পুঁজিবাজারে নতুন পণ্য আনল বাংলাদেশ ফাইন্যান্স ক্যাপিটাল

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের জন্য সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান বা ব্লু-সিপ নামে নতুন একটি পণ্য নিয়ে এসেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্স ক্যাপিটাল।  স্কিমের আওতায় প্রতি মাসে মাত্র হাজার টাকা জমা করে বিনিয়োগকারীরা পণ্যের সেবা নিতে পারবেন। আগামী বছরের শুরুতেই বিনিয়োগকারীরা এখানে বিনিয়োগ করতে পারবেন। গতকাল রাজধানীর বিজয়নগরে অবস্থিত ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরামের (সিএমজেএফ) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে কোম্পানিটি।

কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়, স্কিমের এক বা একাধিক বিনিয়োগ দিয়ে প্রতি মাসেই কেনা হবে মৌলভিত্তিক শেয়ার। ধারাবাহিক শেয়ার ক্রয়ের মাধ্যমে গড় মূল্য তৈরি হবে, যার বিপরীতে পরবর্তী সময়ে মেয়াদান্তে ভালো মুনাফা দেয়া হবে। পুরো প্রক্রিয়াটি দেখভাল করার জন্য রয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্স ক্যাপিটালের একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল। প্যাকেজটির স্থায়িত্ব হবে থেকে ১০ বছর পর্যন্ত। মেয়াদকাল পূরণ হওয়ার আগে যদি কোনো বিনিয়োগকারী তার বিনিয়োগ তুলে নিতে চায় তাহলে তখনকার বাজারমূল্যের ওপর ভিত্তি করে তাকে ফেরত দেয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. কায়সার হামিদ বলেন, সঞ্চয় বিনিয়োগের মধ্যে একটা বড় ধরনের পার্থক্য রয়েছে। সঞ্চয় হলো মূল্যস্ফীতি সমন্বয় করা। যদিও অনেক সময় দেখা যায় মূল্যস্ফীতি সঞ্চয়ের তুলনায় দ্রুতগতিতে চলে। কিন্তু বিনিয়োগ কেবল মূল্যস্ফীতি সমন্বয় করে না, বরং ভবিষ্যতে একটা বিনিয়োগকারীর জন্য বড় ধরনের সম্পদ সঞ্চয় পুঞ্জীভূত করারও সুযোগ তৈরি করে দেয়। তাই সঞ্চয়কে বিনিয়োগে রূপান্তর করতে ক্ষুদ্র সঞ্চয়কারীদের জন্য আমরা সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান বা ব্লু-সিপ পণ্যটি এনেছি। পণ্যটি নিয়ে আমরা অনেক আশাবাদী। আশা করছি, এক বছর পরেই আমরা বড় রিটার্ন দিয়ে বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে পারব। আর প্রথম বছর ভালো রিটার্ন দিয়েই আমরা বড় পরিসরে মার্কেটিংয়ে যাওয়ার চিন্তা করছি।

তিনি আরো বলেন, আমরা পণ্যটি পাঁচ-ছয় মাস ধরে পাইলটিং শুরু করেছি। নিজেদের কর্মীদের মধ্যে প্রায় ৩০০টি অ্যাকাউন্ট এরই মধ্যে করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে নিম্নমুখিতা ফ্লোর প্রাইসের মধ্যেও সময়ে আমরা লোকসানে নেই। আমাদের স্কিমের ধরন হলো বছরের ১২ মাসই (প্রতি মাসের একটি নির্ধারিত দিনে) এখানে শেয়ার কেনা হবে। অর্থাৎ এখানে কোনো শেয়ারের দর কমলেও নির্ধারিত দিনে শেয়ার কেনা হবে, আর বাড়লেও কেনা হবে। এতে দীর্ঘমেয়াদে ভালো রিটার্ন পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকবে। তাছাড়া আমাদের বিশেষজ্ঞ প্যানেল বিশ্লেষণ করে ভালো শেয়ারগুলোই কিনবে, যেগুলো নিয়মিত লভ্যাংশ দেয় এমন শেয়ারই কেনার জন্য বাছাই করা হবে। তবে বাছাইকৃত কোনো শেয়ার যদি আমাদের ক্রয়লিস্ট থেকে বাদ দেয়া হয়, কিংবা নতুন কোনো শেয়ার যুক্ত করা হয় সেটাও বোর্ডের আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। অর্থাৎ একটি পরিকল্পিত ব্যবস্থার মাধ্যমেই এখানে বিনিয়োগ সিলেবাস সাজানো থাকবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন