বন্ডের অর্থ বিনিয়োগে আইনি ছাড় পেয়েছে ইফাদ অটোজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইফাদ মাল্টিপ্রোডাক্টস লিমিটেডের শেয়ারে বন্ডের মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ বিনিয়োগে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছ থেকে আইনি ছাড় পেয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইফাদ অটোজ লিমিটেড। সম্প্রতি বিএসইসির পক্ষ থেকে জারি করা -সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনের গেজেট প্রকাশিত হয়েছে।

প্রজ্ঞাপন অনুসারে, বিনিয়োগকারী পুঁজিবাজারের স্বার্থে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (ডেট সিকিউরিটিজ) বিধিমালা ২০২১-এর সংশ্লিষ্ট বিধি পরিপালন থেকে ইফাদ অটোজকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। ডেট সিকিউরিটিজ বিধিমালার বিধি () এর উপবিধি()-এর অনুবিধি (আই) অনুসারে মূল কোম্পানি, অঙ্গপ্রতিষ্ঠান, সহযোগী প্রতিষ্ঠান এবং সহপ্রতিষ্ঠানসহ এমন কোনো প্রতিষ্ঠান যার কার্যক্রম একটি সাধারণ মালিকানা ব্যবস্থাপনার অধীনে রয়েছে ধরনের কোম্পানিকে ঋণ প্রদান বা শেয়ার অধিগ্রহণের জন্য বন্ড ইস্যু করা যাবে না। ইফাদ অটোজ সম্প্রতি ৩০০ কোটি টাকার পুরোপুরি অবসায়নযোগ্য কুপন বিয়ারিং ফ্লোটিং রেট বন্ড ইস্যুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বন্ডের মাধ্যমে উত্তোলিত পুরো বা আংশিক অর্থ সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইফাদ মাল্টিপ্রোডাক্টসে বিনিয়োগ করতে চায় ইফাদ অটোজ। এক্ষেত্রে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি কমিশনের পূর্বানোমোদক সাপেক্ষে সহযোগী কোম্পানির শেয়ার অভিহিত মূল্যে কিনে নেবে। এজন্য ডেট সিকিউরিটিজ বিধিমালার সংশ্লিষ্ট ধারা পরিপালন থেকে ইফাদ অটোজকে অব্যাহতি দিয়েছে বিএসইসি।

গত বছরের আগস্টে ইফাদ গ্রুপের ভোগ্যপণ্য উৎপাদনকারী কোম্পানি ইফাদ মাল্টিপ্রোডাক্টস লিমিটেডের ৪০ শতাংশ শেয়ার কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইফাদ অটোজ লিমিটেড। এজন্য তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি ৮০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে। বিনিয়োগের বিষয়ে সর্বশেষ বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন নিয়েছে ইফাদ অটোজ। বিনিয়োগের পুরো অর্থ কোম্পানিটির নিজস্ব তহবিল থেকে জোগান দেয়া হয়েছে। ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ইফাদ মাল্টিপ্রোডাক্টস আটা, ময়দা, নুডলস, বিভিন্ন ধরনের বিস্কুট, প্যাকেটজাত মসলা এবং বোতলজাত পানি উৎপাদন বিক্রি করে থাকে।

সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২১-২২ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকের (জুলাই-মার্চ) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, আলোচ্য সময়ে ইফাদ অটোজের আয় হয়েছে ৬৭৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা। যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে আয় ছিল ৬৫৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন