চীন নির্ভরতা কমাতে অ্যালুমিনা প্লান্ট স্থাপন করবে রাশিয়া

বণিক বার্তা ডেস্ক

ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার পর থেকেই অ্যালুমিনার চাহিদা পূরণে চীনের ওপর নির্ভরতা বেড়েছে রাশিয়ার। রুশ বিগলন প্রতিষ্ঠানগুলো ফেব্রুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত চীন থেকে বিপুল পরিমাণ অ্যালুমিনা আমদানি করেছে। তবে সম্প্রতি নির্ভরতা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মস্কো। কারণে অ্যালুমিনা উৎপাদন প্লান্ট তৈরির পরিকল্পনা করছে দেশটি। খবর মাইনিং ডটকম।

রাশিয়ার বিশ্বের শীর্ষ অ্যালুমিনিয়াম উৎপাদক দেশ। ধাতুটি উৎপাদনে ব্যবহূত অ্যালুমিনার ৬৫ শতাংশ চাহিদাই পূরণ করা হয় আমদানির মাধ্যমে। এর মধ্যে বেশির ভাগই আসে চীন থেকে।

সম্প্রতি রাশিয়া ধাতব শিল্পের উন্নয়নে একটি খসড়া পরিকল্পনা করেছে। পরিকল্পনারই একটি অংশ অ্যালুমিনা প্লান্ট স্থাপন।

তথ্য বলছে, অ্যালুমিনা আমদানিতে চীনের ওপর নির্ভরতা বাড়ায় রাশিয়ার অ্যালুমিনিয়াম উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে। অন্যদিকে ইউক্রেনের হামলা চালানোর পর ইউক্রেন অস্ট্রেলিয়া থেকে সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে।

খসড়া পরিকল্পনায় বলা হয়, প্রস্তাবিত প্লান্টটি রাশিয়ার বাল্টিক সাগরীয় বন্দর ইউএসসি-লুগার কাছেই স্থাপন করা হবে। তবে খসড়ায় প্লান্টের প্রাক্কলিত সক্ষমতা এটি নির্মাণে কী পরিমাণ ব্যয় হতে পারে, তা উল্লেখ করা হয়নি। রাশিয়ায় অ্যালুমিনা রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইউরোপ অস্ট্রেলিয়া। এর পর থেকে রাশিয়ায় অ্যালুমিনিয়াম উৎপাদন ব্যয় প্রায় ৩৩ শতাংশ বেড়েছে।

এদিকে অ্যালুমিনিয়াম, নিকেল তামাসহ রাশিয়ান ধাতব পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিকল্পনা করছে লন্ডন মেটাল এক্সচেঞ্জ (এলএমই) পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে ভবিষ্যৎ সরবরাহ চুক্তিতে এক্সচেঞ্জটির মাধ্যমে ধাতব পণ্য সরবরাহ করতে পারবে না দেশটি।

ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ব্যাংক এবং সম্পদশালী ব্যক্তিদের ওপর কয়েক ধাপে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত রাশিয়ার ধাতব পণ্য কেনার ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা আসেনি।

সূত্র বলছে, যুদ্ধের পর অনেকেই ধারণা করছিলেন, রাশিয়ার অ্যালুমিনিয়াম উৎপাদক কোম্পানি রুসালের ধাতব পণ্য বাণিজ্য বন্ধ হয়ে পড়বে। কোম্পানিটিতে এলএমইর তালিকাভুক্ত গুদামগুলোয় বাধ্য হয়ে এসব পণ্য সরবরাহ করতে হবে। তবে নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে সে পথও বন্ধ হয়ে পড়বে। তবে অনেকে এলএমইতে রুশ ধাতব পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করাকে ভালো চোখে দেখছেন না। বিষয়ে এলএমই বলছে, আমরা সব অংশীজনের সুবিধার কথা ভেবেই যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। বিষয়ে অব্যাহত পর্যলোচনা করা হবে।

আন্তর্জাতিক বাজারে সম্প্রতি অ্যালুমিনিয়ামের দাম শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। প্রতি টনের মূল্য দাঁড়িয়েছে হাজার ২৩৩ ডলারে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন