বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থায় এসডিজি অর্জন করা কিছুটা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। শুধু বাংলাদেশ নয়, উন্নয়নশীল সব দেশের ক্ষেত্রেই এ কথা প্রযোজ্য। নভেল করোনাভাইরাস-পরবর্তী সময়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মিলিয়ে এমন পরিস্থিতি গোটা বিশ্বে তৈরি হয়েছে। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে গতকাল ‘এসডিজিতে বাংলাদেশের যাত্রা: আলোচনা থেকে বাস্তবায়ন’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করে ফরেন সার্ভিস একাডেমি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, এসডিজি অর্জনে আমাদের উন্নয়ন সহযোগী, গণমাধ্যম, জাতিসংঘের সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব রয়েছে। সরকার সেভাবেই কার্যক্রম এগিয়ে নিচ্ছে। প্রযুক্তি আদান-প্রদান ও বিনিয়োগ এসডিজি অর্জনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বর্তমানে গোটা বিশ্বেই অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চলছে। করোনা-পরবর্তী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সাপ্লাই চেইনে শৃঙ্খলা না থাকায় এটি অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে।
সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, এসডিজি বাস্তবায়ন অগ্রগতির অনেক ডাটা নেই। এখানে আমাদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আমাদের এসব ডাটা সংগ্রহ করতে হবে। এসডিজি বাস্তবায়নের থার্ড অগ্রগতি রিপোর্ট দ্রুত করতে হবে। আশা করি, আগামী জুনের মধ্যে এটা সম্ভব হবে।