চিনির দাম কেজিতে ৬ টাকা বাড়িয়ে ৯৫ এবং পাম সুপার অয়েলের দাম ৮ টাকা কমিয়ে ১২৫ টাকা পুনর্নির্ধারণ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অপরিশোধিত পাম অয়েল ও আরবিডি পাম অলিন এবং অপরিশোধিত চিনির আন্তর্জাতিক বাজারদর ও স্থানীয় উৎপাদন ব্যয় পর্যালোচনা করা হয়েছে। সে অনুযায়ী বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সুপারিশক্রমে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে পাম সুপার অয়েল খোলা, পরিশোধিত চিনি খোলা ও পরিশোধিত চিনি প্যাকেটের দাম সমন্বয় করা হয়েছে।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্যাকেট চিনি এখন থেকে ৯৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হবে, আগে যা বিক্রি হতো ৮৯ টাকায়। খোলা চিনি প্রতি কেজি ৯০ টাকায় বিক্রি হবে, আগে যা ছিল ৮৪ টাকা। পাম সুপার অয়েল এক লিটার ১২৫ টাকা দরে বিক্রি হবে, আগে এ তেলের নির্ধারিত দাম ছিল ১৩৩ টাকা।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পাম সুপার অয়েলের মিল গেট মূল্য ধরা হয়েছে ১২০ টাকা এবং পরিবেশক মূল্য ১২২ টাকা। খোলা চিনির মিল গেট মূল্য ৮৫ এবং পরিবেশক মূল্য ৮৭ টাকা। প্যাকেট চিনির মিল গেট মূল্য ৯০ এবং পরিবেশক মূল্য ৯২ টাকা।
বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগে এক সভা শেষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ গণমাধ্যমকে জানান, চিনি ও পাম অয়েলের দাম পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন বেশি দামের যে তেল বাজারে আছে, সেটা আগের দামে বিক্রি করতে হবে। এখন যে তেল বাজারে যাবে সেটা লিটারে ১৪ টাকা কম দামে বিক্রি হবে।
এর আগে গত সেপ্টেম্বরে চিনি ও পাম অয়েলের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।