সপ্তাহের শুরুতেই পুঁজিবাজারে বড় দরপতন

নিজস্ব প্রতিবেদক

গতকাল সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসেই দেশের পুঁজিবাজারে বড় পতন হয়েছে। এর আগে গত সপ্তাহেও টানা দরপতনের মধ্যে ছিল দেশের পুঁজিবাজার। গতকাল প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স দশমিক ৭৫ শতাংশ পয়েন্ট হারিয়েছে। পাশাপাশি এক্সচেঞ্জটির দৈনিক লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। দেশের আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) গতকাল সূচক লেনদেন কমেছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল সকাল সাড়ে ৯টায় লেনদেন শুরুর পর থেকেই শেয়ার বিক্রির চাপে পয়েন্ট হারাতে থাকে ডিএসইএক্স সূচক। মাঝে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। শেষ পর্যন্ত গতকাল দিন শেষে এর আগের দিনের তুলনায় ৪৮ পয়েন্ট কমে হাজার ৩৪৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে ডিএসইএক্স। এর আগের কার্যদিবসে যা ছিল হাজার ৩৯২ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইর ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ গতকাল ১৫ পয়েন্ট কমে হাজার ২৬২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এর আগের কার্যদিবসে যা ছিল হাজার ২৭৮ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস গতকাল দিন শেষে পয়েন্ট কমে হাজার ৩৯৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এর আগের কার্যদিবসে যা ছিল হাজার ৪০৭ পয়েন্টে। গতকাল সূচকের পতনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড, ওরিয়ন ফার্মাসিউটিক্যালস, জেএমআই হসপিটাল রিকুইজিট ম্যানেজমেন্ট, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ কোহিনূর কেমিক্যালসের শেয়ারের।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর প্রকাশিত সাম্প্রতিক আর্থিক ফলাফল বিনিয়োগকারীদের হতাশ করেছে। এতে কোম্পানিগুলোর আসন্ন ফলাফলও আশানুরূপ হবে না বলে মনে করছেন বিনিয়োগকারীরা। এতে অনেকেই তাদের পোর্টফোলিওতে থাকা শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন। পাশাপাশি নতুন করে বিনিয়োগ না করে অনেকেই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। ক্রমাগত দরপতনের কারণে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারদর ফ্লোর প্রাইস স্পর্শ করেছে। এতে ক্রেতাহীন হয়ে পড়েছে এসব শেয়ার। এর সঙ্গে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কা তো রয়েছেই। সব মিলিয়ে এসব কারণেই নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে পুঁজিবাজারে।

ডিএসইতে গতকাল ৭৮৮ কোটি টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের কার্যদিবসে লেনদেন ছিল ৯৭৫ কোটি টাকার। গতকাল এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া ৩৫৯টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড করপোরেট বন্ডের মধ্যে দিন শেষে দর বেড়েছে ১২টির, কমেছে ১১৯টির আর অপরিবর্তিত ছিল ২২৩টি সিকিউরিটিজের বাজারদর।

খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ২৩ দশমিক শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে ওষুধ রসায়ন খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩ দশমিক শতাংশ দখলে নিয়েছে বিবিধ খাত। ১২ দশমিক শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রকৌশল খাত। মোট লেনদেনের শতাংশের ভিত্তিতে চতুর্থ অবস্থানে ছিল তথ্যপ্রযুক্তি খাত। আর কাগজ মুদ্রণ খাতের দখলে ছিল লেনদেনের দশমিক শতাংশ। গতকাল পুঁজিবাজারে ভ্রমণ অবকাশ খাতে সবচেয়ে বেশি দশমিক শতাংশ ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে। অন্যদিকে দশমিক শতাংশ নেতিবাচক রিটার্নের ভিত্তিতে শীর্ষে ছিল পাট খাত।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন