সংবর্ধিত রওনক জাহান, আকবর আলি খানকে মরণোত্তর সম্মাননা

নিজস্ব প্রতিবেদক

গবেষণা, নীতিনির্ধারণ ও উন্নয়ন চিন্তায় অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ড. রওনক জাহানকে সংবর্ধনা ও ড. আকবর আলি খানকে মরণোত্তর সম্মাননা জানিয়েছে বণিক বার্তা ও বিআইডিএস। এ যৌথ আয়োজনে গতকাল রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে একই মঞ্চে গুণীজনসহ অতিথিরা ছবি: নিজস্ব আলোকচিত্রী

সংবর্ধিত হলেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী . রওনক জাহান। মরণোত্তর সম্মাননা দেয়া হয়েছে অর্থনীতিবিদ . আকবর আলি খানকে। গবেষণা, নীতিনির্ধারণ উন্নয়ন চিন্তায় অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ গতকাল রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে এই দুই গুণীজনের সংবর্ধনার আয়োজন করে বণিক বার্তা বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) পররাষ্ট্রমন্ত্রী . কে আব্দুল মোমেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো ট্রাস্টি . রওনক জাহানকে ক্রেস্ট তুলে দেন। আর আকবর আলি খানের পরিবারের সদস্যের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা . মসিউর রহমান। ড. রওনক জাহানের স্কেচ (প্রতিকৃতি) তার হাতে তুলে দেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। ড. আকবর আলি খানের প্রতিকৃতি ভাতিজি রুবিনা খানের হাতে তুলে দেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। 

বণিক বার্তা বিআইডিএসের আয়োজনে এটি পঞ্চম গুণীজন সংবর্ধনা এর আগে ২০১৪ সালে অর্থনীতিবিদ . ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, ২০১৫ সালে . মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন . সালেহউদ্দিন আহমেদ, ২০১৭ সালে অধ্যাপক রেহমান সোবহান এবং ২০১৯ সালে সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইদুজ্জামান আবুল মাল আবদুল মুহিতকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।

আজকের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আমার কাছে অপ্রত্যাশিত ছিল, আমি অভিভূত। সংবর্ধনা পেতে কার না ভালো লাগে। শিক্ষক হিসেবে আমি বেশির ভাগ সময় সাদামাটা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে গিয়েছি। তাই জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে এসে আমি অভিভূত . রওনক জাহান

সংবর্ধিত হয়ে গতকাল অনুষ্ঠানে নিজের অনুভূতি প্রকাশে . রওনক জাহান বলেন, কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আয়োজনের জন্য। সংবর্ধনা পেতে কার না ভালো লাগে। তবে শিক্ষক হিসেবে বেশির ভাগই সাদামাটা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে গেছি। জাঁকজমক অনুষ্ঠানে আমি অভিভূত, যা আমার অপ্রত্যাশিত ছিল। বাবার চাকরি সূত্রে আমি দেশের বিভিন্ন বাংলা মিডিয়াম সরকারি স্কুলে পড়েছি। বাবাই আমার প্রধান শিক্ষক, যিনি চাইতেন তার ছেলে মেয়ে সমানভাবে বেড়ে উঠবে। তার মেয়ে হবে সোনার মেয়ে। আমার শিক্ষাজীবনের চমৎকার সময় কেটেছে হার্ভার্ডে, যেখানে শিখেছি স্কাই ইজ মাই লিমিট।

প্রয়াত আকবর আলি খানের পক্ষে সম্মাননা স্মারক গ্রহণ করেন তার ভাতিজি রুবিনা খান। পরে তিনি চাচা আকবর আলি খানের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে স্মতিচারণ করেন।

গুণীজনদের সম্মাননা আয়োজনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী . কে আব্দুল মোমেন নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি যে গুণীজনদের সংবর্ধনা জানাতে আমি আসতে পেরেছি। বিশেষ করে রওনক জাহান, ওনার সঙ্গে আমার অনেক গল্প রয়েছে। আর আকবর আলি ভাইয়ের সঙ্গে ছিল আমার খুব ভালো সম্পর্ক। যখন তিনি ইকোনমিক মিনিস্টার (ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে) ছিলেন তখন আমাদের ভালো কিছু স্মৃতি রয়েছে। ১৯৮৯ সালে আমরা একটি সম্মেলন করি পানি নিয়ে। তখন আকবর আলি ভাই আমাকে উপদেশ দিলেন যে ভারতের পাশাপাশি নেপালকেও নিয়ে আসো। সবাইকে নিয়ে আয়োজনের পরামর্শ দিলেন এবং এটি ছিল খুবই দারুণ একটি আইডিয়া। ফলে সংস্থাগুলো আমাদের অনেক বরাদ্দ দেয়। গুণীজনদের যারা সংবর্ধনা দিয়েছেন তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা . মসিউর রহমান বলেন, যে দুজন সংবর্ধনা পেয়েছেন এর মধ্যে একজন আমার সহপাঠী-বন্ধু, আরেকজন আমার সহকর্মী। আকবর আলি খান আমার ঘনিষ্ঠ সহকর্মী। তিনি বিচক্ষণ ছিলেন। ১৯৪৭ সালের পর যে বৈষম্য হয়েছিল, তা নিয়ে অর্থনীতিবিদ রাজনীতিবিদরা অনেক আলোচনা করেছেন। তবে একটি দিকে আমরা মনে হয় নজর দিইনি। তা হচ্ছে ১৯৩৭, ১৯৪১ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত আমাদের দেশে রাজনীতিতে একটা সামাজিক পরিবর্তন হয়েছে। আর সেটা হলো রাজনীতিতে মধ্যবিত্তের আবির্ভাব। এর আগে বোধ হয় সেটা ছিল না।

সংবর্ধনা জানাতে পেরেছি বলে আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।  বিশেষ করে রওনক জাহানের সঙ্গে আমার অনেক গল্প রয়েছে। আকবর আলি ভাইয়ের সঙ্গে আমার খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। যারা গুণীজনদের সংবর্ধনা দিয়েছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি . কে আব্দুল মোমেন

. আকবর আলি খানের প্রতি বিশেষভাবে শ্রদ্ধা জানিয়ে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী . শামসুল আলম বলেন, তার আত্মার শান্তি কামনা করছি। তার অবদান ঘণ্টার পর ঘণ্টা বললেও শেষ হবে না। ২০০৬ সালের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হন . আকবর আলি খান। কিন্তু নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে যখন মানুষের মনে প্রশ্ন জাগে, ঠিক তখনই পদত্যাগ করেন। তিনি যথার্থ সাহসী ব্যক্তি। মানুষের ভাষা বুঝতে পেরেছিলেন। তা না হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা পদ ছাড়া সম্ভব ছিল না। আর রওনক জাহানের বিখ্যাত থিসিসে পাকিস্তান কেন ভেঙেছে তার অনেক প্রশ্নের উত্তর রয়েছে। তার প্রভাব বাংলাদেশে পড়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ শীর্ষে। তার লেখা দেশের প্রশাসনেও প্রভাব বিস্তার করেছে।

বণিক বার্তা সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদের সঞ্চালনায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য দেন বিআইডিএসের মহাপরিচালক . বিনায়ক সেন। তিনি বলেন, জ্ঞানমনস্ক সমাজ ছাড়া বাংলাদেশ কোনোভাবেই উচ্চতায় পৌঁছতে পারবে না। এর জন্য শুধু জ্ঞানমনস্ক হলেই হবে না, জ্ঞানমনস্কতার শ্রদ্ধা জানাতে হবে। আজকের আয়োজনের জন্য বণিক বার্তার সম্পাদক এবং এর সঙ্গে জড়িত সবাইকে আমার কৃতজ্ঞতা। শুধু অর্থনীতি নয়, অর্থনীতির বাইরেও যারা তাদের কাজের মাধ্যমে আমাদের দেশে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন তাদেরও শ্রদ্ধা জানানো আমাদের কর্তব্য নৈতিক দায়িত্ব। আমাদের দুর্ভাগ্য যে আজ যে দুজনকে আমরা সম্মাননা জানাচ্ছি তাদের একজন আমাদের মাঝে নেই। তবে তিনি জীবিত থাকা অবস্থায় অনুষ্ঠানের সবকিছু খোঁজ নিয়েছেন।

বিনায়ক সেন বলেন, আমার দাবি আকবর আলি খানের সব রচনা সংগৃহীত হওয়া দরকার। আমাদের দেশের মুক্তবুদ্ধির চর্চার জন্যই সংগ্রহ প্রয়োজন। সূচনা বক্তব্যের আগে সংগীত পরিবেশন করেন ওয়ার্দা আশরাফ। পরে সংবর্ধিত দুই গুণীজনের ওপর নির্মিত তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া প্রয়াত . আকবর আলি খান স্মরণে পালন করা হয় মিনিট নীরবতা।

সংবর্ধিত দুই ব্যক্তির জীবন কর্মের দিক নিয়ে আলোকপাত করে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর . সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আজকে যে দুজন সংবর্ধনা পাচ্ছেন, সৌভাগ্যক্রমে দুজনই আমার বেশ সুপরিচিত। রওনক জাহান নিঃসন্দেহে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে প্রথম সারির একজন ব্যক্তি। আমরা একই স্কুলে পড়েছি। আজকের এই দিনে ওনাকে শুভেচ্ছা। আর ছোটবেলা থেকেই . আকবর আলি খান ছিলেন বেশ মেধাবী। মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত ওনার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। অদম্য একজন মানুষ ছিলেন। হুইল চেয়ারে বসে ঘণ্টা টানা কাজ করতে পারতেন।

রওনক জাহান . আকবর আলি খান সম্পর্কে অধ্যাপক রেহমান সোবহান বলেন, রওনক জাহানকে নিয়ে কিছু বলার জন্য উপযুক্ত ব্যক্তি আমি নই। তিনি প্রথম বাংলাদেশী নারী হিসেবে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে অধ্যাপনা করার সময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। নারীর ক্ষমতায়নেও তিনি ভূমিকা রেখেছেন। রওনক শুধু একজন গবেষকই নন, আদর্শ পেশাজীবী দক্ষ সংগঠক। বিভিন্ন ক্ষেত্রেই তিনি পথিকৃৎ হিসেবে অবদান রেখেছেন। . আকবর আলি খানকে নিয়েও স্মৃতিচারণ করতে হবে। তিনি আর আমাদের মাঝে নেই। তবে আশা করি, তিনি আজ আমাদের সঙ্গেই আছেন এবং আমার বক্তব্য শুনছেন। . আকবর আলি খান একজন পণ্ডিত, একজন দক্ষ আমলা। আজকের অনুষ্ঠানে তার মতো একজন সম্মানিত ভালো মানুষকে গুণীজন হিসেবে সংবর্ধনা দেয়া হচ্ছে।

দুই গুণীজনকে সম্মান জানিয়ে ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেন, রওনক জাহানকে আমি অনেক সম্মান করি। একজন গ্রামের স্কুলছাত্রী, তিনি হার্ভার্ডে পড়েছেন। এরপর বিশ্বের সেরা একজন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী হয়েছেন। এটা কত বড় নারী উন্মেষের বিষয় বলে শেষ করা যাবে না। তিনি বহু নারীকে উজ্জীবিত করেছেন। আর একজন আমলা যে কতটা বুদ্ধিমান হতে পারেন তার অনন্য উদাহরণ . আকবর আলি খান। তিনি একাধারে জ্ঞানী দক্ষ প্রশাসক। ওনার মতো দক্ষ প্রশাসক, লেখক, চিন্তাবিদএসব গুণের যে সমন্বয় এটা আমাদের অনেক বড় প্রাপ্তি।

. আকবর আলি খানের মতো একজন সম্মানিত এবং ভালো মানুষকে গুণীজন হিসেবে সংবর্ধনা দেয়া হচ্ছে। রওনক জাহানও বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন অবদান রেখেছেন। তিনি যেসব ক্ষেত্রে কাজ করেছেন, সেখানেই পথিকৃত্ হিসেবে অবদান রেখেছেন অধ্যাপক রেহমান সোবহান

গুণীজনদের মূল্যায়নের সংস্কৃতি তৈরি করতে হবে জানিয়ে বিশিষ্ট আইনজীবী রাজনীতিবিদ . কামাল হোসেন বলেন, গুণীজনকে সম্মান জানানো গৌরবের। তাদের সম্মান জানানোয় সারা দেশ সম্মানের ভাগীদার। আমরা তাদের কাজের মাধ্যমে উপকৃত হব। অর্থনীবিদ . হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, গুণীজনদের সংবর্ধনা জানানো উন্নত মননশীলতার পরিচয়। রওনক জাহানের দীর্ঘায়ু কামনা করছি। আর আকবর আলি খানের প্রতি জানাই শ্রদ্ধা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক . তাসনিম সিদ্দিকী বলেন, রওনক জাহানের আমি সরাসরি ছাত্রী। আজ আমি যেখানে, তার কারিগরও তিনি। যখন আমেরিকায় পিএইচডির সুযোগ পাই, তখন আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ তিনিই দিয়েছেন। বলেছেন, আমি যাতে অ্যাম্বিশাস না হই, এটাকে যাতে সাধারণভাবে নিই। কারণ আমি দেখেছি আমার অনেক বন্ধু অনেক বড় কিছু করতে গিয়ে হারিয়ে গেছে। আমাদের পলিটিক্যাল সায়েন্সের তত্ত্বকে কীভাবে ব্যবহারিকভাবে প্রয়োগ করা যায়, তিনি (রওনক জাহানভালোভাবে ধরিয়ে দিয়েছেন। আমরা চাই তিনি দীর্ঘদিন ধরে আমাদের ভালোবাসা দিয়ে যান।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর . আতিউর রহমান বলেন, গুণীজনকে এভাবে সম্মাননা জানানোর যে সংস্কৃতি তৈরি করছি, এটা আরো বিস্তৃত হোক। . রওনক জাহান সংবর্ধিত হলেন, আমরা তাকে নিয়ে গর্বিত। তিনি যে একজন আদর্শ শিক্ষক, সেটা তার কর্ম কথায় আমরা অনুভব করি। শ্রদ্ধা জানাই . আকবর আলি খানের প্রতি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া- আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম বলেন, বর্তমান সমাজে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় গুণীজনদের মরণোত্তর সম্মাননা দেয়া হয়। বণিক বার্তার আয়োজেনে সেটার ব্যতিক্রম ঘটেছে। নবীনগরের সংসদ সদস্য হওয়ার সুবাদে আকবর আলি খানের মরণোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আমি আমন্ত্রণ পেয়েছি। এজন্য নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে। 

অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম, . দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, . মোস্তাফিজুর রহমান, . খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, . ফাহমিদা খাতুন, . কামাল হোসন, হামিদা হোসেন, খুশী কবির, বদিউল আলম মজুমদার, হা-মীম গ্রুপের চেয়ারম্যান ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে আজাদ; ইউনাইটেড গ্রুপের প্রধান উপদেষ্টা হাসান মাহমুদ রাজা, ইউনাইটেড গ্রুপের চেয়ারম্যান ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঈনউদ্দিন হাসান রশীদ; জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য . হারুন-অর রশিদ, এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান বদিউর রহমান, পিআরআইয়ের চেয়ারম্যান . জাইদী সাত্তার, সাবেক সচিব নকীব মুসলিম, রীতি ইব্রাহীম, আমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া, এএইচএম নাসির উদ্দিন, আব্দুল লতিফ মন্ডল, সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ন কবির, মোফাজ্জেল করিম, সংসদ সদস্য আরমা দত্ত, দুদকের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান, নাভানা গ্রুপের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম; এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এসএম পারভেজ তমাল; পিডব্লিউসি বাংলাদেশের ম্যানেজিং পার্টনার মামুন রশীদ; এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান . মোহাম্মদ আবদুল মজিদ, ইউসেপ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান পারভীন মাহমুদ; এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সহসভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলের (এফআরসি) নির্বাহী পরিচালক মো. সাঈদ আহমেদ।

আরো ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক . এএসএম মাকসুদ কামাল, অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক . শওকত আরা হোসেন, অধ্যাপক এমএম আকাশ, অধ্যাপক . এমএ তসলিম, অধ্যাপক . তোফায়েল আহমদ চৌধুরী, অধ্যাপক রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর, অধ্যাপক সি আর আবরার, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক . মশিউর রহমান, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর . গৌতম বুদ্ধ দাশ, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক . আতিকুল ইসলাম, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুর রব অধ্যাপক আব্দুল হান্নান চৌধুরী, এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবিএম রাশেদুল হাসান, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক . জহিরুল হক, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুর রব অধ্যাপক মোফাখখারুল ইসলাম, অধ্যাপক শহীদুল জাহীদ, একুশে পদকপ্রাপ্ত কৃষি অথনীতিবিদ সাত্তার মন্ডল, মাহ্বুব উল্লাহ, আরএম দেবনাথ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আব্দুল বায়েস, অধ্যাপক লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ, অধ্যাপক . বশির আহমেদ, অধ্যাপক তাজুল ইসলাম, অধ্যাপক . আলমগীর কবির, অধ্যাপক ফিরোজ-উল-হাসান অধ্যাপক হোসনে আরা, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক . মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, পিআরআইয়ের গবেষণা পরিচালক . আশিকুর রহমান।

সাবেক ব্যাংকার আবু নাসের বখতিয়ার, রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংকের এমডি মো. মুরশেদুল কবীর, রূপালী ব্যাংকের এমডি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের এমডি কাজী আলমগীর, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের এমডি মোসলেহ্ উদ্দীন আহমেদ, ন্যাশনাল ব্যাংকের এমডি মো. মেহমুদ হোসেন, সাউথইস্ট ব্যাংকের এমডি এম. কামাল হোসেন, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের এমডি খন্দকার রাশেদ মাকসুদ, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের এমডি ফরমান আর চৌধুরী, এনসিসি ব্যাংকের এমডি মোহাম্মদ মামদুদুর রশীদ, পূবালী ব্যাংকের এমডি মোহাম্মদ আলী, সাবেক এমডি মো. আব্দুল হালিম চৌধুরী শফিউল আলম খান চৌধুরী, ট্রাস্ট ব্যাংকের সাবেক এমডি ফারুক মঈনউদ্দীন, বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংকের উপদেষ্টা সহিদ হোসেন এমডি তারিক মোর্শেদ, এনসিসি ব্যাংকের সাবেক এমডি নুরুল আমীন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক জীবন কৃষ্ণ রায়, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের এএমডি মো. মোস্তফা খায়ের।

উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান সিইও . শাহজাহান মাহমুদ, বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী, সিলেট গ্যাস ফিল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানূর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ভূতত্ত্ববিদ অধ্যাপক বদরূল ইমাম, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ . তামিম, আদানি গ্রুপ বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড ইউসুফ শাহরিয়ার, ওরিয়ন গ্যাসের চিফ অপারেটিং অফিসার প্রকৌশলী অনুপ কুমার সেন, সিএনজি ফিলিং স্টেশন অ্যান্ড কনভারসন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদ ফারহান নূর।

আইএসপিআর পরিচালক লে. কর্নেল আবু হায়দার মোহাম্মদ রাসেলুজ্জামান, বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা এসএম সলিমুল্লাহ বাহার, ঢাকায় পাকিস্তান দূতাবাসের ডেপুটি হাইকমিশনার কামার আব্বাস খোখার, ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ইনফরমেশন অফিসার এবং স্পোকসপারসন জেফ রাইডেনোর, প্রেস স্পেশালিস্ট রিকি সালমিনা, স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মে. সাইদুর রহমান, স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের মহাপরিচালক . মো. এনামুল হক, চিকিৎসাবিদ্যায় স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত কিডনি চিকিৎসক সেন্টার ফর কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি (সিকেডি) হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল ইসলাম, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জনস্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শক কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. আবু জামিল ফয়সাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক . সৈয়দ আব্দুল হামিদ। 

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার অধ্যাপক . মিজানুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক . এটিএম তারিকুজ্জামান, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মো. ইউনূসুর রহমান, শান্তা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের ভাইস চেয়ারম্যান আরিফ খান, ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলের (এফআরসি) নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কায়সার হামিদ, আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান, একনাবিন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসের পার্টনার রোকনুজ্জামান, হুদা ভাসি চৌধুরী চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসের পার্টনার সাব্বির আহমেদ, লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈন, লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খাজা শাহরিয়ার, লংকাবাংলা গ্রুপ ক্যাপিটাল মার্কেট অপারেশন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন চৌধুরী, লংকাবাংলা সিকিউরিটিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) খন্দকার সাফাত রেজা, লংকাবাংলা ইনভেস্টমেন্টসের সিইও ইফতেখার আলম, মোনার্ক হোল্ডিংস লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. আলমগীর হোসেন, থ্রি আই সিকিউরিটিজের সিইও ইস্তাক আহমেদ, ক্যাল সিকিউরিটিজের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) জোবায়ের মহসিন কবির, সারা হোসেন, দীনা হোসেন, বেঙ্গল মিটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এএফএম আসিফ।

গুণীজন সংবর্ধনা ২০২২-এর প্রধান সহযোগী ছিল ইউনাইটেড গ্রুপ। বিশেষ সহযোগিতায় ছিল লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, আব্দুল মোনেম লিমিটেড, সাউথইস্ট ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেড, কংকা গ্রি, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, এক্সিম ব্যাংক লিমিটেড, এনসিসি ব্যাংক, জনতা ব্যাংক বাংলাদেশ ফাইন্যান্স। সহযোগিতায় ছিল আনোয়ার গ্রুপ, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, বিকাশ, স্বপ্ন, এবি ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, নাভানা গ্রুপ, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক, রুপালী ব্যাংক সোনালী ব্যাংক।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন