অনুমোদিত মূলধন বাড়াবে এমবি ফার্মাসিউটিক্যালস

নিজস্ব প্রতিবেদক

অনুমোদিত মূলধন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এমবি ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের পর্ষদ। এছাড়া সংশোধিত কোম্পানি আইন অনুসারে কোম্পানিটির নাম পরিবর্তন করে এমবি ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে কোম্পানিটির পর্ষদ সর্বশেষ ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২১-২২ হিসাব বছরের জন্য মোট ৩০ শতাংশ লভ্যাংশের সুপারিশ করেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে গতকাল এসব সিদ্ধান্ত জানিয়েছে ওষুধ রসায়ন খাতের কোম্পানিটি।

তথ্য অনুসারে, এমবি ফার্মাসিউটিক্যালসের অনুমোদিত মূলধন আড়াই কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ কোটি টাকায় উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সংঘবিধি সংঘস্মারকেও পরিবর্তন আনা হবে। এছাড়া কোম্পানির নাম পরিবর্তনসংক্রান্ত সংঘস্মারকেও পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি কোম্পানিটির পর্ষদ থেকে সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ নগদের পাশাপাশি ২০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশের সুপারিশ করা হয়েছে। ঘোষিত লভ্যাংশ, উপরোক্ত সিদ্ধান্তগুলো আলোচ্য হিসাব বছরের অন্যান্য এজেন্ডায় শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নিতে বছরের ৩১ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করেছে কোম্পানিটি। -সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়নি।

২০২১-২২ হিসাব বছরে এমবি ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে টাকা ৩৬ পয়সা। আগের হিসাব বছরে যেখানে শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল টাকা ৪২ পয়সা। বছরের ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৯৬ পয়সায়। আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ১৮ টাকা ৬৮ পয়সায়।

চলতি ২০২১-২২ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ওষুধ খাতের কোম্পানি এমবি ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৩ শতাংশ কমেছে। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১০ পয়সা। যেখানে আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ১৫ পয়সা।

গতকাল অনুষ্ঠিত সভায় চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করেছে এমবি ফার্মাসিউটিক্যালসের পর্ষদ। বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ৭৯ পয়সায়।

এর আগে ৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯-২০ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। ২০১৮-১৯ হিসাব বছরের জন্য ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। এর আগের দুই হিসাব বছরেও একই হারে নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন