পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত পাঁচ বছর মেয়াদি বেক্সিমকো গ্রিন-সুকুক আল ইসতিসনার ২০ শতাংশ পর্যন্ত সুকুক প্রথম বছর বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ারে রূপান্তর করা যাবে। গুণিতক হারে অর্থাৎ ৫, ১০, ১৫ ও ২০ শতাংশ রূপান্তরের সুযোগ রাখা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে চলতি বছরের ২২ ডিসেম্বর। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে করপোরেট বন্ডটির ট্রাস্টি।
তথ্য অনুসারে, রেকর্ড ডেটের আগের ২০ কার্যদিবসে বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ারের ভারিত গড় মূল্যের ওপর ২৫ শতাংশ ছাড়ে এ সুকুক রূপান্তর করা হবে। চলতি বছরের ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত আগ্রহীরা আবেদন করতে পারবেন।
পাঁচ বছর মেয়াদি এ সুকুকটির রিটার্ন ছয় মাস অন্তর প্রদান করা হবে। এক্ষেত্রে রিটার্ন নির্ধারণ করা হবে ৯ শতাংশ ভিত্তিমূল্যের সঙ্গে মার্জিন যোগ করে। বেক্সিমকো লিমিটেডের আগের বছরের বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) ঘোষিত লভ্যাংশ ও ভিত্তিমূল্যের ব্যবধানের ১০ শতাংশ মার্জিন হিসাবে নির্ধারণ করা হবে। যদি লভ্যাংশের হার ভিত্তিমূল্যের সমান বা কম হয় তাহলে সেক্ষেত্রে ভিত্তিমূল্যের হিসাবে রিটার্ন প্রদান করা হবে। আর লভ্যাংশ ৯ শতাংশের বেশি হলে তার ১০ শতাংশ সুকুকের মুনাফার সঙ্গে যুক্ত হবে।
বেক্সিমকো লিমিটেড সর্বশেষ ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২১-২২ হিসাব বছরে ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের সুপারিশ করেছে। এক্ষেত্রে ভিত্তিমূল্য ৯ শতাংশ বাদ দেয়া হলে থাকে ২১ শতাংশ। ২১ শতাংশের ১০ শতাংশ দাঁড়ায় ২ দশমিক ১০ শতাংশ। এই ২ দশমিক ১০ শতাংশের সঙ্গে ভিত্তিমূল্য ৯ শতাংশ যোগ করা হলে দাঁড়ায় ১১ দশমিক ১০ শতাংশ, প্রথম বছরের জন্য সর্বনিম্ন এ রিটার্ন ধার্য হতে পারে। এর মধ্যে প্রথম ছয় মাসের জন্য সুকুকধারীদের ৫ দশমিক ৮০ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে করপোরেট বন্ডটি। দ্বিতীয়ার্ধের রিটার্ন এখনো ধার্য করা হয়নি।