অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক করছে বড় প্রতিষ্ঠানগুলো

বণিক বার্তা ডেস্ক

বিশ্ব অর্থনীতির মন্দা ভাবের প্রভাব কেবল ছোট বা মাঝারি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ওপরই পড়েনি। অ্যাপল বা অ্যামাজনের মতো বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর বিকিকিনিতেও পড়েছে এর রেশ। আগামী দিনগুলোয় মুনাফায় মন্দার প্রভাব পড়তে পারে বলেও সতর্ক করেছে প্রতিষ্ঠানগুলো। খবর বিবিসি।

এমনকি আসন্ন উৎসবের মৌসুমেও প্রত্যাশিত বিক্রি হবে না বলে পূর্বাভাস দিয়েছে অ্যামাজন। যার ফলাফল হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে পুঁজিবাজারে এক লাফে ১৫ শতাংশ কমে গিয়েছে অ্যামাজনের শেয়ারের দর। অন্যদিকে গেমিং বিজ্ঞাপনের চাহিদায় নিম্নগতির কথা জানানোর পর কমেছে অ্যাপলের শেয়ারদরও। দুটি প্রতিষ্ঠানই বলছে, জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে।

অ্যামাজনের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা ব্রিয়ান ওলসাভস্কি বলেন, আমরা উৎসবের মৌসুমে বিক্রি বৃদ্ধির ব্যাপারে আশাবাদী। কিন্তু একই সঙ্গে বাস্তবতা হলো, ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতা আগের চেয়ে কমে গিয়েছে। কোম্পানিটির প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসও কিছুদিন আগে বিশ্ব অর্থনীতির দুরবস্থা নিয়ে সতর্ক করেছিলেন।

এমনকি বিশ্বের সবচেয়ে স্থিতিশীল টেক জায়ান্ট হিসেবে পরিচিত অ্যাপলও এখন আর ঝুঁকিমুক্ত অবস্থায় নেই। সর্বশেষ প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছে, সেপ্টেম্বরে শেষ হওয়া ত্রৈমাসিকে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় অ্যাপলের বিক্রি বেড়েছে শতাংশ। যদিও চীনে আইফোন বিক্রির গতি প্রত্যাশার চেয়েও ধীর হয়ে গিয়েছে। অ্যাপলের কর্মকর্তারা বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করে জানিয়েছেন যে, ডিজিটাল বিজ্ঞাপন গেমিংয়ে মন্দা দেখতে পাচ্ছেন তারা। ধারণা করা হচ্ছে, ম্যাক কম্পিউটারের বিক্রিতে বেশ বড় ধরনের ধস নামতে পারে।

এর আগে কভিড-১৯ মহামারী চলাকালে অনলাইনে কার্যক্রম বেড়ে গেলে অ্যাপল অ্যামাজন দুটি প্রতিষ্ঠানই দারুণ মুনাফা করেছিল। কিন্তু ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হলে পরিস্থিতি পাল্টে যায়। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ক্রেতার কেনাকাটার অভ্যাসে পরিবর্তন এনেছে। জ্বালানির মতো পণ্যের উচ্চমূল্যের কারণে অ্যাপল-অ্যামাজনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর মুনাফা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন