পাঠক মত

ক্রীড়াকে প্যাশন হিসেবে নেয়ার পরিবেশ তৈরি করতে হবে

খেলাধুলা প্রতিটি শিশুর মানসিক শারীরিক বিকাশের একটি কার্যকর মাধ্যম। শিশুরা তাদের শৈশব পার করে যখন কৈশোরে পদার্পণ করে তখন থেকেই লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্যের শেকলে আটকে যায় বিশেষ করে খেলাধুলাপ্রিয় কিশোরী মেয়েরা। সব বৈষম্য এবং শতবাধা-বিপত্তি পেরিয়ে বাংলাদেশের মেয়েরাও ফুটবল পায়ে যে মাঠ কাঁপাতে পারেন, আবার ক্রিকেট ব্যাট হাতে ছক্কা হাঁকাতেও পারেন সেই মাঠে। তার প্রমাণ দুদিন আগে পাওয়া গেলেও প্রতিনিয়ত তাদের লড়াই এবং কঠোর সাধনা দিয়ে নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হয়। লড়াইয়ের ক্ষেত্রে সামাজিক প্রতিবন্ধকতা যেন জাপটে ধরে

তাদেরকে এবং তাদের মতো ক্রীড়াপ্রিয় মেয়েদের জীবন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে রুট লেভেলের স্কুল থেকেই ক্রীড়াপ্রিয় মেয়েদের সব রকম খেলাধুলায় আগ্রহী এবং তাদের মধ্যে খেলাধুলার প্রতি ভালোবাসা তৈরি করতে হবে। বর্তমান সময়ে দেখা যায়, অধিকাংশ নারী খেলোয়াড় আর্থিক অবস্থার উন্নয়নে কথা মাথায় রেখে খেলাধুলা জগতে প্রবেশ করে। কিন্তু দিন শেষে দেখা যায়, তারা না পায় পুরুষের মতো সুযোগ-সুবিধা আবার না পারে পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে চলতে। রকম টানাপড়েন থেকে উত্তরণে এমন ক্রীড়া জীবন জগৎ তাদের জন্য নিশ্চিত করতে হবে, যাতে পরিবারের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে নয়, বরং মন থেকে আবেগ দিয়ে এবং প্যাশনের সঙ্গে তারা খেলাধুলায় আগ্রহী হন। মূলত প্রতিটি খেলোয়াড় হোক তারা পুরুষ বা নারী সবারই উদ্দেশ্যই থাকে জয়ী হওয়া। সেক্ষেত্রে তাদের বিজয় অর্জনের পর তাদের সার্বিক উন্নয়নের কথা না ভেবে, আগে থেকেই তাদের উন্নয়নে জোর দিতে হবে। যাতে তারা সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে অগ্রসর হয়ে বাংলাদেশের পতাকা বিশ্বে ওড়াতে পারে।

 

. ইসরাত জাহান: চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক, লোকপ্রশাসন বিভাগ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন