার প্রতিযোগিতা শুরু করেছে। প্রথমে আন্তঃপ্রাথমিক বিদ্যালয়, আন্তঃস্কুল, আন্তঃকলেজ এবং এখন আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয়; এসব প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে আমাদের খেলোয়াড়রা বিকশিত হচ্ছে। তারা যতই এর সঙ্গে যুক্ত হবে, ততই আমাদের ভালো হবে।

স্বাধীনতার পর পরই বঙ্গবন্ধু প্রশিক্ষণের জন্য খেলোয়াড়দের জার্মানি, ভারতসহ অন্যান্য দেশে পাঠিয়েছিলেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরাও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। এর মাধ্যমে যে যে খেলায় ভালো সে সেই খেলায় পারদর্শী হয়ে উঠতে পারবে।

বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, এমন এক পরিবারে আমার জন্ম যে বাবা, দাদা, দাদার ভাই ফুটবল খেলোয়াড় ছিলেন। দাদা অফিসারস টিমের ক্যাপ্টেন, বাবা ছাত্রদের টিমের ক্যাপ্টেন ছিলেন। তাদের মধ্যে ম্যাচও হয়েছিল। দুই ভাই কামাল জামাল স্পোর্টসে জড়িত ছিলেন। কামালের স্ত্রী সুলতানা কামাল খুকু স্পোর্টসম্যান ছিলেন এবং জামালের স্ত্রী পারভীন সুলতানাও স্পোর্টসে ছিলেন।

বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সময় পেলে খেলা দেখি। কিন্তু আমাদের কোনো অবস্থানই নেই। অবশ্য সাফ, এশিয়ানসহ বিভিন্ন গেমসে ফুটবল-ক্রিকেটে মেয়েরা ভালো করছে। আশা করি, অদূরভবিষ্যতে আমরাও সুযোগ পাব। ছেলেরাও ভালো খেলবে।

যুব ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ১২টি ইভেন্টের অধীনে দেশের ১২৫টি সরকারি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজার ৮৫০ জন নারীসহ হাজার ৯৫০ জন অংশগ্রহণকারীকে নিয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার তৃতীয় সংস্করণের আয়োজন করে। এতে ফুটবল, ক্রিকেট, অ্যাথলেটিকস, ভলিবল, বাস্কেটবল, টেবিল টেনিস, ব্যাডমিন্টন, কাবাডি, দাবাসহ ১২টি ইভেন্টের অধীনে সেরা পারফরমারদের মধ্যে প্রায় ৭২০টি পদক বিতরণ করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন